Show newer

বাংলাদেশের প্রথম

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুষ্টিয়ার জগতি স্টেশন। এটিই এদেশের প্রথম রেল স্টেশন। আমলে কলকাতার থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত যাতায়াতে ১৮৬২ সালে এ স্টেশনটি চালু করা হয়।

১৮৪৪ সালে আর. এম স্টিফেনসন কলকাতার কাছে হাওড়া থেকে পশ্চিম বাংলার সমৃদ্ধ রানীগঞ্জ শহর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি গঠন করেন। এ কোম্পানি ১৮৫৪ সালে থেকে হুগলি পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রেললাইন চালু করে। এরপর ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কলকাতা থেকে রাণাঘাট পর্যন্ত রেলপথ চালু করে। এই লাইনকেই বর্ধিত করে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন শাখা উন্মোচন করা হয়। সে সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ববঙ্গের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন জগতি। পরে ঢাকার সঙ্গে কলকাতার ব্যবস্থা সহজতর করতে ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি জগতি থেকে বর্তমান জেলার পদ্মানদী তীরবর্তী গোয়ালন্দঘাট পর্যন্ত রেললাইন চালু করা হয়।

সে সময় মানুষ কলকাতা থেকে ট্রেন করে জগতি স্টেশন হয়ে গোয়ালন্দঘাটে যেতেন। সেখান থেকে স্টিমারে পদ্মানদী পেরিয়ে চলে যেতেন ঢাকায়। কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে দেশের সেই প্রথম রেলওয়ে স্টেশন জগতি।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

১৯৬৯ সালে বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিভাগের শিক্ষার্থী।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

ভারতবর্ষের প্রথম 'সেলফি'

প্রাথমিক যুগে ভারতবর্ষে ফটোগ্রাফির চর্চা সীমাবদ্ধ ছিল দেশীয় রাজা, নওয়াব, জমিদার ও অবস্থাপন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে। ফটোগ্রাফারদের বিপুল অর্থব্যয়ে নিজ দরবারে নিয়ে আসলেও এদের অনেকে পরে ছবি তোলার কায়দা শিখে নেন। দীর্ঘ অলস সময়ে কে হিসেবে গ্রহণ করে তারা ব্যাপক আনন্দ পেয়েছিলেন। চর্চায় নিবেদিত এমন একজন রাজা ছিলেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য। প্রথম দিকে তৈলচিত্র অঙ্কনের কাজে সুবিধা হবে ভেবে ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন। নিজে ইংরেজি ভাল জানতেন না। একান্ত সচিব তাঁকে বিদেশী ফটোগ্রাফির বই অনুবাদ করে বুঝিয়ে দিতেন। বীরচন্দ্র ধীরে ধীরে প্রথমে দ্যাগারোটাইপ এবং পরে ক্যালোটাইপ তোলায় পারদর্শী হয়ে উঠেন। আশপাশের প্রকৃতি, আপনজন, সভাসদ, সকলকিছুই করতে চেয়েছেন তিনি। নিজ ক্যামেরায় তুলেছেন প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথের ছবি। আগরতলার রাজপ্রাসাদে তিনি নিয়মিত ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করতেন। তাঁর তোলা বেশ কিছু ছবির প্রিন্ট উদ্ধার করা গেছে। স্ত্রী মহারাণী মনোমোহিনী দেবীও চর্চা করতেন। ১৮৮০ সালের দিকে শাটারে বেঁধে সস্ত্রীক এক ছবি তুলেছিলেন মহারাজা বীরচন্দ্র । জানামতে এটি ভারতবর্ষের প্রথম ‘ ' ’।

সূত্র:

🔺বইঃ সেকালের ছবিওয়ালা

🔺লেখক: তারেক আজিজ

প্রকাশকাল : মে, ২০২২

প্রকাশনী : কবি প্রকাশনী

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:


@bengali_convo @masindia
তথ্যসূত্রঃ 'দৈনিক জনকণ্ঠ'
২৭ মার্চ ২০০৯

Show thread

চুলের মুঠি ধরে উঠোনে এনে রামদায়ের এক কোপে গলা কেটে ফেলে -
স্মরণ -

বাংলাদেশের

---------------------------------------------------

কবি মেহেরুন্নেসার জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ আগস্ট কলকাতার খিদিরপুরে।

মেহেরুন্নেসার কবি প্রতিভার প্রকাশ ঘটে খুব ছোট বেলায়।

১৯৫২ সালে মাত্র দশ বছর বয়স থেকেই অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন তার খুরধার লেখনীর মাধ্যমে এবং জায়গা করে নেন সংগ্রাম, , দৈনিক , অনন্যা, , বেগম, যুগের দাবিসহ তৎকালীন প্রায় সকল পত্রিকায়।

মাত্র দশ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে তার সংবাদ এর ‘’ পাতায় প্রকাশিত হয়। তিনি বড়দের জন্য লেখা শুরু করেন ১৯৫৪ সালে ‘কাফেলা’ পত্রিকার মাধ্যমে।

কবি মেহেরুন্নেসার রুচি, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য ও কবিতা সমান্তরাল। তার কর্ম, বিশ্বাস এবং বিবক্ষাই তার কবিতা।

প্রথমে তার কবিতায় ফররুখ আহমদের প্রভাব, ইসলামী ভাবধারা, আরবী-ফার্সী শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। জাগে মখলুখ জাগে ফুল পাখি জেগেছে সুরুজ ইত্যাদি।

তার বেশিরভাগ কবিতা প্রকাশিত হয় ‘বেগম’ পত্রিকায়। বেগম পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের পরামর্শে তিনি স্বদেশ, প্রেম ও প্রকৃতি বিষয়ে আরবী-ফার্সী শব্দের ব্যবহার বর্জন করে কবিতা লিখতে শুরু করেন।

তিনি রানু আপা নামে ‘পাকিস্তানি খবর’ এর মহিলা মহল পাতার সম্পাদনা করতেন। কবি হিসেবে তিনি ছিলেন সত্যিকার কবিতাকর্মী।

খুব আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা, তার কবি প্রতিভা আদায় করে নিয়েছিল কবি কামালের স্নেহ আনুকূল্য।

১৯৬১ সালে যোগ দেন ফিলিপস রেডিও কোম্পানিতে। এছাড়া তিনি ইউএসআইএস লাইব্রেরিতেও অনুলিখনের কাজ নিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য যে, সে সময় ফিলিপস ও উর্দুতে মুখপত্র ছাপাত, কবি মেহেরুন্নেসার চেষ্টায় বাংলা ভাষায় রচিত পত্রিকাও প্রকাশে বাধ্য হয় ফিলিপস কর্তৃপক্ষ।

কবিতার প্রতি , বাংলা সাহিত্যের প্রতি অকৃত্রিম আকর্ষণ তাকে সাহিত্য চর্চা থেকে দূরে থাকতে দেয়নি।

'রানু আপা' ছদ্মনামে রাজনৈতিক প্রবন্ধ লিখেছেন ৬৯ এর আইয়ুববিরোধী উত্তাল গণআন্দোলনে।

নিজের চেষ্টায় তিনি মিরপুরের ৬ নং সেকশনে, ডি ব্লকের ৮ নং বাড়িটি বাবার নামে বরাদ্দ পান।

১৯৬৩ সালে কবি মেহেরুন্নেসা সপরিবারে বসবাসের জন্য ওই বাড়িতে ওঠেন। ১৯৬৫ সাল থেকে তারা থাকতে শুরু করেন মিরপুরে। সে সময় মিরপুর ছিল বিহারী অধ্যুষিত এলাকা।

বাঙালি পরিবার বিহারীদের তুলনায় নগণ্য। এর কিছু দিনের মধ্যে তার বাবা অসুখে পড়েন। তখন তাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয় পরিবারের জন্য।

৭১ এ বিহারী অধ্যুষিত মিরপুরে কবি কাজী রোজীর (প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য) নেতৃত্বে এ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন কবি মেহেরুন্নেসা।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। বাংলা প্রাঙ্গণে লেখক সংগ্রাম শিবির আয়োজিত বিপ্লবী কবিতা পাঠের আসরে হাসান হাফিজুর রহমান, আহসান হাবীব, রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আলাউদ্দিন আল আজাদ, হুমায়ুন কবিরসহ অন্য কবিদের সঙ্গে স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন মেহেরুন্নেসা।

এ আসরে সভাপতিত্ব করেছিলেন ড. আহমদ শরীফ। সেই অনুষ্ঠানে তিনি 'জনতা জেগেছে' কবিতাটি আবৃত্তি করেন।

বিহারী অধ্যুষিত মিরপুরে তিনি ও তার পরিবার অনেক আগে থেকেই চিহ্নিত হয়ে ছিলেন মুক্তিকামী বাঙালি হিসেবে।

২৭ মার্চ এলো, দুদিন আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তখন একতরফা শুরু হয়ে গিয়েছিল।

কবি মেহেরুন্নেসা বিহারীদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে, তার দুই ভাই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য রফিক ও টুটুলকে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২৩ মার্চ সকাল ১০টায় মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লক, ১২ নম্বর রোডে নিজ বাড়িতে বাংলাদেশের খচিত পতাকা উত্তোলন করেন।

এবং ওইদিন বেগম পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার লেখা শেষ কবিতা (তাকে মারার মাত্র তিন দিন পূর্বে)। আর এই অপরাধে কাদের মোল্লার নির্দেশে ২৭ মার্চ তার মা, দুই ভাই ও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার সময় তার বয়স হয়েছিল ঊনত্রিশ বছর।

মেহেরুন্নেসার ছোট দুই ভাইয়ের কাটা মাথা দিয়ে ফুটবল খেলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী মিরপুরের আলী আহাম্মদের ভাষ্য মতে কবি মেহেরুন্নেসাকে চুলের মুঠি ধরে উঠোনে এনে রামদায়ের এক কোপে গলা কেটে ফেলে।

মেহেরুন্নেসার কাটা মাথার বেণী করা চুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে ফ্যান ছেড়ে দেয়া হয়। উল্লাস করা হয় কাটা মস্তকের রক্ত ছিটিয়ে। এভাবেই কবি মেহেরুন্নেসা হন স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মহিলা কবি।

মিরপুরের সংগ্রামী হিসেবে তার নাম চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। কিন্তু এই মহান কবির বাংলাদেশে এক বোন ছাড়া কোন আত্মীয় নেই এবং তার বোন মোমেনা বেগম রক্ষণশীল পরিবারের গৃহবধূ হওয়ায় মেহেরুন্নেসাকে নিয়ে আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করা হয়নি।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

জন্মদিনে লহ সালাম - সৈয়দ মুজতবা আলী

তিনি বলেছিলেন-"বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না!" প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সাহেব ক্ষমা না চাইলে স্কুলে যাবেন না। বাবা রেগে গিয়ে তাঁকে এক মোজা তৈরির কারখানায় ঢুকিয়ে দিলেন। আবার বাবা নিজে বলেছিলেন একটা কিছু তো পড়তে হবে। তিনি তখন নির্দ্বিধায় পিতার কাছে শান্তিনিকেতনে পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। ছাত্রটির নাম ,যার রচনা পড়লে ঘরে বসেই হয়ে যায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।

জন্ম ১৯০৪ সালে জন্মাষ্টমীর দিন। বলতেন

তিথি মানলে হয় কখনো ১৩ই সেপ্টেম্বর কখনো ২৩শে সেপ্টেম্বর। আদতে শিলেটি মানে শ্রীহট্টের বাসিন্দা। পিতা ছিলেন করিমগঞ্জের কোর্ট রেজিস্ট্রার। ভর্তি হলেন সেখানকার এক স্কুলে। একবার সরস্বতী পূজার দিন স্কুলের ছেলেরা ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোয় ঢুকে না বলে অনেক তোলে। সাহেব তো রেগে আগুন, হুকুম দিলেন ছেলেদের ধরে মারতে। সে সময়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেশ এমনিতেই ছিল গরম। ছাত্রদের বেত মারার জন্য স্কুলে হয়ে গেল হরতাল, কেউ ক্লাস করবে না। ক’‌দিন স্কুল বন্ধ থাকলো। এদিকে অভিভাবকদের অধিকাংশই ছিল কর্মচারী। সরকারের চাপে একসময় আন্দোলন মিটল। সব ছাত্ররা ক্লাসে যোগ দিলেও তিনি কিন্তু অটল। সাহেব ক্ষমা না চাইলে স্কুলে যাবেন না। বাবা রেগে গিয়ে তাঁকে এক মোজা তৈরির কারখানায় ঢুকিয়ে দিলেন।

এর কিছুদিন আগে রবীন্দ্রনাথ করিমগঞ্জে এক সাহিত্যসভায় এসেছিলেন। বক্তৃতায় তিনি এক প্রসঙ্গে বলেছিলেন, যথার্থ মানুষ হতে হলে আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করতে হবে। ওই বয়সেই তিনি রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লেখেন, আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করতে হলে কী করা উচিত। উত্তরে লেখেন, আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করতে হলে আত্মস্বার্থ ছেড়ে অপরের জন্য, দেশের জন্য ভাবতে হবে।এদিকে মোজার কারখানায় ঢুকিয়ে দিয়ে পিতা তো আর নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না। পুত্রকে জিজ্ঞেস করেন, একটা কিছু তো পড়তে হবে।তিনি তখন নির্দ্বিধায় পিতার কাছে এ পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। পিতা লেখালেখি করে ব্যবস্থা করে দিলেন।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে

শান্তিনিকেতনে পড়তে এসে তাঁর সামনে বিশ্বসভার দুয়ার খুলে গেল। তখন দেশি–বিদেশি পণ্ডিতদের উপস্থিতিতে শান্তিনিকেতন উজ্জ্বল। একদিকে যেমন বিধুশেখর শাস্ত্রী, ক্ষিতিমোহন সেন, দিনু ঠাকুর শেখাচ্ছেন, অন্যদিকে বগ্‌দানব, ভিনটারনিৎস, হিডজিভাই মরিস প্রভৃতি বিদেশি পণ্ডিত। এখানেই তিনি পেলেন তাঁর আজীবনের সুহৃদ প্রমথনাথ বিশীকে। আসার পর রবীন্দ্রনাথ তাঁকে একদিন যে কোনও একটা কবিতা আবৃত্তি করতে বলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথেরই একটি কবিতা করলেন। কবি শুনে বললেন, তোর মুখে এখনও শ্রীহট্টের কমলালেবুর রস লেগে আছে। ওটা মুছতে হবে।

পরে উনি স্মৃতি চারণায় বলেছিলেন, সিলেটে আমরা ও–কার উচ্চারণে গোলমাল করি। ও–কার উচ্চারণে উ–কার উচ্চারণ করি, চোরকে বলি ‘‌চুর’‌। গুরুদেব এইটাই সংশোধন করত বলেছিলেন।

শান্তিনিকেতনের তিনিই প্রথম ভিন রাজ্যের । পাঁচ বছর পড়াশোনার পর আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। কিন্তু আলিগড়ের পরিবেশ তাঁর ভাল লাগেনি। শেষে কাবুলের শিক্ষা বিভাগে পেলে নির্দ্বিধায় সেখানে চলে যান। কাবুলে তিনি আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলেন। এমন সময়ে সেখানে বাচ্চাই সাকোর অভ্যুত্থানে ভারতীয়দের জীবন বিপন্ন হলে, বাধ্য হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

আফগানিস্তানে যাওয়া ও থাকা নিয়েই তাঁর গ্রন্থ ’‌–বিদেশে’‌। নামকরণ নিয়ে বলেছিলেন, যেহেতু বইয়ের খানিকটা লেখা ভারতের বিষয়ে, বাকিটা আফগানিস্তানের তাই নাম দিলাম ‘‌দেশে ’‌।

১৯২৯ সালে, দেশে ফেরার পর তিনি যান। আদ্যন্ত নাস্তিক মানুষটি বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তুলনামূলক ধর্মশাস্ত্রে ডক্টরেট পান। ও শিখে নেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলেন আরো এক অনবদ্য গ্রন্থ ‘‌চাচাকাহিনী’‌। সেখান থেকে ফিরে তিনি বরোদা কলেজের অধ্যক্ষ হন। অনেকদিন কাটিয়েছেন কায়রোতে, ছিলেন ফ্রান্সেও। এক জায়গায় লিখেছিলেন, তিনি চাকরী পেলে লেখেন না! চাকরী না থাকলে লেখেন। এই চাকরী তিনি বারবার কেন খুইয়েছেন,সেটাও খুব সহজ! কয়েক ডজন গণ্ডমূর্খের সঙ্গে তিনি চাকরী করতে পারতেন না! আর অবধারিত ভাবে তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষই হতেন সেই ছাগল! স্বাভাবিক ভদ্রতাবশে তিনি ঝগড়া না করে, চাকরীটাই ছেড়ে দিতেন!

ভাগ্যিস ছাড়তেন, আর তাই বাংলা পেল অনবদ্য এক .... সৈয়দ মুজতবা আলী।

তার সব ও আড্ডার অনবদ্য ছড়িয়ে আছে ‘‌পঞ্চতন্ত্র’‌, ‘‌ময়ূরকণ্ঠী’‌ প্রভৃতি গ্রন্থে। মুজতবা আলীর রচনা পড়লে ঘরে বসেই হয়ে যায় বিশ্ব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।

তাঁর কথায় "বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না!" এই মুসাফিরের চোখ দিয়ে যদি আজ সবাই দুনিয়াটা দেখতো.......…. ‌

আজ সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিবসে আমাদের

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

ষাটের দশক। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সময় এক ধরণের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছিল ঢাকায়। পুরান ঢাকার এক হিন্দু বাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য এক বন্ধুর সাথে সেই বাড়িতে গিয়েছিল ছফা। তার বন্ধুর আত্মীয়ের বাড়ি ছিল সেটা। সারারাত জেগে ছিলেন বাড়িটাতে।

সেই বাড়িতে ছিল পুরানো ধুলোয় জমা এক বুকশেলফ। সেখান থেকে বেছে একটা বই হাতে নিয়ে পড়া শুরু করেছিলেন ছফা। ছেড়া বই। কাভার নেই। বইটার নামটাও ছিল না কোথাও। তারপরও অদ্ভুত এক মুগ্ধতা নিয়ে পড়তে থাকেন বইটা।

এরই মধ্যে রাত্রী শেষে ভোর হয়। বইটাও পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারেনি ছফা। বন্ধুর সাথে আবারও ফিরে আসেন হলে। কিন্তু মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে সেই বইয়ের লাইন-

"All theory, dear friend, is grey, but the golden tree of actual life springs ever green. "

কয়েকটা দিন যায় এভাবে। নাহ! বইটা মাথা থেকে যাচ্ছেই না। বইটা পুরোটা পড়ে শেষ করতেই হবে। কিন্তু ছফা তো নাম জানে না বইটার। কোথায় পাবে আর সেই বই?

দ্বারস্থ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইংরেজির অধ্যাপকের। ভীষণ রাগী ছিলেন সেই শিক্ষক। ধুকপুক বুকে সাহস সঞ্চয় করে অধ্যাপকের সামনে গিয়ে বলেন, " স্যার কয়েকদিন আগে আমি একটা বই পড়েছি, পুরোটা শেষ করতে পারিনি। বইটাও নেই আমার কাছে। বইটার নামও জানি না। কে লিখেছেন তাও জানি না। কিন্তু বইটা আমি পড়তে চাই। বইটাতে একটা লাইন আছে এমন, 'all theory is grey...' ছেড়া বই হওয়ায় নাম লেখা ছিল না বইটাতে। তবে হ্যাঁ, ফোলিও লাইনে লেখা ছিল ফাউস্ট।"

একথা শুনে অধ্যাপক সাহেব রক্তচক্ষু করে ছফার দিকে তাকায়। বলেন, "আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে জার্মান কবি গ্যোটেকে চিনো না। ফাউস্ট গ্যোটের বিখ্যাত মহাকাব্য।"

ছফার এক প্রবন্ধে এই ঘটনা পড়ার সময় ঠিক এই জায়গায় এসে শিউরে উঠেছিলাম আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জার্মান কবি গ্যোটেকে চেনে না, এটা মেনে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

আর আজ? কে-ই বা কাকে চেনে, কাকেই বা পড়ে!

পরের গল্পটা তো সবারই জানা। গ্যোটের প্রেমে পড়ে ছফা বেশ কয়েকবার গেছেন গ্যোটের শহরে। জার্মানিতে ছিলেন অনেকদিন। অনুবাদও করেছেন ফাউস্ট।

সেদিন ফেসবুকে দেখলাম। জার্মানির ভেৎসলার শহরের মহাকবি গ্যোটের স্মৃতিবিজড়িত কিয়স্কটি(পানশালা) আহমদ ছফার নামে নামকরণ করা হয়েছে। খবরটা পড়ে ভীষণ আনন্দ হয়েছে আমার।

৩০ জুন ছিল ছফার জন্মদিন।

শুভ জন্মদিন মৌলবী সাব।

লেখা কৃতজ্ঞতা - আঞ্জুমান লায়লা নওশিন

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

গাজি হাসান পাশা।

সর্বশেষ সিংহ।

যিনি আমেরিকাকে দিতে বাধ্য করেছিলেন।

হ্যা, আপনি ঠিকই শুনেছেন, আমেরিকাও একসময় উসমানী খেলাফতকে ট্যাক্স দিতে বাধ্য ছিলো।

১৭৭৬ সালের মধ্যবর্তি সময়ের
কথা। আমেরিকা সবে মাত্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । তখন উসমানী খেলাফতের নৌ বাহিনীর প্রধান ছিলেন এডমিরাল গাজি হাসান পাশা। যার নাম শুনামাত্র বিভিন্ন দেশের নৌ বাহিনীর অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতো। তিনি সব সময় সাথে সিংহ নিয়ে চলাফেরা করতেন। তার দক্ষ নেতৃত্বে তখনও উসমানী খেলাফতের নৌ বিপুল বিক্রমে রাজত্ব করতো আটলান্টিক মহাসাগর, কৃষ্ণ সাগর, এবং ভূমধ্যসাগরে। এই তিনটি সাগর ছিলো উসমানীদের বাড়ীর পুকুর। খেলাফতের অনুমতি ছাড়া কোনো রাষ্ট্রের জাহাজ প্রবেশ করতে পারতোনা।

সেই সময় মস্তানি করে তাদের পাঁচটি জাহাজ সৈন্য সহ ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। সাথে সাথে খেলাফতের নৌ বাহিনীর প্রধান গাজি হাসান পাশা তাদের দাওয়া করতে এবং আটক করতে নির্দেশ দেন। টানা পাঁচ ঘন্টা যুদ্ধের পর আমেরিকা বাহিনী পরাজয় বরন করে এবং উসমানী খেলাফতের নৌ বাহিনীর হাতে বন্দী হয়। গাজি হাসান পাশা আটককৃত আমেরিকার সৈনিক এবং যুদ্ধ জাহাজ আলজেরিয়ার উপকূলে বেধে রাখেন। তখন আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন উসমানী খলিফার কাছে তাদের সৈন্য এবং জাহাজ ফেরত চান। তখন খলিফা জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে বিশাল মুক্তিপণ দাবী করেন। এবং জর্জ ওয়াশিংটনকে সরাসরি নিজে এসে একটা চুক্তিপত্রে সাক্ষর করতে বলেন। বাধ্য হয়ে জর্জ ওয়াশিংটন নিজে এসে খলিফার সাথে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এটাই আমেরিকার ইতিহাসে একমাত্র বিদেশি ভাষায় সাক্ষরিত চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা উসমানী খেলাফতকে টানা আঠারো বছর ট্যাক্স দেয়।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ব্য়য় ৫৭৯০ কোটি টাকা!

১০০০ টাকার নোটে এই পরিমাণ অর্থ চট্টগ্রামের ফেলা হলে এমনিতেই ভর্তি হয়ে যেতো। কিন্তু শুধু ড্রেনটা পরিষ্কার-ই করা গেলোনা। এই অবিশ্বাস্য অংকের অর্থ-ই চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খরচ(!) করা হয়েছে। ফলাফল?

এই বছরে জুলাই মাসে স্মরণকালের সর্বনিম্ন হলো। আগষ্টে গেলো ৩-৪ দিন বৃষ্টি হলো তাতেই বীর চট্টলা পানির নীচে, ভেনিসের দেশীয় সংস্করণ! সকালে পানির জন্য টেক্সটাইল গেইটে বসে রইলাম ১ ঘন্টার উপর।

তুলনামূলক নিচু এলাকা বহদ্দারহাট, হালিশহর কিংবা চকবাজারের অবস্থাতো আরো ভয়াবহ।

একদিকে কানাডায় জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের লন্ডারিং হয়ে পাড়া গড়ে উঠে আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষ নর্দমার ময়লা পানিতে ডুবে কর্মক্ষেত্রে যায়। জনগণের টাকা মেরে পশ্চিমা দেশে বিলাসবহুল বাড়ি গড়ে উঠলেও
কবরে সবার জন্য সমান জায়গা-ই বরাদ্দ থাকে এটাই তাহারা ভুলে যায়।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

পল্লী কবি উদ্‌দীনের 'নকশী কাঁথার' মাঠ কাব্যগ্রন্থের রূপাই চরিত্রের আসল রূপা হলেন উনি। নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থে সাজু নামক যে নারী চরিত্র ছিলো, তিনিও ছিলেন বাস্তবের এক নারী। যার নাম ছিলো ললীতা। রূপা ললীতাকে খুব বেশি ভালবাসতো। ললীতা ছিলো রূপার পাশের গ্রাম মশাখালী'র বাসিন্দা। নানা কারনে রূপা আর ললীতার ভালবাসার পূর্ণতা পায়নি। কবির "নকশী কাঁথার মাঠ" কাব্যের নামের ললীতা ২০০৭ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। আর ঠিক পরের বছর বার্ধক্যের কাছে পরাজিত হয়ে পৃৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন পল্লী কবির '' কাঁথার মাঠ'' কাব্যের সেই কালো মানিক রূপা। রূপার পৈতৃিক নিবাস জেলার গফরগাঁও উপজেলার শিলাসী গ্রামে।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

এডিসি হারুন মানুষ পেটানো যার নেশা

প্রমথ চৌধুরী বলে ছিলেন,

"বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে"....

চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে ব্যপারটা

আসলেই চিন্তা করার মত।

সত্য বলতে কি বাংলা ভাষার সাথে চট্টগ্রামের ভাষার ৭০ ভাগই নূন্যতম মিল নেই!!

যেমন টা ধরেন:

মুরগী কে চট্টগ্রামের ভাষায় বলে "কুরো"...

মোরগ কে বলে " লাতা কুরো"..

শালিক পাকি কে বলে "দেচ্ছো"..

তেলাপোকা কে বলে "তেইল্লেচুরা"

কাক কে " হাউওয়ো"

টয়লেট কে "টাট্টি"

খারাপ মানুষ কে " জারগো"

মাউলানা কে " মুলিছাফ"

পেয়ারা কে "গুয়াছি"

শিমের বিচি কে "হাইস্যে"

সমুদ্র কে "দইজ্জে"

কলসি কে "ঠিল্লে"

হঠাৎ কে "আতিক্কে"

পিচ্ছিল কে "বিরবিজ্জে"

ইত্যাদি ইত্যাদি...।

আর চট্টগ্রামের ভাষায় এমন কিছু এপিক

এক্সপ্রেশন আছে যা শুধু বাংলা কেন! পৃথিবীর

কোন ভাষায় অনুবাদ করা যাবেনা।

যেমন ধরুন :

অবাইজ্জেহুদা!!

আত্তামারেবাপ!!!

মাইল্লেপিরে!!!

অবাজিরে!!

উম্মারেম্মা।

এরকম আরো শত শত এক্সপ্রেশন।

তাছাড়া চটগ্রামের গুলোও

পুরোপুরি ভিন্ন। যেমন:-

★ফুয়াদেল্লাই ছাড়িত ন পারির,

কেঁডারলাই গিলিত ন পারির।

বাংলা অনুবাদ : স্বাদের জন্য

ছাড়তে পারছি না, কাঁটার জন্য

গিলতে পারছি না।

"পুঁদত নাই তেনা মিডে দি ভাত হানা"

অনুবাদ : গায়ে নেই জামা মিঠায় দিয়ে ভাত খাওয়া।

যা কোনো ভাষায় অনুবাদ করা যায় না

"চেরেত গরি পরি গেইয়ে"

চিটাইংগে ছোটবেলার খেলা

"ইচকিম ইচকিম হাইমর দাঁরা

হাইম গেইয়ে রাজার বারা

রাজার বউয়ের বাইট্টে চুল

টাইনতে টাইনতে লাম্বা চুল

লাম্বা চুলেত্তলে

দুওয়ো বাত্তি জ্বলে

সোনার আত হাডি দিলাম

কেঁচেঁত"

আরো আছে

বাংলাদেশের জাতীয় খেলার চিটাইংগে ভার্ষন

১/"হা ডু ডু লক্কন

তুরে মাইত্তে হতক্কন"।

২/"তুব্বোইন শরত

টিব্বাত্তি বরত"।

★★★মানুষ এই ভাষা কে কঠিন,কুৎসিত, যে

যাই বলুক না কেন🙊

এটাই আমাদের মায়ের ভাষা। এ ভাষা শিখাতে সবাই পাড়ে না। যুগের পর যুগ মানুষ "এ ভাষা" চট্টগ্রামে থেকেও আয়ত্ত করতে পারেনা।

এ ভাষা জন্ম থেকে আয়ত্ত করতে হয়।।

"দরহার অইলে এই ভাষারে বাচাইবাল্লাই আঁরা আবার ভাষা আন্দোলন গইজ্জুম"।

" চিটাইংগে মরতপুয়া/মাইয়েপুয়া অক্কল আঁরাতো আঁরাই😃✌

আঁরাই সেরা"।

@bengali_convo
@masindia
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

কোথায় গেল সোনার সময় সোনার মানুষ কই!

কোথায় গেল লাঙ্গল জোয়াল কোথায় গেল মই।

কোথায় গেল গরুর গাড়ি কোথায় গরুর হাল

কোথায় গেল রংবেরঙের ডিঙি নায়ের পাল।

কোথায় গেল মাটির কলস

সেই কলসির জল

ঘরের শোভা রঙিন শিখা কোথায় গেল বল!

শকুনরা সব কোথায় গেল কোথায় গেল কাক

কোথায় গেল শিয়াল মামার হুক্কাহুয়া ডাক।

কোথায় গেল শিল আর পাটা পাটার ভাটা ঝাল

কোথায় গেল কাঠের ঢেকি ঢেকির ছাঁটা চাল।

কোথায় গেল পালকি চলার হুনহুনাহুন সুর

ঠেলার গাড়ি হারিয়ে গেল হায়রে কত দূর।

কোথায় গেল রাত্রি জেগে চিঠি লেখার দিন

কোথায় গেল হারিকেন আর কোথায় কেরোসিন।

কোথায় গেল গরুর টানা আঁখ মারানোর কল

কোথায় গেল গ্রামের বাড়ির বাংলা ঘরের ছল।

বিয়েবাড়ির গীতের আসর কোথায় গেল ভাই

কলাপাতায় আহার করার মেজবানিটাও নাই।

কোথায় গেল কাঁচের চুড়ি রেশমী ফিতার সাজ

কোথায় গেল হায় রুমালের সুতার কারুকাজ।

কোথায় গেল মাটির কূপের মিষ্টি স্বাদের জল

কোথায় গেল ডাল মারানোর শিলার যাঁতাকল।

কোথায় গেল কুলুর বলদ বন্ধ যাহার চোখ

কোথায় গেল হুক্কা তামাক হুক্কা টানার লোক।

হারানো সুর খুঁজতে গিয়ে সবচেয়ে ব্যথা পাই

যখন দেখি কোরআন শিখার মতকব ও আর নাই।

শিরোনাম : হারানো দিনের স্মৃতি

লেখক : ফেরদৌস আহমেদ

ছবি : প্রিয়াংকা হোসেন

নব্বই এর দশকের বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

@mitexleo ভাল কথা বলেছেন। তয় আমি রাজাকার না। 😩

Show older
Qoto Mastodon

QOTO: Question Others to Teach Ourselves
An inclusive, Academic Freedom, instance
All cultures welcome.
Hate speech and harassment strictly forbidden.