বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল কেন?
আমার ব্যাক্তিগত গবেষণায় যা বলে তা হচ্ছে —
১৯৬০-এর দশক থেকেই শেখ #মুজিব এবং তার চ্যালারা #সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিল। আর, যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছে ভারত।
ছয় #দফা থেকে শুরু করে ১৯৭১ পরবর্তী মুজিবের সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সোভিয়েতপন্থী চিন্তাধারার ব্যাপক ছাপ পাওয়া যায়।
যেমনঃ
কম্যুনিস্ট স্টাইলে — দেশের নাম "পিপলস রিপাবলিক" রাখা
কম্যুনিস্ট স্টাইলে — এক পার্টির শাসন কায়েম করা
কম্যুনিস্ট স্টাইলে — দেশের প্রায় সকল কল-কারখানা এবং ব্যাংককে জাতীয়করণ করা
নারোদনে ওপলচিনিয়ে (Narodnoe Opolcheniye) স্টাইলে — জাতীয় রক্ষী বাহিনী নামক মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি
সুপ্রীম সোভিয়েত (Supreme Soviet) স্টাইলে — সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা বাতিল করে উপদেষ্টার মর্যাদা দেয়া
#শেখ জামালকে #মিলিটারী ট্রেনিং এর জন্য কম্যুনিস্ট দেশ যুগোস্লাভিয়ায় পাঠানো
… ইত্যাদি।
আমার ধারণা, এই সবের মাধ্যমে মুজিব হয় ধীরে ধীরে কম্যুনিস্ট শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, অথবা, #সাদ্দাম হোসেনের বাথ পার্টির মতো এক পার্টির শাসন চালু করে আজীবন প্রেসিডেন্ট হতে চাচ্ছিলেন।
১৯৭৫ সালের মার্চের ১৫-১৮ তারিখে তার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ সফর করার কথা ছিল। সম্ভবতঃ, এ সময় তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে ছিলেন।
যদি তাই হয় তাহলে মুজিবকে হত্যা করার ব্যাপারে CIA (Central Intelligence Agency, USA)-এর সরাসরি হাত ছিল। আর এই কাজ করার জন্য তারা ভাড়া করেছিল খন্দকার মোশতাক সহ কিছু আর্মি অফিসারকে।
---------------------------------------
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ইতিহাস বিশারদ এবং #বুদ্ধিজীবী ডঃ আহমদ শরীফ-এর লেখা আমার এই তত্ত্বকে সমর্থন করে।
ডঃ আহমদ শরীফ, আহমদ শরীফের ডায়েরি: ভাব-বুদ্বুদ, পৃষ্ঠাঃ ১৯৯-২০০)
শেখ #মুজিব বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা এবং জাতির পিতার পরিচিতি নিয়ে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সনে ঢাকায় আসেন ।
শেখ মুজিব কিন্তু তাঁর দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণে ও শাসনে অনুগত রাখতে পারলেন না। তাঁর রক্ষীবাহিনীর, তাঁর অনুচর, সহচর, সহযোগীর লুণ্ঠনে, পীড়ন নির্যাতনে, অত্যাচারে, শাসনে- শোষণে দেশে দেখা দিলো দুর্ভিক্ষ, মরল লক্ষাধিক মানুষ।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সনের আগস্ট মাস অবধি মুজিব শাসন হচ্ছে ত্রাসের হত্যার কাড়ার-মারার, জোর-জুলুমের, স্বৈরাচারের, দুর্ভিক্ষের, পীড়ণের, শোষণের, জবরদখল ও জবরদস্তির হৃৎকাঁপানো বীভৎস রূপের।
সম্ভবত শেখ মনিই ভাবিশত্রু তাজউদ্দীনকে মুজিবের প্রতিদন্ডী বলে মুজিবের কান-মন ভারী করে তাঁকে পদচ্যুত করিয়েছিলো। রাজত্বটাও প্রায় পারিবারিক হয়ে উঠেছিলো- সৈয়দ হোসেন, সারনিয়াবাদ, শেখ মনি, কামাল- জামাল তখন সর্বশক্তির আধার কার্যত
এ সুযোগে উচ্চাশী মুশতাক ও অন্যরা হলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অস্থিরচিত্ত ও অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক নীতি আদর্শেও হলেও অস্থির। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিতে তাঁর মুক্তিযোদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি উচ্চাশী ক্ষুদ্র দল তাঁকে সপরিবার পরিজনে হত্যা করলো।
মুজিবকে যারা হত্যা করলো, তারা গোড়ায় সবাই মুজিবের অনুগতই ছিল।
শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন কিন্তু হত্যা-লুণ্ঠনের বিভীষিকা মুজিবকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিলো। মার্কিন #যুক্তরাষ্ট্র তার #আন্তর্জাতিক
রাজনীতির স্বার্থে সে সুযোগে তাকে #হত্যা করায় সপরিবার।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
শুধু একবার সময়টা ভাবুন। ঈশ্বরচন্দ্রের বয়স যখন ১১ তখন ডিরোজিও মারা গেলেন, বয়স যখন ১৩ #রামমোহন রায় মারা গেলেন। এরপর নিজের জীবনকালে সমসাময়িক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, #মধুসুদন কে পেয়েছেন, বয়সে খানিক ছোট #রামকৃষ্ণ আর #বঙ্কিম কে পেয়েছেন। সারাটা জীবন ধরে #লালন কে পেয়েছেন। পুত্রসম #বিবেকানন্দ, #রবীন্দ্রনাথ, #জগদীশ বসুকে পেয়েছেন। সারা বাংলাদেশ তখন কিরকম দ্যুতিময় বুঝতেই পারছেন। গায়ে কাঁটা দেয়।
গোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে লোকটা #বিধবা বিবাহ চালু করার জন্য লড়ে যাচ্ছে। রাধাকান্ত দেবরা প্রকাশ্যে আর বঙ্কিমচন্দ্রের মত লোকেরা আড়ালে আবডালে থেকে বিরোধিতা করছেন। এমনকি বড়লাট ডালহৌসিও হাত তুলে দিয়ে বলছেন “ইয়ে, মানে প্রস্তাবটা ভালো, কিন্তু শাস্ত্রে যদি কোন উল্লেখ না থাকে তবে সবাইকে চটিয়ে কি ভাবে সম্ভব ?” ভাবা যায়? কিন্তু ঈশ্বরও ছাড়বার বান্দা নন। তন্ন তন্ন করে বেদ, পুরান, সংহিতা খোঁজা শুরু হল। একেই হয়ত বলে কনভিকশন। খুঁজে পেলেন পরাশর সংহিতার একটি #শ্লোক-
“নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ
পচস্বাপতসু নারীনাং পতিরন্যে বিধয়তে”
যার বাংলা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায় “ যদি স্বামী মারা যান, সন্ন্যাস নেন, নিখোঁজ হন, সন্তান গ্রহনে অক্ষম হন, অত্যাচারী হন তবে স্ত্রী আবার বিবাহ করতে পারে”। পাশ হল বিধবা বিবাহ আইন।
বিদ্যাসাগরের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিবেকানন্দ বলছেন “সমগ্র উত্তর ভারতে আমার বয়সী এমন কোন মানুষ নেই যার ওপর ওনার প্রভাব পড়ে নি”।
মধুসুদন বলছেন “ তার মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের প্রজ্ঞা, পাশ্চাত্যের উদ্যম আর বাঙ্গালী মায়ের হৃদয় ছিল”।
রামকৃষ্ণ তার সাথে প্রথম আলাপেই অকপট বলে ফেলেন “এতদিন খাল, বিল, নদী দেখেছি। আজ সাগর দেখছি”।
আর রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ উক্তি “ বাঙ্গালী গড়তে গড়তে বিধাতা যে কি করে একটা ঈশ্বরচন্দ্র বানিয়ে ফেললেন সেটা অতীব আশ্চর্যের”।
কি? গায়ে কাঁটা দিচ্ছে? যদি দেয়, জানবেন আপনি দলবাজিতে নেই, বিদ্যাসাগরে আছেন!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
যেদিন প্রথম #বিজলী বাতি জ্বললো ঢাকা শহরে
অবশেষে বহুপ্রতীক্ষিত সেই ৭ই ডিসেম্বর এল। সাজসাজ সাড়া পড়ে গেল সারা শহরে। বিকাল ৫টা বাজতে না বাজতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল আহসানমঞ্জিলের আশপাশের এলাকা। নবাব আহসানউল্লার আমন্ত্রণে গণ্যমান্য অতিথিরাও এসে গেলেন আহসানমঞ্জিলে। ঐতিহাসিক এই ঘটনা উদ্বোধনের জন্য বাংলার ছোট লাট স্যার জন উডবার্নকে আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়াতে তার পক্ষ থেকে কলকাতা থেকে সি. ডাব্লিউ বোল্টন এসে পৌঁছালেন। ঢাকায় জ্বলে উঠল #বিদ্যুৎ #বাতি! বিজলী বাতি আবিষ্কারের তিন বছর পর ১৮৮২ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এডিসন সাহেব সুইচ টিপে নিউ ইয়র্ক শহরের পার্ল স্ট্রিটে ৫৯ জন গ্রাহকের বাসায় বিজলী বাতি জ্বেলে দিলেন। এর উনিশ বছরের মাথায় ১৯০১ সালের ৭ই ডিসেম্বর বিজলী বাতির আলোয় ঝলমল করে উঠল আমাদের #ঢাকা শহর। অবশ্য গোটা শহরকে তখন এর আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে যেটুকু হয়েছিল, তাতেই ঢাকাবাসীর আনন্দের সীমা ছিল না। কারণ বিজলী বাতির কথা তারা শুনেছে মাত্র। সেই বাতির আলো পাওয়া তখনো তাদের জন্য ছিল অকল্পনীয়।এর আগে ঢাকার রাস্তায় জ্বলত কেরোসিনের বাতি, তাও সব রাস্তায় নয়। ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী হিসাবে ঘোষণা উদযাপনের জন্য ১৮৭৭ সালে ঢাকা শহরে বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নানা উৎসব আয়োজনের অংশ হিসাবে ওয়াইজঘাটে অবস্থিত তত্কালীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল অফিস থেকে চকবাজার পর্যন্ত রাস্তা আলোকিত করতে একশ’টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর এক বছর পর কমিটির সদস্যদের চাঁদায় (চাঁদার মোট পরিমাণ সাড়ে ছয় হাজার টাকা) এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছিল এবং এগুলোতে লাগানো হয়েছিল ৬০টি কেরোসিনের বাতি। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা মিউনিসিপ্যালিটির লোক লম্বা লম্বা মই নিয়ে এসে জ্বেলে দিত এসব কেরোসিনের বাতি। বিদ্যুতের #লোডশেডিং বলে কোন শব্দের সঙ্গে পরিচিত ছিল না ঢাকাবাসী। তবে একটু জোর হাওয়া দিলে বা ঝড়-বৃষ্টি হলেই এসব বাতি নিভে গিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে তলিয়ে যেত ঢাকার সব রাস্তা-ঘাট।
১৮৮৬ সালে শোনা গেল, ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গনিকে স্যার উপাধি দেবে #ব্রিটিশ সরকার। একথা শুনে নবাব খাজা আহসানউল্লাহ যারপরনাই খুশি হলেন। তিনি বললেন, "সদাশয় সরকার বাহাদুর যদি সত্যিই আমার পিতাকে এই ‘ইজ্জত’ প্রদান করে তবে কথা দিচ্ছি, ঢাকাবাসীদের আমি খুশি করে দেব।" সেই বছরই খাজা আবদুল গনিকে ব্রিটিশ সরকার ‘নাইট কমান্ডার অব স্টার অব ইন্ডিয়া’ উপাধি প্রদান করে। ভারতের বড় লাট লর্ড ডাফরিন ১৮৮৮ সালে ঢাকা পরিদর্শনে এসে নবাব আহসানউল্লাহর এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেরোসিনের সড়ক-বাতির পরিবর্তে গ্যাসের সড়ক-বাতি লাগানো কর্মসূচির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৮৯১ সালে নবাবের পক্ষ থেকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের বাতি লাগানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে নবাবের সেই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন হয়নি। ১৮৯৭ সালে সে আমলে নগরীতে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা পত্রিকা ‘ঢাকা প্রকাশে’ লেখা হয়, "আজ হইতে বারো বত্সর পূর্বে নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ঢাকা শহরের সড়কে কেরোসিনের বাতির পরিবর্তে গ্যাসের বাতি লাগাইবার প্রতিশ্রুতি প্রদান করিয়াছিলেন। মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের ওপর তিনি আস্থা রাখিতে না পারায় সম্ভবত তাহার সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় নাই। তবে এইবার নবাব সাহেবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নবাব খাজা ইউসুফ জান মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আশা করিতেছি, তাহার সেই অবিশ্বাস দূরীভূত হইবে এবং নবাব সাহেবের সেই প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটিবে।"
রাস্তা #আলোকিত করার যে প্রতিশ্রুতি নবাব আহসানউল্লাহ ঢাকাবাসীকে দিয়েছিলেন, তা তিনি কখনো ভোলেননি। তাই ঢাকার রাস্তায় বিজলী #বাতি জ্বালবার জন্য ১৯০১ সালেই তিনি ঢাকা ইলেকট্রিক লাইট ফান্ড গঠন করে তাতে সাড়ে চার লক্ষ টাকা প্রদান করেন। সেই বছরই ৫ই জুলাই ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির তত্ত্বাবধানে ‘দ্য ঢাকা ইলেকট্রিক লাইট ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পত্রিকায় প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা শহরের রহমতগঞ্জ সড়ক, চকবাজার সার্কুলার রোড, মোগলটুলি রোড, নালগোলা রোড, বাবুবাজার রোড, কমিটিগঞ্জ রোড, আরমেনিয়া স্ট্রিট, ইসলামপুর রোড, আহসানমঞ্জিল রোড, পাটুয়াটুলি রোড, বাংলাবাজার রোড, ডাল বাজার রোড. ফরাশগঞ্জ, লোহারপুল রোড, দিগবাজার রোড. ভিক্টোরিয়া পার্ক, লক্ষ্মীবাজার রোড, সদরঘাট রোড. শাঁখারিবাজার রোড. জনসন রোড. নবাবপুর রোড. রেলওয়ে স্টাফকোয়ার্টার রোড. জামদানি নগর রোড ও রাজার দেউড়ি লেনে বিদ্যুত্ বাতি লাগানো হবে। ৭ ডিসেম্বর, ১৯০১। আহসানমঞ্জিল চত্বরে বানানো বিশাল মঞ্চের সবার মাঝখানে বসলেন স্যার বোল্টন, তার ডানদিকে বসলেন নবাব আহসানউল্লাহ, বামদিকে মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনারবৃন্দ। বোল্টন সাহেব ঢাকার রাস্তায় বিদ্যুত্ বাতির ব্যবস্থা করার জন্য নবাব আহসানউল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, "আজ থেকে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিরও দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। ঢাকার সরু সরু রাস্তাঘাট, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সঙ্গে এই বিদ্যুত্ বাতি বড়ই বেমানান। আমরা আশা করি, মিউনিসিপ্যালিটি এ বিষয়টির দিকে নজর দেবে।" এর পরই তিনি সুইচ টিপে বিজলী বাতি জ্বেলে দিলেন। প্রথম বিজলী বাতি জ্বলল ঢাকা শহরে। বহু নগরবাসী পরম বিস্ময়ে দেখল, বিনা তেলে, বিনা গ্যাসে জ্বলছে বাতি—আরো উজ্জ্বল, আরো স্থির।
প্রাপ্তি স্বীকার: ,Bengali Umbrella.
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
সাল্লু দরবেশ নিজেই কিন্তু #ভিসা #নিষেধাজ্ঞা খেয়েছে!
হাসিনা যে সম্প্রতি আমেরিকায় জাতিসংঘে ঘুরে আসলো, হাসিনার সাথে কি ওকে দেখেছেন?
ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা #ঋণ নিয়ে লন্ডনে পাচার করেছে।
ওর টাকা কিন্তু "জয় বাংলা" হয়ে গেছে!
এদিকে মিডিয়াতে গলাবাজি করে বেড়াচ্ছে!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শেখ #মুজিবুর রহমানের ভূমিকা কী ছিল?
শূন্য!
৭ই মার্চ স্বাধীনতার #ঘোষণা না দেবার কারণে #ছাত্রলীগ এবং জাসদ ওনার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলে উনি প্রাণভয়ে ধানমন্ডির বাড়িতে নিজেই #গৃহবন্দী হয়ে থাকেন এবং #পাকিস্তান আর্মিকে বলেন যে ওনাকে যেন প্রটেকশন দেয়া হয়। ফলে #শেখ #হাসিনা সহ ওনার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাকিস্তান আর্মির হাতে চলে যায়।
২৫শে মার্চ রাতে #পিলখানা, রাজার বাগ #পুলিশ লাইন্স, এবং ঢাকা #বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলযোগ শুরু হলে ওনাকে পশ্চিম পাকিস্তানে চালান দেয়া হয়। যুদ্ধের পুরো সময় উনি পাকিস্তানে কাটান এবং এই সময়ে ওনার পরিবারের নিরাপত্তা এবং ভরণপোষণের সকল #খরচ দেয় পাকিস্তান আর্মি।
রেফারেন্সঃ
Major General (Retd.) Khadim Hussain Raja; A Stranger in My Own Country : East Pakistan, 1969-1971 ॥ [Oxford University Press (Karachi)- 2012 । p. ]
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
তিনি দেখতে ক্ষুদ্র আকৃতির ছিলেন কিন্তু সমুদ্রের মতো বিশাল #জ্ঞানী ছিলেন আমাদের ড. #মুহম্মদ #শহীদুল্লাহ।
খুব বেশি না মাত্র ২৪টি #ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। এর মধ্যে ১৮টি ভাষার ওপর তার উল্লেখযোগ্য #পাণ্ডিত্য ছিল।
উল্লেখযোগ্য ভাষাসমূহ হলো-
১। বাংলা
২। #উর্দু
৩। #ফারসি
৪। #আরবি
৫। ইংরেজি
৬। অসমিয়া
৭। ওড়িয়া
৮। মৈথিলী
৯। #হিন্দি
১০। পাঞ্জাবি
১১। গুজরাটি
১২। মারাঠি
১৩। কাশ্মীরি
১৪। #নেপালি
১৫। সিংহলি
১৬। তিব্বতি
১৭। #সংস্কৃত
১৮। পালি।
তাঁর নামেই #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে #সাইন্স ফ্যাকাল্টির একটি #হল আছে ❝ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল❞।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
কবিতা প্রতি পঞ্চাশ টাকা
রুদ্রের মতো একজন প্রথম সারির #কবি, একজন জনপ্রিয় কবিও, শুধুমাত্র #কবিতা লিখে জীবনযাপন করতে পারেনি এই বাংলাদেশে। প্রতিটা কবিতা বাবদ পঞ্চাশ টাকা পেতো রুদ্র। একবার সে জেদ করে কবিতার দাম বাড়াতে চেয়েছিল। দেড়শো #টাকা না দিলে কবিতা দেবে না কোন পত্রিকায়।
রুদ্রের এই মেজাজ দেখেই তাকে বয়কট করার বাতাস উঠেছিল। প্রত্যক্ষ বয়কট। দেড়শো টাকার কবিকে বাদ দিলেও তো এই দেশে শত শত কবি ও কবিতা পাওয়া যাবে। তাই রুদ্রের লেখা না ছাপিয়ে, রুদ্রকে উপেক্ষা করে অন্যান্য অনেক গৌণ্ কবিদের লেখাও ছাপতে থাকে পত্রিকাগুলো।
#পঞ্চাশ টাকার কবিতা। সিনেমার #চিত্রনাট্য ও #গান লিখে টাকা একটু বেশি পাওয়া যায় বলে সেই পথেও রুদ্র খুব দৌঁড়ঝাপ করছিল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও খুব বেশি কাছাকাছি যেতে পারেনি।
"ভালো আছি ভালো থেকো-" গানটাও বিখ্যাত হয়েছে রুদ্রের মৃত্যুর পর। শেষ কথা, কোমরে #গামছা কিংবা ঘর্মাক্ত জামা রুদ্রও বেঁধেছিল, আমাদেরও বাঁধতে হয় মাঝেমধ্যে। #রুদ্র বেঁচে গেছে, আমরা বাঁচার চেষ্টায় আছি। এই চেষ্টায় #আগুন আছে।
ছবি- রুদ্র মুহম্মদ #শহিদুল্লাহ, ১৯৮৬ সাল, মিঠেখালি, মোংলা
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
দিলকুশা
#নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র ভগ্নিপতি নবাব আজিম মিয়া মতিঝিলের সাধারন #বীমা ভবনের স্থানে একটি মনোহারী কুঠি নির্মাণ করেন। নবাব সাহেব এই কুঠির নাম দিয়েছিলেন #দিলকুশা। কুঠিবাড়ির ভেতরে ছিল সুদৃশ্য পুকুর। সেই পুকুরে দর্শনার্থীদের জন্য ছিল কুমির। প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিলকুশা ভবন দর্শনে আসত পর্যটকরা। সাতচল্লিশের দেশভাগের সময় সর্বপ্রথম অবহেলার #স্বীকার হয় ঢাকার অন্যতম সেরা এই #ভবন। দিলকুশা ভবন ধ্বংস করে দিয়ে পুকুর ভরাট করে ফেলা হয়। কুঠিবাড়ির একটি প্রাচীন মসজিদ আর নবাব পরিবারের কয়েকটি কবর ছাড়া আজ আর কোথাও দিলকুশার চিহ্নমাত্র নেই। শুধু বাণিজ্যিক এলাকার তকমা নিয়ে সুউচ্চ দালানের চাপায় পড়ে আছে #ঐতিহাসিক দিলকুশা ভবন!
দিলখুশা আনন্দ ভবন, ১৮৮০
আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব #ঢাকা গ্রন্থের ১৩ তম সংষ্করণ থেকে এই ছবিটি নেয়া হয়েছে। ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পালঘর #রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) এক #কনস্টেবল তিন জন #মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবককে #গুলি করে #হত্যা করেছে।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি #ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় #হত্যাকারী #চেতন #সিং মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, “যদি ভারতে থাকতে হয়, যদি ভোট দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি ও যোগিকে দিতে হবে।”
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
একটা সময় ছিল যখন #শুক্রবার দুপুরের পর #BTV তে #কোরআন পাঠ, #গীতা পাঠ, #ত্রিপিটক পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিতো। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো।
অতঃপর হাসিমুখে উপস্থিত হতেন সুন্দরি উপস্থাপিকা।
আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পূর্নদৈঘ্য বাংলা #ছায়াছবি দেখার জন্য, আমাদের আজকের ছায়াছবি......... শ্রেষ্টাংশে.......!
বুক ধকধক করতো, উত্তেজনায় প্রায়ই ছবির নাম ভালোভাবে শুনতে পেতাম না!
শুক্রবার আসলেই সে কী ব্যস্ততা। চারপাশের সবাই ৩.০০ টার আগে কাজ শেষ করতেন। কারণ ৩.০০ টায় ছবি। আর ৮:৩০ বেজে উঠার আগেই পুরো গ্রামের সবার খাওয়া শেষ।
উত্তেজনা, ভয় আর আনন্দের মিশ্রণে #আলিফ #লায়লার অপেক্ষা। #বিজ্ঞাপন হচ্ছে তো হচ্ছে, আলিফ লায়লা শুরু হবার খবর নাই। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে প্রায় ক্লান্ত হওয়ার পর শোনা যেতো সেই প্রিয় #মিউজিক আলিফ লায়লা.....................। শুরু হতে হতেই আবার বিজ্ঞাপন। just কাহিনীতে মনযোগ দিতে দিতেই আগামী পর্বে দেখবেন এত অল্প সময়। তবু আনন্দের শেষ নেই!
এখনও সব আছে কিন্তু আর বুকে কাঁপন তুলে না। সেই #উপস্থাপিকা ও আছেন, হয়তো আজ তার #লিপিস্টিক আরো কড়া হয়েছে। তিনি এখনও আমন্ত্রণ জানান, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ কাউকে মনযোগী করে না। #ছবি দেখার জন্য এখন কেউ শুক্রবারের #অপেক্ষা করে না। এখনকার পিচ্চিরা হয়তো আলিফ লায়লার নামও জানেনা। একসাথে ৩০/৪০ জন মিলে #টিভি দেখার কল্পনা ও করা যায় না।
শুক্রবার আসে, চলে যায়, সপ্তাহ ঘুরে আবার শুক্রবার আসে, কিন্তু #শৈশব আমার হারিয়ে গেছে সব বদলে গেছে!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
#ফার্মগেট, ঢাকা | ১৯৯২
ফটোগ্রাফার: মাহমুদ রহমান
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা এ কে ফজলুল হককে শের-ই-বাংলা বলা হত কেন?
কলকাতার বাবুরা বলেছেন, "ঢাকায় #বিশ্ববিদ্যালয় করার কোন দরকার নেই। #ফার্মগেট আছে, #ধানমণ্ডি আছে পাশে একটা #কৃষি #কলেজ করে দাও। "
এই ধরনের কায়েমী স্বার্থবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে #ব্রিটিশ লর্ডের কাছে গিয়ে #শেরে #বাংলা #ফজলুল #হক বোঝালেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় #প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এবার ব্রিটিশরা কিছুটা নমনীয় হল --- কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল একটু দেরীতে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলার #শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক ।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে #মুসলিম #লীগ এর #সভাপতি নির্বাচিত হন । পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় #কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক হন । তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একই সময়ে মুসলিম লীগ এর #প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস এর জেনারেল #সেক্রেটারি ছিলেন । ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ।
১৯৩৭ এর নির্বাচনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে জিতলে তিনি #জমিদারি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন।
তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদাররা একত্র হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। লাভ হয়নি --- #কৃষকরা তাদের নেতাকে ভোট দিয়েছেন।
মুসলিম লীগ এর লাহোর অধিবেশনে #মোহাম্মদ #আলী #জিন্নাহ বক্তব্য দিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটা গুঞ্জন শুরু হলো, দেখা গেল জিন্নাহর বক্তব্যের দিকে কারও মনযোগ নাই । জিন্নাহ ভাবলেন, ঘটনা কী ? এবার দেখলেন, এক কোণার দরজা দিয়ে ফজলুল হক সভামঞ্চে প্রবেশ করছেন, সবার আকর্ষণ এখন তার দিকে । জিন্নাহ তখন বললেন --- When the tiger arrives, the lamb must give away. এই সম্মেলনেই তিনি উত্থাপন করেছিলেন ঐতিহাসিক #লাহোর #প্রস্তাব ।
১৯৪০ সালের ২২-২৪ শে মার্চ লাহোরের ইকবাল পার্কে মুসলিম লীগের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে #বাংলার #বাঘ আবুল কাশেম ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবতায় #হিন্দু #মুসলিম একসাথে বসবাস অসম্ভব। সমাধান হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্বাধীন মুসলিম #রাষ্ট্র এবং পূর্বাঞ্চলে বাংলা ও আসাম নিয়ে আরেকটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
পাঞ্জাবের মওলানা জাফর আলী খান, সীমান্ত প্রদেশের সর্দার আওরঙ্গজেব, সিন্ধের স্যার আব্দুল্লাহ হারুন, বেলুচিস্তানের কাজী ঈসা ফজলুল হকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। কনফারেন্সে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।
লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে #হিন্দুপ্রধান প্রদেশগুলোতে মুসলিম #নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে ফজলুল হক খুবই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে একবার বলেন, ‘ আমি আগে মুসলিম, পরে বাঙালী (muslim first, bengali afterwards)’। বক্তৃতার এক পর্যায়ে এসে বলেন, ‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে যদি আর কোনো মুসলিম নির্যাতিত হয় তাহলে আমি বাংলার হিন্দুদের উপর তার #প্রতিশোধ নেব।’
যে ফজলুল হক তিন বছর আগে সোহরাওয়ার্দী, নাজিমউদ্দিনকে রেখে শ্যামাপ্রসাদের সাথে কোয়ালিশন #সরকার গঠন করেছেন সেই ফজলুল হকের মুখে এমন বক্তব্য তখনকার ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃাষ্ট করেছিল।
বর্তমানে যে #পাকিস্তান রাষ্ট্র তার ভিত্তি হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। তাই ২৩ শে মার্চ কে পাকিস্তানে #প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চালাকির আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি টাইপ করার সময়ে ভুল করে muslim majority states লেখা হয়েছে; আসলে হবে state । জিন্নাহর ধারণা ছিল, দেন-দরবার করে দুই পাশে দুইটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই স্টেটস এর জায়গায় স্টেট লিখে একটা মুসলিম মেজরিটি রাষ্ট্র করতে হবে।
জিন্নাহর এই ধূর্ততার কারণে ফজলুল হক তার সাথে পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হননি। তরুণ শেখ মুজিব যখন জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তখন অভিজ্ঞ ফজলুল হক পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। 'তিঁনি অনুমান করতে পেরেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে কী কী দুর্দশা হবে বাংলার মানুষের। তাই তিঁনি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। #অসমাপ্ত #আত্মজীবনী তে #বঙ্গবন্ধু লিখেছেন.......
"বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চাননা এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়েই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন, ”যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।” এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো #পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের #মারপিট করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।"
বঙ্গবন্ধু ' র বাবা বলেছেন , " বাবা তুমি যাই করো শেরে বাংলার বিরুদ্ধে কিছু বলো না। শেরে বাংলা এমনি এমনি শেরে বাংলা হয়নি। "
ফজলুল হক জানতেন মাঝখানে ভারতকে রেখে পশ্চিম আর পূর্বে জোড়া দিয়ে এক পাকিস্তান করলে তা কখনো টিকবে না। ‘ জিন্নাহ আমার লাহোর প্রস্তাবের খৎনা করে ফেলেছে -বলে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকেননি।
১৯৪৬ এ এসে জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দীর দুই বাংলা একত্র করে স্বাধীন যুক্তবাংলার দাবী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাও ভাগ করতে হল।
ফজলুল হক বলেছিলেন, একটি পাকিস্তান কখনও টিকবে না। বাংলা এবং আসামকে নিয়ে পৃথক #স্বাধীন রাষ্ট্র করতে হবে।
১৯৭১ সালে এসে দেখা গেল, ফজলুল হকের আশঙ্কা এবং ভবিষ্যতবাণী সঠিক। ১৯৭১ এর মত এমন কিছু যে ঘটবে শেরে বাংলা ফজলুল হক তা আঁচ করতে পেরেছিলেন ১৯৪০ সালেই। তাই তিনি ১৯৪০ সালেই বাংলা আর আসাম নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম #স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।
১৯৭১ এর #যুদ্ধ হল ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। লাহোর প্রস্তাব ফজলুল হক যেভাবে উত্থাপন করে ছিলেন সেভাবে মানলে একাত্তরে এই দেশে রক্তগঙ্গা বইত না।
পেশাজীবনে 'কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা #আইনজীবী ছিলেন। একদিন তাঁর জুনিয়র হাতে একগাদা #পত্রিকা নিয়ে এসে বললেন, " স্যার , দেখুন , কলকাতার পত্রিকাগুলো পাতার পর পাতা লিখে আপনার দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে --- আপনি কিছু বলছেন না । " তিঁনি বললেন, " ওরা আমার বিরুদ্ধে লিখছে তার মানে হল আমি আসলেই পুর্ব বাংলার #মুসলমান কৃষকদের জন্য কিছু করছি। যেদিন ওরা আমার প্রশংসা করবে সেদিন মনে করবে বাংলার কৃষক বিপদে আছে। "
মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বরিশাল বারের নামকরা উকিল । একবার #ওয়াজেদ আলী র প্রতিপক্ষ মামলার ইস্যু জটিল হওয়ার কারণে কলকাতা থেকে #তরুণ উকিল ফজলুল হককে নিয়ে আসে ওয়াজেদ আলীকে মোকাবেলা করার জন্য । ফজলুল হক ওই সময়ে কেবলমাত্র ফজলুল হক , শেরে বাংলা তখনও হননি । তিনি মামলা লড়তে এসেছেন , কিন্তু বিপক্ষের উকিল কে সেই খবর জানতেন না ।
কোর্টে এসে দেখলেন বিপক্ষে তার #বাবা ওয়াজেদ আলী দাঁড়িয়েছেন । ফজলুল হক স্বাভাবিকভাবে #যুক্তিতর্ক শুরু করলেন ।
এক পর্যায়ে ওয়াজেদ আলী আদালতকে উদ্দেশ করে বললেন , “ ইনি যা বলছেন তা আইনসংগত না । আইনটা হল আসলে এরকম এরকম ....... ইনি নতুন উকিল তো আইন কানুন ভালো বোঝেন না । “
উত্তরে ফজলুল হক বললেন , “ তিনি #পুরাতন #অভিজ্ঞ #উকিল হলে কী হবে ? তিনি হচ্ছেন কৃষকের ছেলে উকিল ( প্রকৃতপক্ষে তার দাদা আকরাম আলী ছিলেন #ফারসি ভাষার পন্ডিত ) , তিনি আইনের কী আর বোঝেন ? আমি হচ্ছি উকিলের ছেলে উকিল , #যুক্তি আমারটাই ঠিক । “
খ্যাতির সাথে ৪০ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন । আইন পাশ করার আগে কলকাতা #বিশ্ববিদ্যালয় থেকে #ফিজিক্স #কেমেস্ট্রি আর ম্যাথমেটিক্সে ট্রিপল অনার্স করেছেন । #মাস্টার্স করেছেন #ম্যাথমেটিক্স এ । ছোটবেলায় একবার পড়ে বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার গল্প রূপকথার মত এদেশের সবার মুখে মুখে ।
বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে একজন এম পি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে লাগলেন । ঐ এম পি শেরে বাংলার বিরুদ্ধে গানও লিখে এনেছেন এবং সংসদের #বাজেট বক্তুতা করতে গিয়ে সেই গানটি হেলেদুলে কর্কশ কণ্ঠে গাইতে শুরু করলেন । এরকম পরিস্থিতিতে যে কারও পক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল ।
শেরে বাংলা ঐ এমপি র বক্তব্যের মধ্যেই বলে উঠলেন -- "Mr Speaker, I can jolly well face the music, but I cannot face a monkey."
এবার ঘটলো মারাত্মক বিপত্তি । তার মত নেতার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য কেউ আশা করেনি । এদিকে , ঐ এম পি স্পিকারের কাছে দাবী জানালেন -- এই মুহূর্তে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই অসংসদীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে । স্পিকার পড়লেন আরেক বিপদে -- তিনি কীভাবে এত বড় একজন নেতাকে এই আদেশ দেবেন।
শেরে বাংলা ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার #বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন --- " Mr. Speaker, I never mentioned any honourable member of this House. But if any honourable member thinks that the cap fits him, I withdraw my remark."
'জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক তাঁর জীবনী লিখতে চান জেনে বলেছিলেন, " রাজ্জাক, সত্যি বলো, তোমার মতলবটা আসলে কী ? " প্রফেসর রাজ্জাক বললেন, " আমার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে ---- আপনি যখন ইংরেজদের সাথে চলেন তখন মনে হয় আপনি জাত ইংরেজ। যখন বরিশালে আসেন মনে হয় আপনি বহুবছর ধরে নিজেই #কৃষিকাজ করেন। আবার যখন কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে ভাই বলে ডাক দেন তখন আপনাকে আসলেই #হিন্দু মনে হয়। আবার যখন ঢাকার নবাব বাড়িতে ঘুড়ি উড়ান তখন মনে হয় আপনিও #নবাব পরিবারের একজন । নিজেকে কেউ আপনার মত এত পাল্টাতে পারে না। আপনি যাই বলেন, সত্য হোক -- মিথ্যা হোক, মানুষ বিনা দ্বিধায় তা #বিশ্বাস করে। "
মহাত্মা গান্ধী র নাতি রাজমোহন গান্ধী তার বইতে লিখেছেন -- তিন নেতার মাজারে তিনজন নেতা শায়িত আছেন যার মধ্যে দুজন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । একজনকে পাকিস্তানের #প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি, অথচ তিনিই ছিলেন সত্যিকারের বাঘ ।
কিন্তু এটা তার জীবনের কোনো অপূর্ণতা নয়, একমাত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া ছাড়া সম্ভাব্য সব ধরনের পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে । তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব বাংলার তৃতীয় মুখ্য মন্ত্রী; পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব - পাকিস্তানের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ।
#সর্বভারতীয় #রাজনীতি ছেড়ে শুধু পূর্ববাংলার রাজনীতি কেন করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেছিলেন -- এরোপ্লেন এ উঠলে নিচের জিনিস ছোট আর ঝাপসা দেখাতে পারে, তাই আমি মাটিতেই থাকছি । রাজনীতির এরাপ্লেন এ না চড়লেও সৌদি বাদশাহ সউদ ফজলুল হকের সাথে একটা মিটিং করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠিয়েছিলেন ফজলুল হককে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।
অসীম সাহসী এই মানুষটি আমাদেরকে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালী জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই । তিনি বলেছেন, যে জাতি তার বাচ্চাদের #বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে ?
#আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন ফজলুল হকের #শিক্ষক। আবুল মনসুর আহমদের সাথে আলাপচারিতায় ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মন্তব্য :
"ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত #খাঁটি #বাঙ্গালী।সেই সঙ্গে ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি #মুসলমান। খাঁটি বাঙ্গালীত্বের সাথে খাটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফযলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছিনা, সত্য বলেই বলছি।খাঁটি বাঙ্গালীত্ব ও খাটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙ্গালীর #জাতীয়তা।"
রেফারেন্স: আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।(পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬)
#পহেলা বৈশাখের #সরকারি #ছুটি, বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এই ফজলুল হকের অবদান । কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফজলুল হক মানুষের #ভালোবাসা পেয়েছেন কারণ #কৃষক-- #শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এই উপমহাদেশে মাত্র একজন ব্যক্তি কৃষকদের জন্য রাজনীতি করেছেন । তিঁনি হলেন -- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বললে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে। জিন্নাহ ছাত্রদের সাথে বৈঠকও করেন। কিন্তু ছাত্ররা ছিল নাছোড়বান্দা। জিন্নাহর ধারণা হলো, ফজলুল হক ছাত্রদেরকে উসকানি দিচ্ছেন। ফজলুল হকের বুদ্ধিতে ছাত্ররা উর্দুর বিরোধিতা করছে। জিন্নাহ এবার ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে চাইলেন। কিন্তু ফজলুল হক দেখা করতে রাজি হলেন না। ফজলুল হক জিন্নাহকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করতেন।
জিন্নাহর পীড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন ফজলুল হক। বন্ধ দরজার আড়ালে কথা হয়েছিল দুই মহান নেতার। কিন্তু ইংরেজিতে কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাদের মধ্যে পরবর্তীতে তা লিখেছেন ফজলুল হকের একান্ত সহকারী আজিজুল হক শাহজাহান --
জিন্নাহ : পাকিস্তান তো তুমি কোনোদিন চাওনি। সব সময়ে বিরোধিতা করে এসেছো।
হক : প্রস্তাবটি তো আমিই করেছিলাম। পরে ওটার খতনা করা হয়েছে। আমি এটা চাইনি।
জিন্নাহ: পাকিস্তানের এই অংশ বেঁচে থাক তা তুমি চাও না। তাই ভারতের কংগ্রেসের টাকা এনে ছাত্রদের মাথা খারাপ করে দিয়েছ। তারা আমাকে হেস্তনেস্ত করছে।
হক: আমি এখানে কোনো রাজনীতি করি না। হাইকোর্টে শুধু মামলা নিয়ে চিন্তা করি। #আইন #আদালত নিয়ে থাকি ।
জিন্নাহ : জানো, তুমি কার সাথে কথা বলছো ?
হক: আমি আমার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে কথা বলছি।
জিন্নাহ: নো নো, ইউ আর টকিং উইথ দ্য গভর্নর জেনারেল অব পাকিস্তান ।
হক: একজন কনস্টিটিউশনাল গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা আমি জানি।
জিন্নাহ: জানো, তোমাকে আমি কী করতে পারি ?
হক: (ডান হাতের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে) তুমি আমার এ্যাই করতে পারো। মিস্টার জিন্নাহ, ভুলে যাওয়া উচিত নয় এটা বাংলাদেশ এবং তুমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে কথা বলছ।
(আজিজুল হক শাহজাহানের কলাম,অমরাবতী প্রকাশনী,ঢাকা;পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭)
@bengali_convo
@masindia
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
পুরানো কলকাতার পতিতাপল্লী
বস্তুতঃ সেই যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে যে যুগের মানুষেরা পতিতাদের #ঘৃণা করতেন। এমনকি নারীদের মধ্যে যাঁরা #নাট্যশিল্পী ছিলেন, তাঁদেরও তাঁরা বিরূপ দৃষ্টিতে দেখতেন। #ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, বঙ্গদেশের রঙ্গালয়ের প্রথম অবস্থায় ভদ্রপরিবারের মহিলারা থিয়েটার দেখতে যেতেন না, যেহেতু তাতে বারাঙ্গনারা অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। ‘গিরিশচন্দ্র ঘোষ’ই ভদ্রপরিবারের মহিলাদের মন থেকে সেই সঙ্কোচটা দূর করেছিলেন। তিনি থিয়েটারের দ্বিতলে
‘চিক’-এর আড়ালে মহিলাদের জন্য #স্বতন্ত্র আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের সমাজ ও সমাজপতিদের কাছে পতিতারা ঘৃণিত জীব নয়। বর্তমান সমাজে তাঁরাও মর্যাদাসম্পন্ন এক শ্রেণী। তাঁরাও ‘মায়ের জাত’, তবে ‘পদস্খলিতা’ মাত্র। তাঁরাও তো সমাজের একটা অভাব পূরণ করেন। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারা যাবে যে এক শ্রেণীর নারীরা যদি সেই পথে না যেতেন, তাহলে সমাজে কি বিশৃঙ্খলাই না প্রকাশ পেত, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, যেখানে আজও পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা বেশ কম। এমনকি বর্তমান সময়ের জনগণনার হিসেবেও সারা ভারতে #পুরুষ ও নারীর অনুপাত সমান নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাচীন ভারতে কিন্তু বারাঙ্গনাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখা হত। রাজসভায় ও উৎসব-অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্য মর্যাদামণ্ডিত আসন সংরক্ষণ করা হত।
কলকাতায় পতিতাদের #আগমন ঠিক কবে ঘটেছিল, ঐতিহাসিকদের কাছে সেটা আজও অজানা। তবে এই বিষয়ে সবচেয়ে #প্রাচীন যে নজির পাওয়া যায়, তা হল খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যাহ্নের। সম্ভবতঃ সেই সময় থেকেই কলকাতা শহরে, #পতিতাপল্লী বেশ জাঁকালো ভাবে গড়ে উঠেছিল। কেননা, ১৭৫৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি’র ‘কনসালটেশনস্’ বই থেকে জানা যায় যে, #কোম্পানি - ‘ঈশ্বরী’ ও ‘ভবী’ - নামে দু’জন বারবনিতার মাল নিলামে #বিক্রি করেছিল। তবে ওই তারিখের আগেই যে কলকাতা শহরে #বেশ্যাপল্লী ছিল, সেটা জানা যায়, ‘সিরাজ’ কর্তৃক #কলকাতা আক্রমণের সময় (১৭৫৬) যে সব বিষয় সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল এবং যে সব সম্পত্তির জন্য ‘ #মীরজাফর’ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন, সেগুলোর নামের তালিকা থেকে। ঐতিহাসিকেরা ক্ষতিপূরণের সেই বণ্টন তালিকায় - ‘রতন’, ‘ললিতা’ ও ‘মতিবেওয়া’ নামে ‘গোবিন্দরাম মিত্রের’ আশ্রিতা #তিনজন গণিকার নাম পেয়েছিলেন। ‘জেমস লঙ’ সাহেব লিখে গিয়েছিলেন যে, ১৭৮০ সাল নাগাদ, #ইউরোপীয় জাহাজসমূহের নাবিকেরা, ‘চিৎপুর’ অঞ্চলের বেশ্যাপল্লীতে আনাগোনা করতেন। পরবর্তীকালে ‘চিৎপুর’ ‘গরাণহাটা’র বেশ্যাপল্লীহ ‘ #সোনাগাজী’ (পরে ‘সোনাগাছি’) নামে #প্রসিদ্ধ হয়েছিল। ‘সোনাগাজী’র উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায়, ‘প্যারীচাঁদ মিত্র’ লিখিত ‘আলালের ঘরের দুলাল’ গ্রন্থে। কিন্তু তার অনেক আগের সাহিত্যেও কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘ভবানীচরণ #বন্দ্যোপাধ্যায়’ লিখিত গ্রন্থসমূহে পুরানো কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ‘বেশ্যাপ্রধানা’ ছিলেন - ‘বকনাপিয়ারী’। ‘ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ রচনার অব্যবহিত পরেই ‘কৃষ্ণরাম বসু স্ট্রীটে’ (শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর পেছনে) ‘নবীনচন্দ্র বসু’র বাড়িতে ‘বিদ্যাসুন্দর’ নাটকের অভিনয় হয়েছিল। সেই নাটকে - ‘বিদ্যা’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, ষোড়শবর্ষীয়া ‘রাধামণি’ বা ‘মণি’, ‘রানী’ ও ‘মালিনী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - প্রৌঢ়া ‘জয়দুর্গা’ ও বিদ্যার সহচরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - ‘রাজকুমারী’ বা ‘রাজু’। তাঁদের সকলেকেই ‘বরানগরের পতিতাপল্লী’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। বরানগরের প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের কলকাতায়, এক #অবৈধ বণিক বা ‘ইন্টারলোপার’ এসেছিলেন। তাঁর নাম ছিল - ‘আলেকজাণ্ডার #হ্যামিল্টন’। হ্যামিল্টনের #ভ্রমণ-বৃত্তান্ত থেকে জানতে পারা যায় যে, তাঁর সময়ে, বেশ্যাদের প্রশিক্ষণ দেবার জন্য, বরানগরে একটি বিদ্যায়তন বা ‘সেমিনারি’ ছিল।
তবে কলকাতা শহরের মধ্যে ‘সোনাগাজী’ই ছিল সবচেয়ে #প্রসিদ্ধ বেশ্যাপল্লী। অষ্টাদশ শতাব্দীর কলকাতায়, ‘সোনাগাজী’ বলতে - ‘গরাণহাটা’, ‘দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রীট’, ‘মসজিদ বাড়ি স্ট্রীট’, ‘চিৎপুর রোডের ইমামবকস্ খালাতশ লেন’ ইত্যাদি অঞ্চলকেই বোঝাত। এছাড়া, #বেশ্যাপল্লী ছিল ‘রামবাগানের’ ‘মিনার্ভা থিয়েটারের’ আশেপাশেও। আরও বেশ্যাপল্লী ছিল - ‘শোভাবাজারের রাজবাড়ি’র পিছনে ‘ফুলবাগানে’, ‘শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো’র সামনে ও ‘কালাচাঁদ সান্যাল লেনে’, ‘হরলাল মিত্র স্ট্রীটের’ শেষপ্রান্তে ‘বাগবাজারের খালের মুখে’, ‘উল্টোডাঙ্গা’য়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘হাড়কাটা গলি’তে বা ‘প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীটে’, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দক্ষিণে ‘ছানাপট্টি’র পিছনের সরু গলিটার ভিতরে, ‘শ্যামবাজারের’ ‘কম্-বলিটোলা’য়, ‘গ্রে স্ট্রীট’ প্রভৃতি জায়গায়৷ তবে তৎকালীন কলকাতায় এমন একটি #বেশ্যাপল্লী ছিল, যেখানে ভারতের সব প্রদেশেরই, বিশেষ করে উড়িষ্যার বেশ্যারাই বাস করতেন। সেটা ছিল - ‘ধুকুরিয়া #বাগান’, ‘জানবাজারের’ রানী রাসমণির বাড়ির কাছে ‘রামহরি মিস্ত্রি লেন’ ও ‘উমা দাস লেনে’। এছাড়া তখনকার কলকাতা শহরের আরও নানা জায়গায় বেশ্যারা ছড়িয়ে ছিলেন, যেমন - ‘বালাখানা’, ‘গৌরীবেড়’, ‘জানবাজার’ ইত্যাদি জায়গায়৷ ‘কালীঘাট’ ও ‘চেতলা’ও বেশ্যাদের পীঠস্থান ছিল। কালীঘাটের বেশ্যাদের কথা প্রথম জানতে পারা যায়, জনৈকা #ইংরেজ মহিলা মিসেস ‘এলিজা ফে’-র বিলাতে এক বান্ধবীর কাছে লিখিত পত্র থেকে।
এখানে অবশ্য উল্লেখ্য যে, সেকালের ‘বটতলা’র সাহিত্য সংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল, সোনাগাছির বেশ্যাপল্লীরই আশেপাশে। এখানে আরও বলা দরকার যে, তৎকালীন কলকাতার রঙ্গালয় ও #অভিনয় কলার প্রথম অধ্যায় রচিত হয়েছিল কলকাতা শহরের বারবণিতাদের নিয়ে। বস্তুতঃ সে যুগের নামজাদা অভিনেত্রীদের মধ্যে যাঁরা যশস্বিনী হয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই পতিতাপল্লীর অধিবাসিনী ছিলেন। যথা - ‘ক্ষেত্রমণি’, ‘কাদম্বিনী’, ‘যাদুমণি’, ‘হরিদাসী’, ‘রাজকুমারী’, ‘বিনোদিনী’, ‘নারায়ণী’, ‘তারাসুন্দরী’, ‘আঙুরবালা’, ‘আশ্চর্যময়ী’ প্রমুখ। তাঁদের সকলকেই রূপজীবিকা মহল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তাঁদের অভিনয় দেখে চমকিত হয়েছিলেন ‘রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব’ ও ১৯২২ সালে স্বয়ং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’। এরপরে বঙ্গীয় রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস থেকে সেই সব রূপজীবিরা অন্তর্হিত হয়েছিলেন #বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে, যখন ‘শিশিরকুমার ভাদুড়ি’র সঙ্গে নাটকে #অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন শিক্ষিতা মহিলারা।
বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের গোড়ায় ‘লীগ অফ নেশনস্’-এর একটি সমীক্ষা #দল যখন #পতিতাবৃত্তি সম্বন্ধে সরজমিনে #তদন্ত করবার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন, তখন তাঁরা দেখেছিলেন যে, ‘পার্ক সার্কাস’ অঞ্চলে ‘সোভিয়েতদেশীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়ে খুব জাঁকালো রকমের বেশ্যাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন। তখন ‘অ্যাংলো-#ইণ্ডিয়ান’ বারাঙ্গনারা ‘ফ্রী স্কুল ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন, আর ‘ইউরোপীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন ‘পার্ক ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর দুই মহাপুরুষ - ‘শিবনাথ শাস্ত্রী’ ও ‘ #ঈশ্বরচন্দ্র #বিদ্যাসাগর’- পতিতাদের দুর্দশায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছিলেন। কথিত আছে যে, #বিদ্যাসাগর একদিন শীতের রাত্রে পথের ধারে কনকনে শীতের মধ্যে বারবনিতাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, চাদরের খুঁট থেকে অনেকগুলো #নোট বের করে তাঁদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন - “ #মা লক্ষ্মীরা, তোমরা ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে থেকো না, অসুখ করবে, যাও, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়।”
(তথ্যসূত্র:
১- History of Prostitution in India, S. N. Sinha & Nripendra Kumer Basu.
২- Prostitution In India, Santosh Kumar Mukerji.
৩- ৩০০ বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা, ডঃ অতুল সুর।)
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
আমি সবসময়ই বলি #আওয়ামী লীগ-#বিএনপি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
এই #জাতি যতদিন না দলকানা হওয়া থেকে বের হতে পারছে ততদিন পর্যন্ত অমানিশার অন্ধকার থেকে বের হওয়ার কোনো আশা নেই।
চিনা ড্রাগনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হংকং, তাইওয়ান সারা বিশ্বের সাথে ব্যবসা করে। চীন কি ওদের মেরে ফেলছে? আমরা কেনো ভারত নির্ভরশীল? এটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা। বিগত কোনো সরকার ভারতের বাইরে বাজার সৃষ্টির চেষ্টা করেনি। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম সহ সকল দেশ থেকে কৃষিপণ্য খুব সহজে আমদানি করা যায়। কিন্তু এই সরকার সব পথ বন্ধ রেখে ভারতের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশী হিন্দু হয়েও, ভারত বিরোধী কেন?
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগের কথাই যদি বলেন তবে দেখবেন শুধু #হিন্দু নয় মুসলমানরাও ভারতের সমর্থক ছিল। #ক্রিকেট খেলার সময় এটা বেশি বোঝা যেত। আমি নিজেও টেনডুলকার, জহির খান ও যুবরাজের ডাইহার্ট ফ্যান ছিলাম।
কিন্তু এখন কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে ন্যুনতম বাংলাদেশী মনে করে সে বাই ডিফল্ট #ভারত #বিরোধী হতে বাধ্য।
একটা একটা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার জন্য একটা কারণ থাকাই যথেষ্ট সেখানে ভারতকে বিরোধিতা করার জন্য অনেক শতাধিক কারণ আছে।
এখানে ভারত বিদ্বেষের জন্য #পিনাকী বা অন্য কাউকে সিঙ্গেল আউট করতে চাই না। ভারতীয়দের কার্যক্রমই বাংলাদেশীদের ভারত বিদ্বেষী হতে বাধ্য করে। আর যাই হোক, কোনো #গণতান্ত্রিক দেশের জনগণ তাদের রাজনীতিতে বিদেশি #হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। ভারত শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপই করেনি বরং একটি পাপেট সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে সহায়তাও করেছে।
বাংলাদেশের #বর্তমান #প্রজন্ম যাদের বয়স মোটামুটি ১৮-২৬ বছর পর্যন্ত তাদের #সিংহভাগ এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেনি। কারণ প্রতিবেশী দেশের প্রত্যক্ষ সংযোগে বাংলাদেশে ঝেঁকে বসা #স্বৈরাচার সকল #গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
গভীর #দুঃখ নিয়ে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এক #বীর #হিন্দু #মুক্তিযোদ্ধা।
এই তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নাম #জহর #সেন। বাড়ি #সিলেট, ছবির লোকেশন #কুষ্টিয়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রথমে #যুদ্ধ করেন, পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে। এখন তিনি থাকেন ভারতের আসামের করিমগঞ্জে। তিনি একাই ১৭ জন #পাকসেনা ও দুই #আলবদর মেরেছিলেন। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার বোন #ধর্ষিতা হয়েছে, তাঁর বাবা মাকে #হত্যা করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার #সনদ নিতে যাননি। পরে দেশে নিরাপদ বোধ না করায় ১৯৯০ সালে এ ভারত চলে যান। শুধু নিরাপত্তার অভাবে একজন বীর #মুক্তিযোদ্ধা নিজের হাতে #স্বাধীন করা দেশে থাকতে পারেননি, এ বেদনার, লজ্জার।
#সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের জন্য শঙ্কিত হয়ে— #অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে লড়াই করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নব্বইয়ে #দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে— এরচেয়ে বড় বেদনার ও লজ্জার কিছু নেই। পরিচিত লোকেরা বলে তিনি বর্ডারের কাছেই নদীর পাড়ে বাড়ি করেছেন। আর ঘরের জানালায় বসে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
(তথ্যসূত্র: মুহাম্মদ #আতাউল #গণি ওসমানীর পিএস সালেকউদ্দিনের লেখা বই ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ’। এছাড়া দেবদুলাল মুন্না নিজেও ওনার সাথে ৮৮ সালে দেখা করেন। 'প্রিয় প্রজন্ম' ম্যাগাজিনে সেটার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল।) একাত্তরের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় তোলা ছবি এটি।
ছবি: অ্যান ডি হেনিং
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
"সকল বাঙালী এক হও, বাংলাতেই ফেডিভার্স সাজাও"
It's an unofficial account which spread Bangla language & culture on Fediverse. All toots are collected from different place like Quora, Facebook, Newspaper, Blog etc. All Bengali people welcome who living on different place in the world.
টুট করার সময় এই গ্রুপকে মেনশান করুন(+ বাদে):
@+bengali_convo@a.gup.pe
@+masindia@a.gup.pe
https://buddyverse.xyz/ এই ইন্সট্যান্স টি বাঙালি @mitexleo ভাই চালু করেছে। এখানে সবাই জয়েন করতে পারেন।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
Old Account: @Bangladesh
Originally joined mastodon in 2019