Follow

চরম দুর্ভাগ্যকে সাথে নিয়ে জম্মেছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন । অপরিমিত ঐশ্বর্য আর বিলাসে কাটে তাঁর বাল্যজীবন। সিরাজ ছিলেন চরম বিদ্বেষী। আর তাই ইংরেজ সরকারি কর্মী আর ঐতিহাসিকরা এই মানুষটিকে নারীলোলুপ এক অপরিনত নৃশংস দানবিক চরিত্রে পরিনত করেছিলেন। যার সাথে দেশীয় ঐতিহাসিকরাও গলা মেলান।

অন্ধকুপ হত্যার মত মিথ্যাচার নির্দ্বিধায় প্রচার করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সাম্প্রদায়িক, সাম্রাজ্যবাদী এবং মুসলমান বিদ্বেষী ইংরেজ, মার্সম্যানের 'বাংলার ইতিহাস 'হুবহু অনুবাদ করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র। বই অনুদিত হওয়ার সাথে সাথে তা পাঠ্যপুস্তক হিসাবে নির্বাচিত হয়। বছরের পর বছর বিদ্যাসাগরের ছাপাখানায় ছেপে সারা বাংলার স্কুলে পাঠ্যপুস্তক হিসাবে পঠিত হয়। বাংলার সরলমতী ছাত্র ছাত্রীরা মিথ্যা এবং বিকৃত ইতিহাস পড়ে সিরাজ এবং বাংলাকে জানে।

অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ১৮৯৭ খ্রীস্টাব্দে, পলাশীর অন্যায় যুদ্ধের প্রায় ১৫০ বছর পরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে অন্ধকারের কালিকামুক্ত করেন।

বিদ্যাসাগরের লাইব্রেরিতে যথেষ্ট বই মজুত ছিল যার ভিত্তিতে সিরাজের বিরুদ্ধে বৃটিশ অপপ্রচারের জবাবী লিখতে পারতেন বিদ্যাসাগর। কিন্তু তার সে দায় ছিল না। তার আনুগত্য ছিল সাম্রাজ্যবাদের প্রতি আর নজর ছিল পুস্তক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থউপার্জন। হোকনা তা মিথ্যা ইতিহাস প্রচার।

অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয়ের 'সিরাজদ্দৌলা' একটি ব্যতিক্রমী ইতিহাস। সিরাজের প্রতি অন্যায়ের বাঙালীর প্রথম পাপস্খলনে'র প্রয়াস। একটি অবশ্যপাঠ্য পুস্তক।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:


Sign in to participate in the conversation
Qoto Mastodon

QOTO: Question Others to Teach Ourselves
An inclusive, Academic Freedom, instance
All cultures welcome.
Hate speech and harassment strictly forbidden.