গ-NO-তন্ত্রের জয় হোক
#ফুলপুর শহরের নাম শুনেছেন ? হয়তো শুনেছেন তবে এর না আছে কোন ঐতিহাসিক গরিমা, না কোন বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান। #উত্তর #প্রদেশের এই শহরটি একটি মাত্র কারণে বিখ্যাত, চার চারবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ হয়েছেন ভারতের #প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫২, ৫৭ ও ৬২ তে পন্ডিত জহরলাল নেহেরু আর ১৯৭১ আর ৭৭ এ জিতে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং। মাঝে ১৯৬৪ আর ১৯৬৭ তে জিতেছিলেন #বিজয়লক্ষী #পন্ডিত। এনার পরিচয় দিতে হবেনা আশা করি। একটা সময়ে #সোভিয়েত #ইউনিয়নে #ভারতের #রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
এতো গেলো পুরানো #কাসুন্দি, ২০০৪ সালে এই ফুলপুর কাকে #নির্বাচিত করে সংসদ ভবনে পাঠিয়েছিল জানেন.....?
১৯৬২ তে জন্ম মানুষটির #বাবা ছিল এলাহাবাদ শহরের এক টাঙ্গাওয়ালা। সেটা অবশ্য অপরাধ নয়, কিন্তু সেভেনে উঠেই পড়াশোনায় ইতি ঘটিয়ে যখন রেল #ইঞ্জিনের #কয়লা চুরিতে হাত পাকালো, সেটা অবশ্যই #অপরাধ। এরপর দলবল জুটিয়ে প্রকৃত #ঠিকাদারদের হঠিয়ে কমদামে কিনতে লাগলো রেলের স্ক্রাপ। মজার কথা হলো এদেশের সব বড় বড় মাফিয়াদের সাফল্যের পেছনে আছে #ভারতীয় রেলের এই ছাঁট #লোহার কারবার।
#পুলিশের খাতায় যখন প্রথম নাম ওঠে #বয়স তখন মাত্র সতেরো। দশবছরের মধ্যে পূর্ব উত্তর প্রদেশে বাহুবলী রূপে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। বিচক্ষণ মানুষটি দেখলো শুধু ভয় দেখিয়ে #আমজনতাকে বাগে আনা গেলেও পুলিশকে যাবেনা, চাই রাজনীতির ছোঁয়া। ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ পশ্চিম কেন্দ্র থেকে প্রথমবার নির্দল প্রার্থী হয়ে #বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে জিতলো বিশাল #ভোটে । বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল সেসময় এলাহাবাদের ত্রাস শওকত ইলাহী ওরফে চাঁদবাবা। ফল বেরুনোর আগেই বেচারা খুন হয়ে যায়। খুনি কে ?? নামটা হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে থাকে অনুমান করার জন্য বিশেষ #দক্ষতার #প্রয়োজন নেই।
ব্যাস তারপর ঐ সেভেন পাশ টাঙ্গাওয়ালার ব্যাটাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৯১ ও ৯৩ তে নির্দল আর ১৯৯৬ তে #সমাজবাদী পার্টির টিকিটে #জিতে চলে যায় লখনৌ বিধানসভা।
#দুর্নীতি ও #তোলাবাজির অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৯৮ এ মুলায়ম সিং তাকে পার্টি থেকে বের করে দেয়। ততদিনে #রাজনীতির #ময়দানে #অভিজ্ঞ মানুষটি নিজেই তৈরি করে নেয় এক রাজনৈতিক দল, নাম দেয়.... 'অপনা দল।' ২০০২ তে এই দলের টিকিটে ফের একই #বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে পরপর পাঁচবার জেতার এক রেকর্ড তৈরি করে ফেলে মাননীয় এই বিধায়ক। যাদব কুলপতি আবার তাকে বুকে টেনে নিয়ে ২০০৪ সালে ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট দেন। বিপুল ভোটে জিতে #ভারতের #গণতান্ত্রিক #কাঠামোর বুনিয়াদ মজবুত করে দেন এই মানুষটি। ততদিনে তার মাথায় লেগে গেছে একশোর বেশি #ফৌজদারী #মামলা, যার মধ্যে অপহরণ তোলাবাজি খুনজখম কি নেই...? বেআইনি ভাবে দখলকরা সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় সত্তর কোটি ছাড়িয়েছে।
২০১৯ সালে শেষবারের মতো ভোটে দাঁড়ায় বারাণসী কেন্দ্র থেকে। #বিপক্ষে কে ছিলেন সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না ? বিশ্বাস করতো Fear is the Key এই মতবাদে তাই প্রকাশ্য দিবালোকে #খুন করেছিল বহুজন #সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী #আইনজীবী #উমেশ পালকে। অপরাধ, সে তার ছেড়ে যাওয়া এলাহাবাদ #পশ্চিম বিধানসভা উপনির্বাচনে ভাই আসরাফকে হারিয়ে দিয়েছিল।
#পুলিশ পাহারার মধ্যে থেকেই খুন হয়ে গেল সেই আতিক আহমদ। সেই সাথে অবসান হলো গত তিন #দশক ধরে চলা ভয়ঙ্কর এক #মাফিয়া রাজের। শান্তিতে ঘুমাবে বিচার না পাওয়া হতভাগা মানুষগুলোর আত্মীয় পরিজন।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা