শুধু একবার সময়টা ভাবুন। ঈশ্বরচন্দ্রের বয়স যখন ১১ তখন ডিরোজিও মারা গেলেন, বয়স যখন ১৩ #রামমোহন রায় মারা গেলেন। এরপর নিজের জীবনকালে সমসাময়িক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, #মধুসুদন কে পেয়েছেন, বয়সে খানিক ছোট #রামকৃষ্ণ আর #বঙ্কিম কে পেয়েছেন। সারাটা জীবন ধরে #লালন কে পেয়েছেন। পুত্রসম #বিবেকানন্দ, #রবীন্দ্রনাথ, #জগদীশ বসুকে পেয়েছেন। সারা বাংলাদেশ তখন কিরকম দ্যুতিময় বুঝতেই পারছেন। গায়ে কাঁটা দেয়।
গোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে লোকটা #বিধবা বিবাহ চালু করার জন্য লড়ে যাচ্ছে। রাধাকান্ত দেবরা প্রকাশ্যে আর বঙ্কিমচন্দ্রের মত লোকেরা আড়ালে আবডালে থেকে বিরোধিতা করছেন। এমনকি বড়লাট ডালহৌসিও হাত তুলে দিয়ে বলছেন “ইয়ে, মানে প্রস্তাবটা ভালো, কিন্তু শাস্ত্রে যদি কোন উল্লেখ না থাকে তবে সবাইকে চটিয়ে কি ভাবে সম্ভব ?” ভাবা যায়? কিন্তু ঈশ্বরও ছাড়বার বান্দা নন। তন্ন তন্ন করে বেদ, পুরান, সংহিতা খোঁজা শুরু হল। একেই হয়ত বলে কনভিকশন। খুঁজে পেলেন পরাশর সংহিতার একটি #শ্লোক-
“নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ
পচস্বাপতসু নারীনাং পতিরন্যে বিধয়তে”
যার বাংলা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায় “ যদি স্বামী মারা যান, সন্ন্যাস নেন, নিখোঁজ হন, সন্তান গ্রহনে অক্ষম হন, অত্যাচারী হন তবে স্ত্রী আবার বিবাহ করতে পারে”। পাশ হল বিধবা বিবাহ আইন।
বিদ্যাসাগরের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিবেকানন্দ বলছেন “সমগ্র উত্তর ভারতে আমার বয়সী এমন কোন মানুষ নেই যার ওপর ওনার প্রভাব পড়ে নি”।
মধুসুদন বলছেন “ তার মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের প্রজ্ঞা, পাশ্চাত্যের উদ্যম আর বাঙ্গালী মায়ের হৃদয় ছিল”।
রামকৃষ্ণ তার সাথে প্রথম আলাপেই অকপট বলে ফেলেন “এতদিন খাল, বিল, নদী দেখেছি। আজ সাগর দেখছি”।
আর রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ উক্তি “ বাঙ্গালী গড়তে গড়তে বিধাতা যে কি করে একটা ঈশ্বরচন্দ্র বানিয়ে ফেললেন সেটা অতীব আশ্চর্যের”।
কি? গায়ে কাঁটা দিচ্ছে? যদি দেয়, জানবেন আপনি দলবাজিতে নেই, বিদ্যাসাগরে আছেন!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
@emselimahmed @bengali_convo @masindia ভাবুন তো বাকশালের আমলে পাঠিয়েছেন। তখন কেমন লাগতো?
@Bangladesh @bengali_convo @masindia তাহলে এই মর্ত্যে দোপেও দৌত্য হয়ে জন্ম নেওয়ার ইচ্ছা পেষন করতাম না।