These are public posts tagged with #সন্ধান. You can interact with them if you have an account anywhere in the fediverse.
আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে #অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রিসার্চ ফেলো মিজানুর রহমান স্যারের লেকচার চলাকালীন হুট করে #মুনতাসীর মামুনের নির্দেশে তার আর্টিকেল প্রেজেন্টেশন #বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উনার আলোচনার সারকথা বলার সময়ে, উনারা আরকিওলজিকাল গবেষণার ভিত্তিতে একটা #প্রাচীন মসজিদের #সন্ধান পেয়েছেন।
যেটা শুনার সাথে সাথে মুনতাসীর #মামুন, #শরীফ আহমেদরা নিতে পারেন নাই। কথিত প্রধান অতিথির ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে পেপার #প্রেজেন্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
কোথায় হারিয়ে গেলো #ইলিয়াস #শাহী বংশ?
একটি রাজবংশ যা শত বছরের জন্য পরিবর্তন করে দিয়েছিলো ঘুণেধরা উপেক্ষিত বাংলার #ইতিহাস। একটি সাম্রাজ্য যা নির্মাণ করেছিলো বাঙালি হিসেবে আমাদের আত্মপরিচয়। যে #সাম্রাজ্য ছিলো বাঙালিদের ডমিনেটিং পাওয়ার, বিশ্বের সবচাইতে ধনী, সবচাইতে উর্বর ব-দ্বীপের সাম্রাজ্য„ যে সাম্রাজ্যের প্রথমদিকের স্বর্ণযুগে সুলতানের কেন্দ্রীয় আস্তাবলে ১ লক্ষ ঘোড়া থাকতো, যে সালতানাতের সুলতানের দরবারের বাহিরে ৫০০ সিস্তানী পালোয়ান #সৈন্য স্বর্ণের শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় সুলতানের শান-শৌকত প্রদর্শন করতো, যে সালতানাত একসময় ছিলো উপমহাদেশের একচ্ছত্র #পরাশক্তি, উপমহাদেশের সবচাইতে বড় দেশ। উসমানিয়, গজনভী, মুঘল, খাওয়ারিজম, মামলুক, মালি, কর্ডোবার ভিড়ে আমরা ভুলে গেছি আমাদের নিজেদের #সালতানাত কে ; যে সালতানাতের জন্যই আজ আমরা নিজেদের বাঙালি বলে পরিচয় দিই, যে সালতানাতের জন্য বাংলা ভাষা রক্ষা পেয়েছিলো, বাঙালিরা দলে দলে #ইসলাম গ্রহণ করেছিলো।
এই বাংলায় একজন #সুলতান ছিলেন যিনি উপেক্ষিত বাংলাকে পরিণত করেছিলেন সার্বভৌম পরাশক্তিতে। তিনিই প্রথম সর্বপ্রকার জাতি-বৈষম্য ধ্বংস করে বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। শূদ্র-ব্রাহ্মণ-বৈশ্য-ক্ষত্রিয়-জাত মুসলিম-ধর্মান্তরিত #মুসলিম সকলে যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো, তিনিই বাঙালি জাতির পিতা। বাংলা ও বাঙালি শব্দ দুটো তাঁরই দেয়া। পারসিক হয়েও বাংলা কে তিনি এতোটা ভালবাসতেন যে নিজেকে পরিচয় দিতেন "বাঙ্গালী" নামে। তাঁর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিলো বাঙ্গালী নামক পরিচয়ের। সিজিস্তানের অধিবাসী হয়ে নিজেকে বলতেন "বাঙ্গালী"। বাংলা সালতানাতের রাজপরিবার ও। অভিজাতরা সকলেই নিজেদের কে পরিচয় দিতেন বাঙালি বলে। গৌড়ে তিনি নির্মাণ করেছিলেন বাংলাকোট দুর্গ, একটি নদীর নামই দিয়েছিলেন বাঙ্গালী।
তিনিই হলেন শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ গাজী (রহঃ)
ইলিয়াস শাহ সাধারণ কোনো শাসনকর্তা ছিলেন না। তিনি ছিলেন বৈপ্লবিক #রাষ্ট্রনায়ক । পাল সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলায় যে সেন আমলে শূদ্র-বৌদ্ধদের প্রতি বৈষম্য ও তুর্কি আমলে (১২০৪-১৩৩৮) আতরাফ মুসলমানদের প্রতি #বৈষম্য বিরাজমান ছিলো, তা উৎখাত করে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। #হিন্দু-মুসলিমের বৈষম্য দূরীভূত করেছিলেন ইলিয়াস শাহ। এমন ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে হিন্দু-মুসলমানকে চেনা যেতো শুধু কপালের তিলক দেখে। ইলিয়াস শাহর সিংহাসন আরোহণের পূর্বে অমুসলিম তো দূরের কথা নওমুসলিম দের পর্যন্ত সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে নেয়া হতো না, নেয়া হতো কেবল সামান্য পরিমাণে পদাতিক বাহিনীতে। তাদেরকে আতরাফ হিসেবে গণ্য করে নীচু দৃষ্টিতে দেখা হতো [ ইসলাম গ্রহণের পরেও!!] অনেকটা উমাইয়াদের অনারব মুসলিমদের থেকে জিজিয়া নেবার মত। এই বৈষম্য থেকে জাতিকে পরিত্রাণ দিয়েছিলেন সুলতান ইলিয়াস শাহ্। যেখানে ইংরেজ আমলে ব্রাহ্মণরা শূদ্রের ছায়া মাড়াতো না, সেইখানে মধ্যযুগে সুলতান ইলিয়াস শাহ শূদ্রকে প্রধান জেনারেল নিয়োগ দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজবংশই বাংলাকে স্বাধীন করেছিলো। তিনি শাসক ছিলেন না, ছিলেন বিপ্লবী। মুসলমান হত্যার প্রতিবাদে নেপালে পশুপতিনাথের মূর্তি ত্রিখণ্ডিত করেছিলেন। ত্রিকলিঙ্গাধিপতির বিশাল বাহিনীর রক্তে চিল্কা হ্রদের পানি লাল করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ১৩৩৮ থেকে শুরু করে ১৪১৮ এবং ১৪৩৬ থেকে আরম্ভ করে ১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করে। ইলিয়াস শাহ্- কে #মানুষ এতোটাই ভালবাসতো যে গণেশের উত্থানের সময় মুসলমানেরা গণেশের আধিপত্য অস্বীকার করে দলে দলে জীবন বাজি রেখে শাহর-ই-নাও শহরে (বর্তমান বারোবাজার, ঝিনাইদহ) ইলিয়াস শাহী বংশের শেষ প্রদীপ #শাহজাদা নাসিরকে কেন্দ্র করে সমবেত হয়েছিলো। সারা বাংলায় গণেশের রাজত্ব চললেও মুসলমানেরা খুলনা বিভাগে টিকিয়ে রেখেছিলো ইলিয়াস শাহী #সালতানাত। ইলিয়াস শাহকে মানুষ এতোটাই ভালবাসতো যে„ আহমাদ শাহ নিহত হলে ইলিয়াস শাহের প্রপৌত্র শাহজাদা নাসির কে ৬০,০০০ মুসলিম সৈন্য মুহাম্মাদাবাদ (শাহর-ই-নাও) থেকে ফিরুজাবাদে নিয়ে এসে সিংহাসনে বসিয়েছিলো………
কোথায় গেলো সেই মহামতি মহাবীর ইলিয়াস শাহের বংশ? হোসেন শাহী বংশধররা বাংলাদেশে আছেন। হোসেন শাহী শাহজাদিদের বহু #বংশধর আছেন বাংলাদেশে, ভাটিরাজ ঈসা খাঁর বংশধর এবং সৈয়দ হযরত ইব্রাহিম দানিশমান্দের বংশধররা মাতৃকুলের দিক থেকে হোসেন শাহী বংশের সন্তান। এছাড়া মালদহ জেলায় হোসেন শাহী বংশধররা আছেন। কররানী বংশধররা সিলেটে আছেন। সিলেট জয়ী সৈয়দ নাসিরউদ্দিনের বংশও আছে। সৈয়দ #মুজতবা আলী তরফরাজ সৈয়দ নাসিরউদ্দিনেরই বংশধর। রাজা গণেশের বংশ পাকিস্তান আমল পর্যন্ত দিনাজপুরের #জমিদার ছিলো [সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মাদ শাহর প্রথম স্ত্রী নবকিশোরীর গর্ভজাত অনুপনারায়ণ রায়ের বংশধর] ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর জমিদারী #বিলুপ্তি ও দিনাজপুররাজের সব সম্পত্তি পাকিস্তান সরকার বাজেয়াপ্ত করলে মহারাজ গিরিজানাথ রায় কলকাতা চলে যান এবং সেখানেই মারা যান তিনি । গণেশের বংশধররা কলকাতাতেই আছেন। দিনাজপুর ইহতিমাম নবাবী আমলে অন্যতম বড় ইহতিমাম ছিলো, গণেশের বংশধরদের দ্বারা #শাসিত।
তাহলে কোথায় হারিয়ে গেলো বীর ইলিয়াসের বংশ?
১৪৮৭ সালে প্রাসাদ রক্ষীদের অধিনায়ক হাবশী খোজা শাহজাদা বারবাকের নেতৃত্বে হাবশীরা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুলতান #জালালউদ্দিন ফতেহ শাহ্ কে হত্যা করে ক্ষমতার দখল নেয়। সুলতান শাহজাদা নাম নিয়ে সিংহাসনে বসে সেই খোজা। ফতেহ শাহ্ কে হত্যার পর তাঁর বিধবা সুলতানা ঘোষণা করলেন- সুলতানের হত্যাকারীকে যে হত্যা করতে পারবে, সিংহাসন তারই হবে। মালিক আন্দিল নামে এক প্রভুভক্ত হাবশী সেনাপতি #শাহজাদা বারবাক কে হত্যা করেন। ফতেহ শাহর একমাত্র পুত্রের বয়স তখন মাত্র পাঁচ বছর। মালিক আন্দিল সুলতানাকে নাবালক শাহজাদার জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করেন। সুলতানা চাইলেই পারতেন মালিক আন্দিল কে শাহজাদার অভিভাবক হিসেবে নিযুক্ত করে শাহজাদাকে সিংহাসনে বসাতে, মালিক আন্দিলের সিংহাসনে বসার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। তিনি সুলতানাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন শাহজাদার জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণ করতে।
কিন্তু সুলতানা তাঁর কথা রাখেন। মালিক আন্দিলকে সসম্মানে সিংহাসনে বসিয়ে ধনসম্পদ, সম্পত্তি, ক্ষমতা, ঐশ্বর্য, দাস-দাসী সর্বস্ব #ত্যাগ করে নিজের সন্তান কে সাথে নিয়ে চিরকালের জন্য প্রাসাদ ছেড়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। সেই যে সুলতানা সিংহাসনের দাবি ছেড়ে দিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেলেন, আর কখনো ফিরে আসেন নি, কখনো না!! ১৪৯০ সালের পর তাঁদের আর কোনো #সন্ধান কখনো পাওয়া যায়নি!
সুলতানা চাইলেই পারতেন জনগণ কে একত্রিত করে, সৈনিকদের #নেতৃত্ব দিয়ে শাহজাদাকে সিংহাসনে বসাতে! ইলিয়াস শাহী বংশধরের প্রতি সেই আবেগ, সেই #প্রেম বাংলার জনগণের তখনো ছিলো! কারণ- এবাংলাকে তো গড়েছিলেন ইলিয়াস শাহই। এ বাংলার #আকাশ-বাতাসে মিশে একাকার হয়ে রয়েছেন যিনি, তিনিই তো ইলিয়াস! প্রজাবাৎসল্লে প্রজাদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। 'ইলিয়াস শাহ' এবং 'বাংলা' শব্দ দুটি হয়ে উঠেছিলো সমার্থক। সাম্য ও ইনসাফ এনেছিলেন সুলতান…
কিন্তু সুলতানা করলেন না। স্বামীর হত্যাকারীকে শাস্তি দিয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মালিক আন্দীলকে ক্ষমতায় বসিয়ে চলে গেলেন আড়ালে, চিরতরে…
আহা! ইলিয়াস শাহী বংশের #রাজবধু বলে কথা!! ক্ষমতা, সম্পদ, ঐশ্বর্য সব বিলীন করে দিয়ে একমাত্র সন্তানকে আঁকড়ে ধরে নিতান্তই সাধারণ বাঙালী গৃহবধুর মতো প্রাসাদ ছেড়ে বাংলার মেঠোপথ দিয়ে চলে গেলেন সুলতানা। এরপর আর কখনো আসেন নি। কত বসন্ত গেলো, কত যুগ হলো পার……মহামতি ইলিয়াসের বংশধররা আর জনসম্মুখে আসেন নি, এমনকি সিংহাসনের দাবি নিয়েও কেউ কখনো সামনে আসেন নি। রয়ে গেলেন কিংবদন্তীতে, মানুষের মুখে মুখে- এই বাংলায় ১ জন ইলিয়াস এসেছিলেন...!!
এভাবে বাংলা থেকে আড়ালে হারিয়ে যান ইলিয়াস শাহী বংশধররা....!! এরপর আর কখনো তাঁরা আসেন নি সামনে, কক্ষনো না!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা