Show newer

নবাব মুর্শিদকুলি খান

খান ১৬৬০ সালে হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম ছিল সূর্য নারায়ণ মিশ্র। মুর্শিদকুলি খানকে দরবারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হাজী শফি ইস্পাহানি ক্রীতদাস হিসেবে ক্রয় করেন। সেখানে মুর্শিদকুলি খান গ্রহণ করেন এবং তার নাম রাখেন মির্জা হাদি। হাজী শফির কাছে তিনি শিক্ষিত হন। পরে তিনি বিদর্ভ প্রদেশ (বর্তমানে ভারতের মহারাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল) এর দেওয়ান হাজী আব্দুল্লাহ কুরাইশির অধীনে চাকরি নেন। এই সময় মুর্শিদকুলি খান আদায়ের

বিশেষ দক্ষতার কারণে, আওরঙ্গজেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

১৭০০ সালে মুর্শিদকুলি খানের নাম মীরজা হাদি থেকে পরিবর্তন করে কার্তালাব খান রাখেন এবং বাংলার গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করেন। সে সময় বাংলার সুবেদার ছিলেন প্রথম বাহাদুর শাহের পুত্র আজিম-উস-শান। আজিম উস শান মুর্শিদকুলি খানের নিয়োগের সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি বাংলার রাজস্ব দিল্লির ক্ষমতা দখলের জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুর্শিদ কুলি খান তৎকালীন , বর্তমান ঢাকায় আসেন এবং রাজস্ব কর্মকর্তা সহ মূঘল কর্মচারীদের নিজের পক্ষে নিয়ে আসেন যা আজিমুশশানকে ক্ষুব্ধ করে।

আজিমুশশান মুর্শিদকুলি খানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মুর্শিদকুলি খান হত্যার পরিকল্পনা জেনেও না জানার ভান করেন। আজিমুশশান কর্মকর্তাদের বিদ্রোহের মাধ্যমে মুর্শিদকুলি খানকে হত্যার চেষ্টা করেন যা ব্যর্থ হয়। মুর্শিদকুলি খান এই হত্যার ব্যাপারে আরঙ্গজেবের নিকট চিঠি লিখেন। আরঙ্গজেব রাগান্বিত হয়ে, আজিমুশশানের নিকট চিঠি লিখে এবং বলেন মুর্শিদ কুলি খানের ক্ষতি হলে এর প্রতিশোধ নিবেন এবং এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এতে আজিমুশশান ভীত হয়ে পড়েন এবং মুর্শিদকুলি খানকে বন্ধু হবার প্রস্তাব দেন।

তারপরেও মুর্শিদকুলি খান ঢাকায় নিজেকে অনিরাপদ বোধ করেন এবং বাংলার সুবা অফিস টি ঢাকা থেকে মকসুদাবাদ যা বর্তমান মুর্শিদাবাদের স্থানান্তর করেন, আজিমুশশানের অনুমতি ছাড়াই। ঐতিহাসিকদের মধ্যে মুর্শিদকুলি খান এ কাজ সহজে করতে পেরেছিলেন কারণ আওরঙ্গজেবের সমর্থন ছিল। ১৭০২ সালে মুর্শিদকুলি খান বিজাপুরে যান, আরঙ্গজেবের সাথে দেখা করতে এবং বাংলার রাজস্ব প্রদান করেন। এতে আওরঙ্গজেব খুশি হয়ে তাকে উপাধি দেন এবং নাম পরিবর্তন করে মুর্শিদাবাদ রাখার অনুমতি দেন।

তার এক বছর পরে ১৭০৩ সালে আরঙ্গজেব আজিমুশশানকে বিহারে স্থানান্তরিত করেন এবং ফররুকশিয়ারকে বাংলার সুবাদার করেন। নাম মাত্র বাংলার সুবেদার ছিলেন। এ সময় বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন মুর্শিদকুল খান। ১৭০৪ সালে মুর্শিদকুলি খান প্রথম মুদ্রা জারি করেন।

১৭০৭ সালে আরঙ্গজেবের মৃত্যু হলে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। দখল করেন তার পুত্র আজম শাহ কিন্তু আজম শাহ আরঙ্গজেবের অন্য পুত্র মোয়াজ্জেমের (প্রথম বাহাদুর শাহ) নিকট পরাজিত হলে সম্রাট হন প্রথম বাহাদুর শাহ।

আজিমুশশান প্রতিশোধ নিতে তার পিতা প্রথম বাহাদুর শাহ কে প্রভাবিত করেন এবং মুর্শিদকুলি খান কে 1708 সালে বাংলা থেকে সরিয়ে দাক্ষিণাত্যের দেওয়ানী দেন।

কিন্তু ১৭১০ সালে আজিমুশশান দিল্লির অভিজাতিদের সমর্থনের উদ্দেশ্যে মুর্শিদকুলি খান কে পুনরায় বাংলার দেওয়ানি করে ফিরিয়ে আনেন। যদিও তাতে তার কোন লাভ ঘটে না। কারণ ১৭১২ সালে তার পিতা প্রথম বাহাদুর শাহ মৃত্যুবরণ করলে মোঘল সম্রাট হন জাহান্দার শাহ। জাহান্দার শাহ অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় ছিলেন। ১৭১৩ সালে জাহান্দার শাহের মৃত্যু হলে দিল্লির ক্ষমতায় আসেন বাংলার সুবেদার ফররুকশিয়ার। ১৭১৬ সালে ফররুকশিয়ার মুর্শিদকুলি খানকে জাফর খান উপাধি দেন এবং বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করেন। এই সময় সম্রাট ফররুকশিয়ার নামমাত্র মুঘল সম্রাট থাকেন, প্রকৃত ক্ষমতা চলে যায় দরবারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হাতে মূলত সৈয়দ ভাইদের হাতে। এ সময় মুঘল সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হয়।

প্রকৃত মুঘল সম্রাট না থাকায় 1717 সালে মুর্শিদকুলি খান নিজেকে বাংলার নবাব হিসেবে ঘোষণা দেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করেন। তখনই মুর্শিদকুলি খান হয়ে ওঠেন বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব। বাংলা বিহার, উড়িষ্যার একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে শাসন করতে থাকেন। তিনি ১৭১৭ থেকে ১৭২৭ সাল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলার স্বাধীন নবাব ছিলেন।

অবকাঠাম:

মুর্শিদকুলি খান দুঘরিয়া অঞ্চলে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন, একটি দেওয়ান খানা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য সরাইখানা ও মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৭২০ সালে তিনি টাকশাল নির্মাণ করেন। ১৭২৪ সালে তিনি কাটরা মসজিদ তৈরি করেন যেখানে তার মৃত্যুর পরে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে সিঁড়ির নিচে সমাহিত করা হয়।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

ভারতের বাইরের এবং বৃহত্তম হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে একটি, 9ম শতাব্দীর প্রম্বানান মন্দিরটি রামায়ণের চিত্রিত ত্রাণ দিয়ে সজ্জিত।

ধর্মের ত্রিমূর্তি নিবেদিত - ভগবান ব্রহ্মা, এবং । মন্দিরটি মূলত সঞ্জয় রাজবংশের শাসনামলে 850 খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল।

শুধুমাত্র একটি স্থাপত্যের কীর্তি ছাড়াও, মন্দিরটি একটি সমৃদ্ধ এবং জটিল সহ একটি রহস্যময় স্থান।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

নাম: পঞ্চতন্ত্র
লেখক: সৈয়দ মুজতবা আলী

সারা দুনিয়া যেন ভ্রমণ করে আসলাম দুই খন্ডের পঞ্চতন্ত্র পড়ে।

রম্যরচনায় যার মৌলিক অবদান সে এবং রম্যরচনায় একমাত্র সেরা বই ''। কী নেই এই বইতে!! সাহিত্যের প্রতিটি শাখার স্বাদ পাবে পাঠক এই বই পড়ে।

বহুভাষাবিদ, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের গবেষক, কবিগুরুর অনুরাগী, চরম বিনয়ী, যে আমাদের বিশ্বের নাগরিক করে তুলেছে, বহুভাষা শিখতে অনুপ্রাণিত করেছে সে আমার প্রিয় সৈয়দ মুজতবা আলী।

আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে তার লেখা, প্রকৃত সুখ কাকে বলে তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে বহুভাষা শেখার অনুপ্রেরণা একমাত্র তার লেখা থেকে পেয়েছি। এখন আমার জীবনের দ্বিতীয় সেরা শখ শেখা। ভাষা শেখার মত দুর্বোধ্য বিষয়কে আমার জন্য সরল করে দিয়েছে সৈয়দ আলী।

আমি আজীবন কৃতজ্ঞ বাংলা সাহিত্যের ৫ জন লেখকঃ সৈয়দ মুজতবা আলী, , রায়, এবং আজাদ এর প্রতি। উনারা আমাকে চরম অন্ধকার থেকে বের করে আলোকিত, পুলকিত করছে প্রতি প্রাতে সূর্যের মতো।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

বাংলাদেশের তুষারপাত বনাম ভিনদেশের তুষারপাত।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

জানুয়ারি, ১৯৭৪ : ঢাকার উদ্যানে পার্টির একজন সদস্য শারীরিক কসরত দেখিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন।

দশকের আগ পর্যন্ত দেশের প্রায় সব জেলাতেই এমন ছোট ছোট পার্টির সদস্যরা সাধারন মানুষকে কসরত দেখিয়ে আনন্দ দিয়ে বেরাত।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবসান ঘোষণা।

বিশ্বব্যাপী -১৯ জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবসান ঘোষণা করেছে । শুক্রবার সংস্থার মহাপরিচালক এ ঘোষণা দিয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা মহামারি অবসানের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বে ৬৯ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে ধস নেমেছে।

সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেব্রিয়াসাস, ‘গতকাল, জরুরি কমিটি ১৫তম বৈঠক করেছে এবং আমাকে উদ্বেগের জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থার অবসান ঘটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমি সেই পরামর্শটি গ্রহণ করেছি। তাই আমি অত্যন্ত আশার সাথে আমি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবসান ঘোষণা করছি।’

২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বিশ্ব সংস্থার জরুরি প্রথম -১৯ কে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে। সংস্থার এই আন্তর্জাতিক মনোযোগ এবং টিকা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে সহযোগিতা করে।


@bengali_convo
@masindia

চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

রপ্তানি ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি।

বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিশদ বিবরণে দেখা গেছে, আট দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বছর-বছর বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন রপ্তানি যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ও ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।সামগ্রিকভাবে, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক তৈরি রপ্তানি আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির লক্ষণ।

সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতা নির্বিশেষে, একক মাসের পরিসংখ্যানের আরও বিশদ পরিদর্শনে পোশাক প্রবৃদ্ধির সাম্প্রতিক হ্রাস দেখা যায়।


@bengali_convo
@masindia

Qoto Mastodon

QOTO: Question Others to Teach Ourselves
An inclusive, Academic Freedom, instance
All cultures welcome.
Hate speech and harassment strictly forbidden.