যে #পোস্ট #অফিসে একটা মানি অর্ডার আসার জন্য তীর্থের কাকের মত জনতারা #অপেক্ষা করত,সেটা আজ পরিত্যক্ত।
যেই ছেলে ১৩ টাকার #বেনসন কিনে বন্ধু'দের সামনে অহংকারের ধোঁয়া ছাড়তো...সেই ছেলে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মানুষের কাছে দোয়া চায়...!!
ন্যায্যমূল্যে ৫ কেজি মোটা #চাল কেনার জন্য যেই লোক'টা কাঠফাটা রৌদ্রে ২০ জনের পিছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো দুই-আড়াই ঘন্টা, আজ উনার বাড়ীর সামনে লোকজন লাইন ধরে বসে থাকে পেটভরে খেতে পাবে সেই আশায়...!!
মাসের ৫ তারিখের মধ্যে #ভাড়া দিতে না পারলে,বাড়ী ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিতেন যেই হাজীসাহেব..উনি আজকে শ্বশুরবাড়ীতে #আশ্রয় নিয়েছেন #ব্যাংক নিলামের শিকার হয়ে...!!
যে #শিক্ষক ক্লাসের সবচেয়ে অপছন্দের ছেলেটা কে অমানুষ বলে প্রতিদিন অপমান করত সেই ছেলেটাই আজকে #দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষকের সন্তানকে মানুষ বানানোর বৈশ্বিক চ্যালেন্জের...!!
এক সময়কার নামকরা বিউটি সোপ #কসকো আজ #টয়লেটে ব্যবহৃত হচ্ছে। পূর্ব পুরুষ হতে #প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে যারা আপনার বাড়িতে কাজ করে পেটের জ্বালা মিটাত তাদের সন্তানেরা আজ আপনার বংশধরদের ভিটেছাড়া করতে চায়!!
#সময় খুব'ই নির্মম,খুব'ই অমানবিক আবার মাঝে মাঝে খুব'ই রোমান্টিক! কখন কি উপহার নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে আপনার সামনে,আপনি টেরই পাবেন না...!!
সময় কখনোই স্থির নয়, সব-সময় আপনার নয়, #সারাজীবন আপনার পক্ষেও নয় আবার বিপক্ষেও নয়! সুতরাং এই সময়'কে সুযোগ দম্ভ, প্রতিশোধপরায়ন, #হতাশ কিংবা আনন্দিত হবার কিছুই নাই, #অহংকার কিংবা দাম্ভিকতারও কিছুই নাই... চিরকাল কারো সমান নাহি যায়। আপনার এই কষ্টের সময়ও #একদিন ফুরিয়ে যাবে #ইনশাআল্লাহ। শুধু ধৈর্য্য দরে সময়ের সৎ ব্যবহার করে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে পরিশ্রম করাই আমাদের কাজ।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
কুমিল্লার গুনবতী বাজারের ব্যবসায়ী মরহুম আমীর হোসেন সওদাগরের #জানাজা হচ্ছে।
জানাজাতে উপস্থিত মুসল্লীদের পিছনে বিমর্ষ হয়ে বসে থাকা এই ব্যক্তির নাম সুধীর বাবু।
মৃত আমীর সওদাগর এবং সুধীর বাবু ছোট বেলার বন্ধু। গুনবতী বাজারে দীর্ঘ বছর একসাথে #ব্যবসা- বানিজ্য করে আসছেন উনারা।
আজ সেই বন্ধুর মৃত্যুর পর সুধীর বাবু জানাজার পিছনে উপস্থিত হয়ে #অশ্রু ঝরাচ্ছেন।
সত্যিকারের #বন্ধুত্ব আসলেই এমন হয়।
যে বন্ধুত্ব #জাত দেখে না, #ধর্ম দেখে না,ধনী-গরিবের ভেদাভেদ চিনে না।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
কথা আর কাজের কোন মিল নাই!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
America will not give visas to Bangladeshis involved in vote robbery in the next election.
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
চরম দুর্ভাগ্যকে সাথে নিয়ে জম্মেছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন #নবাব #সিরাজদ্দৌলা। অপরিমিত ঐশ্বর্য আর বিলাসে কাটে তাঁর বাল্যজীবন। সিরাজ ছিলেন চরম #ইংরেজ বিদ্বেষী। আর তাই ইংরেজ সরকারি কর্মী আর ঐতিহাসিকরা এই মানুষটিকে নারীলোলুপ এক অপরিনত নৃশংস দানবিক চরিত্রে পরিনত করেছিলেন। যার সাথে দেশীয় ঐতিহাসিকরাও গলা মেলান।
অন্ধকুপ হত্যার মত মিথ্যাচার নির্দ্বিধায় প্রচার করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সাম্প্রদায়িক, সাম্রাজ্যবাদী এবং মুসলমান বিদ্বেষী ইংরেজ, মার্সম্যানের 'বাংলার ইতিহাস 'হুবহু অনুবাদ করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র। বই অনুদিত হওয়ার সাথে সাথে তা পাঠ্যপুস্তক হিসাবে নির্বাচিত হয়। বছরের পর বছর বিদ্যাসাগরের ছাপাখানায় ছেপে সারা বাংলার স্কুলে পাঠ্যপুস্তক হিসাবে পঠিত হয়। বাংলার সরলমতী ছাত্র ছাত্রীরা মিথ্যা এবং বিকৃত ইতিহাস পড়ে সিরাজ এবং বাংলাকে জানে।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ১৮৯৭ খ্রীস্টাব্দে, পলাশীর অন্যায় যুদ্ধের প্রায় ১৫০ বছর পরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে অন্ধকারের কালিকামুক্ত করেন।
বিদ্যাসাগরের লাইব্রেরিতে যথেষ্ট বই মজুত ছিল যার ভিত্তিতে সিরাজের বিরুদ্ধে বৃটিশ অপপ্রচারের জবাবী #ইতিহাস লিখতে পারতেন বিদ্যাসাগর। কিন্তু তার সে দায় ছিল না। তার আনুগত্য ছিল সাম্রাজ্যবাদের প্রতি আর নজর ছিল পুস্তক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থউপার্জন। হোকনা তা মিথ্যা ইতিহাস প্রচার।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয়ের 'সিরাজদ্দৌলা' একটি ব্যতিক্রমী ইতিহাস। সিরাজের প্রতি অন্যায়ের বাঙালীর প্রথম পাপস্খলনে'র প্রয়াস। একটি অবশ্যপাঠ্য পুস্তক।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#book
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
বীর্য স্খলনের পর যদি মানুষটাকে অসহ্য লাগা শুরু হয়, তাহলে আপনি কামুক, এখনো #প্রেমিক হয়ে উঠতে পারেননি!
প্রেমিক হলে, মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বিপরীত মানুষটার নিদ্রা পর্যন্ত #অপেক্ষা করতেন।
একটা বয়সে আমরা প্রেমের পাশাপাশি শরীরটাকেও ভীষন ভাবে প্রত্যাশা করি!
আবার একটা সময় #শরীরের পাশাপাশি আমাদের প্রেমটাও ভীষন প্রয়োজন হয়!
নগ্ন দেহে কোন মুগ্ধতা নেই!
মুগ্ধতা পাওয়া যায় প্রেমিকার চুলে, গালের টোলে, কপালের টিপে, চোখের কাজলে!
#প্রেম মানে "তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে ২৫৬ বার মরে যাওয়া যায়"!
প্রেম মানে "তুমি ঘুমাও, আমি একটা আস্ত রাত জেগে থেকে তোমাকে দেখি"!
ভালোবাসার জন্য আপনি শরীরকে অস্বীকার করতে পারবেন না, তাহলে শরীরের জন্য কিভাবে ভালোবাসাকে অস্বীকার করেন!
ভালোবাসায় শরীর আসবেই, তবে শরীরেও যাতে ভালোবাসা আসে। আমরা হৃদপিন্ডের গভীরতা অনুসন্ধান করতে শিখিনি!
একটা রাত কাপড় খুলে শুয়ে না থেকে, মানুষটার হাত ধরে বসে থেকে দেখুন!
দু চারটা সুখ-দুঃখের কথা শুনুন! বিপরীত মানুষটাকে একটু সময় দিন!
মানুষটার বুকের ভেতর আপনার জন্য একটু #মুগ্ধতা আসুক!
মুগ্ধতাহীনতায় আক্রান্ত হৃদপিন্ড একসময় আপনার লং টাইম ডিউরেশনাল যৌনতার প্রতিও আর আগ্রহবোধ করবে না!
যার প্রতি প্রেম থাকে না, তার জন্য কাম ও জাগে না!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
কাজী নজরুল ইসলামের, পুত্র বধূ উমা কাজী ❤️
বিদ্রোহী কবি #কাজী #নজরুল #ইসলামকে সেবিকার যত্নে, মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন যিনি, তিনি #উমা কাজী। এই ব্রাহ্মণ-কন্যাটি ছিলেন কবির পুত্র কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, #বিদ্রোহী কবি নজরুলের #পুত্রবধূ।
“যেখানেতে দেখি যাহা;
মা-এর মতন আহা।
একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,
মায়ের মতন এত
আদর সোহাগ সে তো
আর কোনোখানে কেহ পাইবে, ভাই !”
কাজী নজরুল ইসলাম নিজের "#মা"বাদেও আর একজন নারীর মধ্যে নিজের মাকে খোঁজে পেয়েছিলেন ! যে নারী সন্তানের মতো নির্বাক ও প্রায় স্মৃতিশক্তিহীন কবি নজরুলকে মায়ের ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন। আর স্নেহ-মায়া, ভালোবাসায় দিয়ে, যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ দূর করা যায়, তার উদাহরণ উমা কাজী এই মানুষটি!
কাজী নজরুল-এর বড় ছেলে কাজী #সব্যসাচীর #স্ত্রী, অর্থাৎ নজরুলের পুত্রবধূ।
আসলে, তিনি ছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। #হিন্দু ও #ব্রাহ্মণ পরিবারের কন্যা হয়েও #মুসলিম পরিবারের পুত্রবধূ হয়েছিলেন ! সেই অনেক বছর আগে। উমার বাবা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং মা বাদলা মুখোপাধ্যায়। তার জন্ম বর্ধমানের কাটোয়া অঞ্চলে।
লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার ‘লেডি ডাফরিন #মেডিকেল হাসপাতাল’ থেকে ট্রেনিং নিয়ে নার্স হয়েছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। থাকতেন সেখানকার নার্সিং হোস্টেলেই। ছোটকাল, থেকেই সেবিকা হতে চাইতেন তিনি। সেখানকারই এক হেড নার্স ঊষা দিদি, উমাকে এক নতুন পথের দিশা দেখান। উমাকে তিনি নিয়ে যান #অসুস্থ বিদ্রোহী #কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাড়ীতে। কবির সেবা করার জন্য প্রয়োজন ছিল এক নার্সের। নির্বাক কবি তখন কলকাতার মানিকতলায় থাকতেন। নানা অসুস্থতায় জর্জরিত হলেও, দুই বাংলাতেই সমান্তরারালে তখন কবিকে নিয়ে কোনো অংশে উন্মাদনা কম নয়!
এমনই সময়ে কবির মাথার কাছে গিয়ে বসলেন #তরুণী উমা। নজরুলের স্ত্রী #প্রমীলা দেবী বলেছিলেন, “তুমি কি পারবে 'মা' কবির সেবা করতে ? ঐ যে দ্যাখো, উঁনি খবরের কাগজ ছিঁড়ছেন। উঁনি এখন শিশুর মতো।” এ প্রশ্নের উত্তরে উমা বলেছিলেন, “আমরা তো কলকাতার হাসপাতালে শিশু বিভাগেই ডিউটি করেছি। কবি যদি শিশুর মতো হন, তবে নিশ্চয়ই পারবো।”
#সেবা ও স্নেহের পথ পরিক্রমায় উমাই হয়ে উঠলেন কবি নজরুলের প্রিয় মানুষ। তাঁকে স্নান করানো, খাওয়ানো, দেখ-ভাল করা, গল্প শোনানো। উমার হাতের স্পর্শ যেন কবির কাছে মায়ের আঁচলের মতো হয়ে ওঠে। কিন্তু এরই মধ্যে উমার সেবার মনোবৃত্তি দেখে, মিষ্টি ব্যবহার দেখে কবির বড় ছেলে কাজী সব্যসাচী,উমার প্রেমে পড়ে গেলেন । উমাও সব্যসাচীকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ফেললেন।
#বিয়ে হল ব্রাহ্মণের মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে, উমা মুসলিম পরিবারকে আপন করে নিলেন। মুসলিম ধর্মান্তরে উমা মুখোপাধ্যায় হয়ে গেলেন, উমা কাজী। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা নজরুলও এমন এক মেয়েকে ঘরের বৌমা হিসেবে পেয়ে খুশি হলেন। উমা মুসলিম পদবী গ্রহণ করলেও, তাঁর নামে থেকে গেল দুর্গা'র চিহ্ন।
#শাশুড়ি প্রমীলাদেবী উমা বৌমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন। এদিকে কবি নিজেও বৌমা অন্তঃপ্রাণ। বৌমা চন্দন সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে না দিলে স্নান করবেন না নজরুল, দাঁড়ি বৌমাই কেটে দেবে, খাইয়ে দেবে বৌমা। আদরের বৌমার কাছে শিশুর মতো আবদার বায়না করতেন কবি। এমনকি পরিধেয় জামাকাপড়ে নীল বোতলের আতর-সুগন্ধিও বৌমাকেই লাগিয়ে দিতে হবে।
উমা একদিকে নিজের নতুন সংসার সামলাচ্ছেন আর অন্যদিকে কবিকেও সামলাচ্ছেন। ধীরে ধীরে এল সব্যসাচী-উমার ঘরে তিন সন্তান,
- মিষ্টি কাজী,
- খিলখিল কাজী এবং
- বাবুল কাজী। তিন নাতি-নাতনি দাদা নজরুলের কাছেই থাকত বেশি সময়। কবিও তো শিশুর মতোই। সন্তানদের সঙ্গেই কবিকেও আসন পেতে বসিয়ে ভাত খাইয়ে দিতেন উমা কাজী।
পরবর্তীতে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সুস্থ করতে দুটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়, যে বোর্ডের সদস্যদের কবির সমস্যাগুলি বুঝিয়ে দিতে যেতেন, উমা নিজেই । কিভাবে কবির #স্মৃতিশক্তি ফেরানো যাবে, কথা বলানো যাবে, এ সব ভাল করে শুনে সেবার ধরণও বুঝে নিতেন উমা। পাশাপাশি স্বামীর খেয়াল রাখা থেকে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, সবটাই দেখতেন উমা কাজী।
এরি মধ্যে #কবিপত্নী #প্রমীলা #দেবী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শাশুড়ির সব দেখভালের দায়িত্বও নিলেন উমা কাজীই। কবির আগেই চলে গেলেন কবিপত্নী। দীর্ঘ ৩৮ বছরের সংসার জীবনের পর, ১৯৬২ সালের ৩০শে জুন মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রমীলা কাজী। তাঁকে কলকাতা থেকে চুরুলিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজী পাহালোয়ানের দরগার পাশে কবিপত্নীকে সমাহিত করা হয়।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর উদ্যোগে স্বপরিবারে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডে (বর্তমান নজরুল ইনস্টিটিউট সংলগ্ন) কবি ভবনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁরা বসবাস শুরু করেন। কাজী #সব্যসাচী কর্মসূত্রে কলকাতায় থেকে গেলেও উমা কাজী কবিকে দেখার জন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ধানমণ্ডির বাড়িতে নজরুল নাতি-নাতনি নিয়ে খেলা করতেন, বাগানে ঘুরে বেড়াতেন।
কবির জন্মদিন পালন হতো বেশ বড় করে। অতিথিরা আসতেন, কবিকে সবাই মালা পরাতেন । কবি সেইসব মালা পরে খিলখিল করে হাসতেন। হারমোনিয়াম দেখিয়ে সবাইকে বলতেন গান করতে। নাতি-নাতনিরাও নজরুল সঙ্গীত গাইতেন। নির্বাক কবিই কখনও হেসে উঠতেন আবার কখনও নির্বাক হয়ে অঝোর ধারায় কেঁদে যেতেন। একটার পর একটা নিজের সৃষ্টি শুনে। সব যন্ত্রণা যেন গানে গানে ঝরে পড়ত কবির চোখের জলে।
জীবনের #শেষ দিকে বিছানাতে স্থায়ী ঠিকানা হলো কবির। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতেন উমা। তিনি যে সেবিকা থেকে ততদিনে তিনি যে কবির 'মা' হয়ে গিয়েছিলেন ! তাই, তো এত কিছুর মধ্যেও এতটুকু ফাঁক-ফোঁকর পড়েনি! ছেলে-মেয়েদেরকে বড় করার বা শাশুড়ির অবর্তমানে সমগ্র সংসার সামলানোর বা কাজী সব্যসাচীর যোগ্য সহধর্মিণী হয়ে উঠার।
২৯ আগস্ট ১৯৭৬ ইং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল #প্রয়াত হন। চির বিদায়ের শেষ সজ্জায় কবিকে সাজিয়েও দিয়েছেন উমা কাজী। তিন বছর পরে ১৯৭৯ সালের ২ মার্চ কলকাতায় মারা যান আবৃত্তিকার স্বামী কাজী সব্যসাচী। অকালেই চলে যান অসুখে। ফলে আরও কঠিন দায়িত্ব এসে পড়ে উমার কাঁধের উপর। তখন ম্লান হয়ে আসছে কাজী পরিবারের যশ-খ্যাতি। একা হাতে বিখ্যাত কবি পরিবারকে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করেন উমা। তিনি না থাকলে কাজী পরিবার আজ খ্যাতি আর পরিচিতির জায়গাটা হয়তো ধরেই রাখত পারতো না। বিখ্যাত পরিবারে বিখ্যাত সদস্যদের পেছনে কাণ্ডারীর মতো শক্তির উৎস হয়ে উঠেছিলেন এই উমা মুখোপাধ্যায় তথা উমা কাজী।
উমা নিজেই যখন দাদী-নানী হলেন, তখন তিনিও কবির মতই তাঁর নাতি-নাতনিদের গল্প বলতেন। কাজী নজরুল, প্রমীলাদেবী, কাজী সব্যসাচী সকলের কথা তিনি বলতেন নাতি-নাতনিদের। তারাও কাজী নজরুলকে ছুঁতে পারত উমার গল্পে। উমা জানতেন, উত্তরাধিকারী নবীন প্রজন্মকে কবির কাজে আগ্রহী করলে কবির কাজ বেঁচে থাকবে, আরও এগুবে তাঁর সৃষ্টি। উমা যেন সারাজীবন কবির সেবিকা ও সাধিকা হয়ে রইলেন। এইভাবেই ৮০টি বসন্ত পেরিয়ে প্রয়াত হলেন উমা কাজী। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে আর শেষ দিকে স্মৃতিভ্রংশতায় ভুগছিলেন, কবির মতোই। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ইং সালে ঢাকার বনানীতে 'কবি ভবন'-এ প্রয়াত হন ভালোবাসার মনুষ্যত্ব ও সেবার ধর্ম সারাজীবন ধরে পালন করা মানুষ উমা কাজী। বনানীতেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।
কাজী বংশের এই শ্রেষ্ঠ "মা"কে বর্ণনা করা যায় নজরুলের কবিতা দিয়েই !
“হেরিলে মায়ের মুখ
দূরে যায় সব দুখ,
মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরাণ,
মায়ের শীতল কোলে
সকল যাতনা ভোলে
কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান।
কত করি উৎপাত
আবদার দিন-রাত,
সব স'ন হাসি মুখে, ওরে সে যে মা!
আমাদের মুখ চেয়ে
নিজে র’ন নাহি খেয়ে,
শত দোষী তবু মা তো ত্যাজে না।”
অভিনন্দন ❤️🌸❤️
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
#হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের #ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, 'যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।' ওই সময় #তুর্কি বংশোদ্ভূত #ইখতিয়ার #উদ্দিন মুহম্মদ #বখতিয়ার খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার #খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।
#ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, '#মুসলমান সম্রাটরা বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।' অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এ দেশে আরও কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকত, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।'
#মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।
বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮শ’ সনে #ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে #সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় #কুরআন মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।
সুত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫, পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
#নটরডেম #কলেজ ঢাকার রসায়নের শিক্ষক সঞ্জিত কুমার গুহ। ১৬ #ডিসেম্বর এর আগের দিন ক্লাসে সবাই খুশি কারণ এর পর দিন বন্ধ….তো গুহ স্যার বললেন,"তোমরা সবাই খুশি কালকে কলেজ বন্ধ তাই না?তোমাদের একটা ঘটনা বলি।#মুক্তিযুদ্ধে তো অনেক মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিলো তাই না?আমার খুব কাছের একজনকে #পাকিস্তান সেনারা #ধর্ষণ করে ও মেয়েটি এর পরেরদিন আত্মহত্যা করে মারা যায়।জানো মেয়েটি কে?মেয়েটি আমার বোন আমার নিজের #বোন।আমি আমার বোনের চেয়ে অপূর্ব মেয়ে জীবনে কোনোদিন দেখিনি।সেই থেকে আমার পরিবার কোনোদিন ১৬ ই ডিসেম্বর পালন করিনি।বাদ দেও এসব কথা এই যে লাস্ট বেঞ্চ মিডেল ম্যান বলো সোডিয়াম ক্লোরাইড এর কেপি কেসির মান কতো,কুইক।"
একটি #দেশের প্রশিক্ষিত #সেনাবাহিনী কিভাবে সবার সামনে ধর্ষণ করে, তাও আবার দল বেধে?
তোর হাতে একটা #পিস্তল থাকলে তুইও করতি।
পাকিস্তানিগো ধর্ষণে বাধা দিতে গেলেই গুলি কইরা খুন।
আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতম কর্মকাণ্ডের কথা শুনি👇
১। স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা #বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণ-ধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে #কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিলো। অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা #ধার্মিক হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব ছিল,“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিল যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের #গর্ভবতী করে যেতে হবে।”“We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”
২। ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে #চিঠি লিখেছে;“আমাদের এসব উ-শৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো #মুসলিম এবং ভালো #পাকিস্তানী”“We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”(Tikka khan, one of the leading general of Pakistan on 1971.)
৩। একাত্তরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব পাকিস্তানের সকল ডিভিশান কমান্ডারের কনফারেন্সে এক অফিসার তুলছিল পাকিস্তানী #সেনা কর্তৃক বাঙ্গালী নারীদের ধর্ষণের প্রসঙ্গ । #নিয়াজী তখন সেই অফিসারকে বলেন, “আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিও।” তারপর তিনি হেসে বলেন, “ভালই তো এসব বাঙ্গালী রক্তে #পাঞ্জাবী রক্ত মিশিয়ে তাদের জাত #উন্নত করে দাও।”September 1971, in a conference of Pakistan army, an officer told to general Niazi about the mass rape done by the Pakistan army. General Niazi told to that officer-
“We are in war now, and in war it is normal”
Then he smiled and said-
“Isn’t it good?”এই ধর্ষণের পক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলতেন,-“আপনারা কি ভাবে আশা করেন একজন সৈন্য থাকবে, যুদ্ধ করবে, মারা যাবে পূর্ব পাকিস্তানে এবং যৌন ক্ষুধা মেঠাতে যাবে ঝিলমে(পতিতালয়ে)?”
৪।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার আবদুল রহমান সিদ্দিকী তার East Pakistan The Endgame বইতে আরও লেখেন- “নিয়াজী জওয়ানদের অ-সৈনিকসুলভ, অনৈতিক এবং কামাসক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতেন। ‘গত রাতে তোমার অর্জন কি শেরা (বাঘ)?’ চোখে শয়তানের দীপ্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন তিনি। অর্জন বলতে তিনি ধর্ষণকে বোঝাতেন।
৫।পাকিস্তানী #জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা “অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি” বইতে লিখেছেন, নিয়াজী ধর্ষণে তার সেনাদের এতই চাপ দিতেন যে তা সামলে উঠতে না পেরে এক বাঙালি সেনা অফিসার নিজে #আত্মহত্যা করেন। এখানেই শেষ নয়👇“বেগ সাহেবের জন্য ভালো মাল পাঠাবেন। রোজ অন্তত একটা।” মাল বলতে এখানে বাঙালী মেয়েদের কথা বলা হয়েছে।
৬।সিলেটের শালুটিকরে পাকিস্তানী ক্যাম্পের দেয়ালে পাকি সৈন্যদের আঁকা ছবিটি দেখুন (Mastodon not allow more picture.)
৭।ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”-তে উঠে আসে অনেক তথ্য যা পাঠকদের নিঃসন্দেহে আগ্রহ জোগাবে।
এক. “যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল #মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।”- ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা।
দুই. এরপর তারা আমাদের সব মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে লাইন করে দাঁড় করাল। আমাদের বাচ্চারা #চিৎকার, কান্নাকাটি করছিল। এই পরিস্থিতিতে আর্মিরা বলল, তাদের #প্রস্তাবে রাজি না হলে বাচ্চাদের পা ধরে ছিঁড়ে ফেলবে…।-জোহরা, ছাতনী (দত্তের বাগান), নাটোর।
তিন. #ধর্ষিতা মেয়েরা চিৎকার করে আমাদের বলতেন ‘আমরা তো মরে যাব, আপনারা যদি কেউ বেঁচে যান তাহলে আমাদের কথা আমাদের বাড়িতে গিয়ে বলবেন।’…
চার.পাকিদের নির্যাতনের ধরন ছিল বীভৎস। তারা মেয়েদের স্তন কেটে ফেলত, যৌনাঙ্গে রাইফেল ঢুকিয়ে #গুলি করত; এমনভাবে নির্যাতন করত যে সে প্রক্রিয়া আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না, এসব আমি নিজের চোখে দেখেছি।-মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ, #ফরিদপুর।
পাঁচ. পাকি বর্বরেরা প্রত্যেক মহিলাকে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের হত্যা করে। ধোপা যেভাবে কাপড় কাচে সেভাবে রেললাইনের ওপর মাথা আছড়ে, কখনও দু’পা ধরে টান দিয়ে ছিঁড়ে দু’টুকরা করে হত্যা করেছে শিশুদের। স্বাধীনতার অনেকদিন পরেও সেখানে মহিলাদের #কাপড়, ক্লিপ, চুল, চুলের খোঁপা ইত্যাদি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে আমি আমার ছোট বোনের ফ্রকের এক টুকরো কাপড় খুঁজে পাই।-বিনোদ কুমার, নীলফামারী।
ছয়. আমাদের পাশের বাড়ির একটি মেয়ে। সদ্য #মা হয়েছে, আট দিনের বাচ্চা কোলে। ঐ সময় সে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। এমন সময় বাড়িতে আক্রমণ। ঘরে তখন কেউ ছিল না। এরপর যা হবার তাই হল, মেয়েটির উপর চলল অমানুষিক নির্যাতন। এরমধ্যেই দুপুর গড়িয়ে এল, পাকিরা খাবার খেতে চাইল। ঘরে কিছু না থাকায় ক্ষেত থেকে বেগুণ এনে দিতে বলল। ভীত মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছিলো দেখে পাকিরা তার বাচ্চাকে গরম ভাতের হাঁড়িতে ছুঁড়ে দিয়ে ঘর থেকে নেমে গেল। -ভানু বেগম, ছাব্বিশা, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল।
সাত. “মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় #খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে #হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে #উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।” -মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।
আট. “আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিঁড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা #স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।”-মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।
নয়. “১৮ ডিসেম্বর #মিরপুরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা।”-বিচারপতি এম এ সোবহান।
দশ. “ #যুদ্ধের পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই।”-ড. রতন লাল চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ ঢাকা #বিশ্ববিদ্যালয়।
এগারো. “কোন কোন মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।”-সুসান ব্রাউনি মিলার, গবেষক।
৮। খুলনার একটি #ক্যাম্প থেকে যখন কাচের জারে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় খুব নিখুঁতভাবে কাঁটা। যখন সিলেটের দেয়ালে ধর্ষকেরা সদম্ভে এঁকে রেখে যায় নিজেদের কৃতকর্ম, তখন বুঝে নিতে হয় এই #ধর্ষণ দু’একজন সামরিক কর্মকর্তার বিচ্ছিন্ন মনোরঞ্জন নয়। তখন বুঝতে হয় তারা এসব করেছিলো একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে, আর সেই এজেন্ডার কথা সৈয়দ সামসুল হক তার কালজয়ী নিষিদ্ধ #লোবান উপন্যাসে লিখেছেন সবচেয়ে সুন্দর করে।
৯।"আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ইমান রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে।”- নিষিদ্ধ লোবান, সৈয়দ শামসুল হক,সূত্র:জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা: অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি
এই সব খণ্ড খণ্ড জবানবন্দী এই কথাই প্রমাণ করে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ সাধারণ কোন যুদ্ধের ধর্ষণ নয়। শুধু ধর্ষণের জন্য বেয়নেট দিয়ে যোনি পথ খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতে হয় না, দাঁত দিয়ে স্তন ছিঁড়ে ফেলতে হয় না, দু দিক থেকে পা টেনে চিঁরে ফেলতে হয় না।
#পাকিস্তান #সরকার আজ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের কর্মকান্ডের জন্য #ক্ষমা চেয়েছে?
হিটলারের কর্মকাণ্ডের জন্য #জার্মানি ক্ষমা চেয়েছে,জার্মানিতে হিটলারের স্যালুট দেবার পদ্ধতি এখন আইনত দন্ডনীয়।
কিন্তু পাকিস্তান গত ৫০ বছরে একবারও কেন ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের কাছে?
কেন পাকিস্তান এখনো ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি?
কেন পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে ১৯৭১ সালে বাঙালিদের উপর চালানো ও ধর্ষণের কথা অন্তর্ভুক্ত করেনি?
আর আপনার মায়ের যোনিতে কেউ ছুরি ঢুকিয়ে খুন করলে কি আপনি তাদের ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করতেন?
আপনার মায়ের স্তন কেউ টেনে ছিড়ে ফেললে তাকে ক্ষমা করতেন?
আপনার মায়ের পাছার মাংস কেউ ছুরি দিয়ে কাটলে তাকে ক্ষমা করতেন?
আমরা কখনো এই পাকি জাতি কে ক্ষমা করবো না।
#HatePakistaniPeople #HatePakistaniRaper
#FuckPakiPeople
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
@Bangladesh @arinbasu @arinbasu1 @BengaliBabuspeaketh @iambengaleebabu @bengali_convo @masindia আমি প্রথমে ক্লিমন্ট এটলির প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করি। 'লেবার পার্টি'র নেতা এটলি ১৯৪৫ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ভারতের স্বাধীনতার পরে তিনি যখন ভারতে আসেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল (নামটা আমি ভুলে গিয়েছি) তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, "গান্ধীজির আগস্ট আন্দোলন তো ১৯৪৪-এর আগেই মিইয়ে গিয়েছিল, তবে তড়িঘড়ি করে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার প্রয়োজন পড়লো কেন?" তার উত্তরে এটলি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম করেন। এরপর রাজ্যপাল মশায় যখন ভারতের স্বাধীনতায় গান্ধীর ভূমিকা জানতে চান, তখন এটলি বলেন, "মিনিম্যাল"।
এই হল ঘটনা। এখানে লক্ষণীয়, মাননীয় রাজ্যপাল কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা কেন তড়িঘড়ি করে দিতে হয়েছিল, সেই প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন করেননি। এটলিও কেবল ১৯৪৭-এ দ্রুত স্বাধীনতা দেওয়ার প্রেক্ষিতেই সুভাষচন্দ্রের নাম করেছেন এবং গান্ধীর ভূমিকাকে ন্যূনতম বলেছেন। তিনি ঠিকই বলেছেন; সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ-ভারত সেনাবাহিনীর ভারতীয় সেনাদের বিদ্রোহী করে তুলেছিল যার ফলে সাম্রাজ্য বজায় রাখার প্রধান অস্ত্র সেনাবাহিনীই তখন অসন্তুষ্ট, অপরদিকে বৃদ্ধ ও হৃতসমর্থক গান্ধী সেই পিরিয়ডে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেননি।
এটলির মন্তব্যকে এই প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হবে। কিন্তু আজকাল অনেক ডানপন্থী ভাষ্যকার প্রেক্ষিতটা উহ্য রেখে এই মন্তব্যকে উপস্থাপন করেন, যাতে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকাকে ছোটো করে দেখানো যায়। এটা সর্বৈব ভুল। ভারতের জাতীয় আন্দোলনে গান্ধীজি ছিলেন প্রথম সর্বভারতীয় নেতা। তিনিই "তিন দিনের তামাশা" বলে পরিচিত কংগ্রেসকে প্রকৃত অর্থে ভারতের জাতীয় সংগঠনে পরিণত করেছিলেন। তিনিই দেশকে জনআন্দোলন কাকে বলে তা শিখিয়েছিলেন। অসহযোগ ও আইন অমান্যের মতো অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন, যা আজও সমস্ত দল ব্যবহার করে থাকে।
এবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও গান্ধী-সুভাষ সংঘাত বিষয়ে আসি। তৎকালীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস আজকের মতো কেবল একটি রাজনৈতিক দল ছিল না। স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে কংগ্রেস ছিল নানা মত ও আদর্শের জাতীয়তাবাদী নেতাদের একটি প্ল্যাটফর্ম। ওই প্ল্যাটফর্মে তৎকালীন নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা ছিলেন; এমএন রায়ের মতো প্রাক্তন কমিউনিস্টরা ছিলেন; সুভাষচন্দ্র, নেহেরুজি, জয়প্রকাশ নারায়ণদের মতো অকমিউনিস্ট অথচ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রের সমর্থকরা ছিলেন আবার বল্লবভাই প্যাটেলের মতো পুঁজিবাদের সমর্থক ডানপন্থী এমনকি মদনমোহন মালব্যের মতো অতি-ডানপন্থীরাও ছিলেন। অনেকটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগেকার আওয়ামী লীগ বা ১৯৭২-৭৬ কালপর্বের জাসদের মতো।
এখন, গান্ধী ও সুভাষের মধ্যে সংঘাত ছিল, তিনি সুভাষকে সর্বতোভাবে অসহযোগিতাও করেছিলেন। কিন্তু এর কারণ কি ব্যক্তিগত আক্রোশ, যেমনটা আমাদের শেখানো হয়? স্বয়ং সুভাষচন্দ্র কিন্তু এর অন্যরকম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, “বাস্তবে পার্টির অভ্যন্তরের এই সংগ্রামের পিছনে রয়েছে শ্রেণিসংগ্রাম (ক্রসরোডস)।” প্রকৃতপক্ষে, নিজের জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে গান্ধী ভারতের নব্যোত্থিত বুর্জোয়া পুঁজিপতি শ্রেণিরই স্বার্থরক্ষা করতেন। তাঁর সোশালিজম অফ মাই কনসেপশন বইটি পড়লে একথা পরিষ্কার হয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গ’ প্রবন্ধে গান্ধী সম্পর্কে লিখেছিলেন “তাঁর আসল ভয় সোশিয়েলিজমকে। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন ধনিকরা, ব্যবসায়ীরা। সমাজতান্ত্রিকদের তিনি গ্রহণ করবেন কি করে? এইখানে মহাত্মার দুর্বলতা অস্বীকার করা চলে না।” (বানান অপরিবর্তিত)
অন্যদিকে, পাঞ্জাব ও বাংলার বিপ্লবী নেতারা ছিলেন পেটি-বুর্জোয়া অ্যানার্কিজমের প্রতিনিধি, যারা পুঁজিবাদের বিরোধী। সুভাষচন্দ্র বা ভগৎ সিংয়ের মতো কয়েকজন নেতা আবার তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে সমাজতন্ত্রকে সমর্থন করেন। এই আদর্শগত পার্থক্য ও শ্রেণিস্বার্থের সংঘাতই গান্ধীকে সুভাষের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেছে। ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির আলোচনা এখানে না আনাই উচিত, আদর্শগত ব্যবধানই প্রধান।
গান্ধীজির আদর্শকে আমরা যদি পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখবো একদিকে দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, অপরদিকে দেশীয় বুর্জোয়াদের প্রতি নরম মনোভাব। তাঁর সকল সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের উৎস দেশের মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, আর তাঁর সকল আপোষ, ভুল ও পশ্চাৎপদতার কারণ বুর্জোয়াপন্থী চিন্তাধারা। তাঁর সকল সিদ্ধান্তকে এই আলোতেই বুঝতে হবে।
১৯৩৮ সালে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে সুভাষচন্দ্র, গান্ধীজির প্রার্থী পট্টভিকে পরাজিত করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর ভোটের সিংহভাগই ছিল বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের ভোট। এছাড়া তিনি সভাপতি নির্বাচিত হতে পারতেন না। আর, তিনি পট্টভিকে কিন্তু বিরাট কোনো মার্জিনে হারাতে পারেননি। তাই, পট্টভি হেরে গেল বলেই গান্ধীজি জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেললেন, এমন নয়।
স্বাধীনতার পর সুভাষচন্দ্র বসু সর্বভারতীয় স্তরে যথোপযুক্ত সম্মান পাননি একথা ঠিক। বহু ক্ষেত্রে তাঁর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টাও হয়েছে। তবে এর কারণ স্বাধীনতা পরবর্তী কংগ্রেস নেতৃত্ব, যেখানে বামপন্থী বলতে এক নেহেরু ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। নেহেরুও সুভাষকে তেমন পছন্দ করতেন না। কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকার যে সুভাষকে সম্মান জানাচ্ছে, তা পরিস্কার ভণ্ডামি। স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে সুভাষচন্দ্র বারবার আরএসএসের সাহায্য চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এমনকি ১৯৪৬ সালে সুভাষের আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের মুক্তির দাবিতে সারা ভারতে যে বিরাট গণআন্দোলন হয়েছিল এবং যাতে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে কংগ্রেস, মুসলিম লিগ, কমিউনিস্ট পার্টি যোগ দিয়েছিল, সেই আন্দোলনেও আরএসএস বা হিন্দু মহাসভা যোগ দেয়নি। আজ বিজেপি যেটা করছে তা হল নেতাজিকে নিয়ে ভোট কেনা। সুভাষচন্দ্র ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষপাতী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে লিখেছেন, "দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই একমাত্র হিন্দু নেতা যারা মুসলমান সমাজের মন বুঝতেন ও তাদের কাছে টানতে চেষ্টা করেছিলেন"। আর বিজেপি চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক।
এই #জাপানি #পর্যটক #জাপান থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিল, নোংরা রাস্তা দেখে নিজেই #পরিষ্কার করতে শুরু করেছে! আর আমাদের দেশের লোকেরা তাদের #মোবাইল ফোনে সেই #দৃশ্য #ভিডিও রেকর্ডিং করছেন। নির্লজ্জ এক সংকর জাতি আমরা। 😞
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
ভালো যদি বাসতেই হয় এমনিভাবে বাসো!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
যেহেতু, সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীকে পছন্দ করেন নি, তাই ভারতীয় স্বাধীনতায় তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে। এটা কত টুকু সত্য?
#গান্ধী যদি এত জনপ্রিয় ছিলেন এবং সকলেই তাঁর পক্ষে ছিলেন, তবে সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে গান্ধীর প্রার্থী পট্টভী সীতারামাইয়া কেন ১৯৩৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে বোসের কাছে হেরেছিলেন?
দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে, অনেক নেতা মহাত্মা গান্ধীকে সেই সময় বিদ্রোহ শুরু করতে বলেছিলেন কারণ ব্রিটিশরা তখনকার সময়ে খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ছিল এবং তাদের কাছ থেকে সহজেই স্বাধীনতা অর্জন করা সহজ হবে তবে he refused stating this।
“We will not revolt against the Britishers as they are vulnerable as we should not raise our voices against a power who is weak right now!”
তার উদ্দেশ্য আসলে কী তা আমি এখনও বুঝতে পারি নি। তবে শক্তিশালী #ইতিহাসকে #কংগ্রেস নিজের মত করে লিখেছিল যা এখন অনেক ভারতীয়ের কাছে খুব কলঙ্কিতভাবে পরিচিত।
তদ্ব্যতীত, যখন ক্লিমেন্ট অ্যাটলিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যিনি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন।
"সুভাষচন্দ্র বসু এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। গান্ধীর ভূমিকা ছিল ন্যূনতম!"
যেহেতু, #সুভাষচন্দ্র #বসু গান্ধীকে পছন্দ করেন নি, তাই ভারতীয় স্বাধীনতায় তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে।
#গান্ধী যদি এত জনপ্রিয় ছিলেন এবং সকলেই তাঁর পক্ষে ছিলেন, তবে সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে গান্ধীর প্রার্থী পট্টভী সীতারামাইয়া কেন ১৯৩৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে বোসের কাছে হেরেছিলেন?
@arinbasu
@arinbasu1
@BengaleeBabu @BengaliBabuspeaketh
@iambengaleebabu
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
যশোরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাংক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিলম্বিত না হওয়ার পেছনে ট্যাংকের blitzkrieg এর অবদান এক কথায় অনস্বীকার্য।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা #মুক্তিযুদ্ধ
#ভারতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা #মুক্তিযুদ্ধ
সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানিদের হাত থেকে জব্দ করা অস্ত্রের সাথে বাঙালি সরকারি কর্মকর্তা ও #ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা #মুক্তিযুদ্ধ
পুরনো ব্রহ্মপুত্র পেরিয়ে একটা রেললাইন উড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাহাদুরবাদ ঘাটের শক্তিশালী পাকিস্তানি শিবিরে সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। পাড়ি দেবার আগে নদীর পাড়ে দল বেঁধে জটলা করছিলো সবাই। হঠাৎ মনে হল, একটা ছবি তুলে রাখি। ছবিতে আখতার, আবু সাঈদ, বাছেদ, ফারুকসহ অনেকেই। বাকিদের মনে করতে পারছি না।
-মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। ছবিটাও তিনিই তুলেছেন।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা #মুক্তিযুদ্ধ
১৯৩০ সালের এক #বিমান
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
বাস্তবতা আজ প্রতিকূলতার কাছে হার মেনে নিয়েছে।😢😢😢
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
কাতারের #সাবমেরিন প্রকল্পে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে আটক #ভারতীয় #নৌবাহিনীর ৮ প্রাক্তন সদস্যের #মৃত্যুদণ্ড হবার সম্ভাবনা।
৮ জন ভারতীয়ের একটি #গুপ্তচরবৃত্তি চক্র ধরা পরার পরে কাতার ৭৫ জন ভারতীয় প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করেছে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। এদের বেশিরভাগই ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন #কর্মকর্তা যারা কাতারে একটি সাবমেরিন প্রকল্পে কাজ করছিল।
কাতারী সাবমেরিন প্রকল্পে গুপ্তচরবৃত্তির সাথে জড়িত ভারতীয় কোম্পানি "দাহরা গ্লোবাল"-কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই কোম্পানি ৮ প্রাক্তন #ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছিল যারা পরে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতার দ্বারা গ্রেপ্তার হয়।
ভারতীয় #গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা কাতারকে সরবরাহ করা তথ্য গ্রেপ্তারের কারণ হতে পারে।
যারা অভিযুক্ত:-
ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল
ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা
ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ
কমোডোর অমিত নাগপাল
কমোডোর পূর্ণেন্দু তিওয়ারি
কমোডোর সুগুনাকর পাকালা
কমোডোর সঞ্জীব গুপ্ত
নাবিক রাগেশ
https://www.aljazeera.com/news/2023/5/2/indians-jailed-for-spying-on-qatar-for-israel-reports
https://www.tribuneindia.com/news/nation/8-ex-navy-men-face-death-for-spying-in-qatar-500888
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
"সকল বাঙালী এক হও, বাংলাতেই ফেডিভার্স সাজাও"
It's an unofficial account which spread Bangla language & culture on Fediverse. All toots are collected from different place like Quora, Facebook, Newspaper, Blog etc. All Bengali people welcome who living on different place in the world.
টুট করার সময় এই গ্রুপকে মেনশান করুন(+ বাদে):
@+bengali_convo@a.gup.pe
@+masindia@a.gup.pe
https://buddyverse.xyz/ এই ইন্সট্যান্স টি বাঙালি @mitexleo ভাই চালু করেছে। এখানে সবাই জয়েন করতে পারেন।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
Old Account: @Bangladesh
Originally joined mastodon in 2019