Follow

ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের ছয় মাসের মাথায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী কাছে যখন ইরাকের নিশ্চিত তখন ইরাকের সৈন্যরা স্বদেশে ফেরত যাচ্ছিল। ঠিক এই সময় ঘটে ইতিহাসের অন্যতম । কিন্তু মহলে এই যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে তেমন উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি।

১৯৯০ সালের ২ আগস্ট ইরাক তার প্রতিবেশী দেশ করে। ধরনা করা হয় কুয়েতের শাসকরা ঋণ মওকুফ করতে অস্বীকৃতি বা কুয়েতের অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস এর মতো ঘটনা গুলো পছন্দ হয় নি সাদ্দাম হুসেইনের। এর ফলশ্রুতিতে আক্রমের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। হাইওয়ে এইট্টি (Highway 80) পথ ধরে ইরাকের সৈন্যরা কুয়েত আক্রমণের কয়েকদিনের মাথায় কুয়েতের পতন ঘটে। কুয়েতের রাজপরিবারের সদস্যরা আরবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলেও ইরাক এটিকে কর্ণপাত করে নি। কর্তৃক ইরাকের প্রত্যাহার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয় কিন্তু এতেও অস্বীকৃতি জানায় ইরাক।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইরাকি বাহিনীকে উৎখাত করতে ‘যেকোনো পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এরপরই মূলত ন্যাটোর ইরাকি দখলদার বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়, শুরু হয় ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’। যুদ্ধের শেষ দিকে যখন ইরাকের পরাজয় নিশ্চিত তখন ইরাকের বাহিনী পশ্চাদপসরণ শুরু করে। হাইওয়ে এইট্টি এর পথ ধরেই ফিরে আসতে শুরু করে তারা। এই পথে ওঁৎ পেতে থাকা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাকের দীর্ঘ গাড়িবহরের উপর হামলা শুরু করে। শুরুর ও শেষের যানবাহনগুলোর উপর বোমাবর্ষণ করায় মধ্যের যানবাহন গুলোর জন্য আর পথ ছিল না।

এরপরে প্রায় দশ ঘন্টা ধরে চলে অবিরাম বোমাবর্ষণ। প্রায় ১০ হাজারের মতো সেনার মৃত্যু ও সাড়ে তিন হাজার গাড়ি ধ্বংসের পর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় পুরো রাস্তা। মার্কিন জোটের এই সুস্পষ্ট ‘যুদ্ধাপরাধ’ কারণ ইরাকি সেনাবাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে স্বদেশে ফিরছিল। কিন্তু এই নিয়ে কখনোই উচ্চবাক্য শোনা যায় নি আন্তর্জাতিক মহলে। তাহলে কি পশ্চিমাদের সব অপরাধের কোন বিচার নেই???

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

Sign in to participate in the conversation
Qoto Mastodon

QOTO: Question Others to Teach Ourselves
An inclusive, Academic Freedom, instance
All cultures welcome.
Hate speech and harassment strictly forbidden.