Show newer

বাংলাদেশের যশোহর শহরের উপকণ্ঠে চরম ভগ্নদশায় মন্দিরগুলি । অধিকাংশই

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পালঘর স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) এক তিন জন সম্প্রদায়ের যুবককে করে করেছে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, “যদি ভারতে থাকতে হয়, যদি ভোট দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি ও যোগিকে দিতে হবে।”

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

একটা সময় ছিল যখন দুপুরের পর তে পাঠ, পাঠ, পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিতো। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো।

অতঃপর হাসিমুখে উপস্থিত হতেন সুন্দরি উপস্থাপিকা।
আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পূর্নদৈঘ্য বাংলা দেখার জন্য, আমাদের আজকের ছায়াছবি......... শ্রেষ্টাংশে.......!

বুক ধকধক করতো, উত্তেজনায় প্রায়ই ছবির নাম ভালোভাবে শুনতে পেতাম না!

শুক্রবার আসলেই সে কী ব্যস্ততা। চারপাশের সবাই ৩.০০ টার আগে কাজ শেষ করতেন। কারণ ৩.০০ টায় ছবি। আর ৮:৩০ বেজে উঠার আগেই পুরো গ্রামের সবার খাওয়া শেষ।
উত্তেজনা, ভয় আর আনন্দের মিশ্রণে অপেক্ষা। হচ্ছে তো হচ্ছে, আলিফ লায়লা শুরু হবার খবর নাই। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে প্রায় ক্লান্ত হওয়ার পর শোনা যেতো সেই প্রিয় আলিফ লায়লা.....................। শুরু হতে হতেই আবার বিজ্ঞাপন। just কাহিনীতে মনযোগ দিতে দিতেই আগামী পর্বে দেখবেন এত অল্প সময়। তবু আনন্দের শেষ নেই!

এখনও সব আছে কিন্তু আর বুকে কাঁপন তুলে না। সেই ও আছেন, হয়তো আজ তার আরো কড়া হয়েছে। তিনি এখনও আমন্ত্রণ জানান, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ কাউকে মনযোগী করে না। দেখার জন্য এখন কেউ শুক্রবারের করে না। এখনকার পিচ্চিরা হয়তো আলিফ লায়লার নামও জানেনা। একসাথে ৩০/৪০ জন মিলে দেখার কল্পনা ও করা যায় না।

শুক্রবার আসে, চলে যায়, সপ্তাহ ঘুরে আবার শুক্রবার আসে, কিন্তু আমার হারিয়ে গেছে সব বদলে গেছে!

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে বাংলাদেশের জনগণের কী কী লাভ হবে?

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছিলেন, "সোনা মিয়ারে বানাইসে লাল মিয়া আর লাল মিয়ারে বানাইসে সোনা মিয়া। মিয়া কিন্তু ঠিকই আছে। সোনাডা খালি লাল হইয়া গেছে।"

লীগের জায়গায় আসলে আয়নাঘর ঠিকই থাকবে কিন্তু এক বন্দির জায়গায় অন্য বন্দি আসবে।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

শেরে বাংলা'র সম্পর্কে জানতে হলে, কোন কোন বই পড়া উচিত?

এটা সবচেয়ে অথেনটিক বই

Show thread

অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা এ কে ফজলুল হককে শের-ই-বাংলা বলা হত কেন?

কলকাতার বাবুরা বলেছেন, "ঢাকায় করার কোন দরকার নেই। আছে, আছে পাশে একটা করে দাও। "

এই ধরনের কায়েমী স্বার্থবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে লর্ডের কাছে গিয়ে বোঝালেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করতেই হবে। এবার ব্রিটিশরা কিছুটা নমনীয় হল --- কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল একটু দেরীতে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলার ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক ।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে এর নির্বাচিত হন । পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় এর সাধারণ সম্পাদক হন । তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একই সময়ে মুসলিম লীগ এর এবং কংগ্রেস এর জেনারেল ছিলেন । ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ।

১৯৩৭ এর নির্বাচনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে জিতলে তিনি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন।

তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদাররা একত্র হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। লাভ হয়নি --- তাদের নেতাকে ভোট দিয়েছেন।

মুসলিম লীগ এর লাহোর অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটা গুঞ্জন শুরু হলো, দেখা গেল জিন্নাহর বক্তব্যের দিকে কারও মনযোগ নাই । জিন্নাহ ভাবলেন, ঘটনা কী ? এবার দেখলেন, এক কোণার দরজা দিয়ে ফজলুল হক সভামঞ্চে প্রবেশ করছেন, সবার আকর্ষণ এখন তার দিকে । জিন্নাহ তখন বললেন --- When the tiger arrives, the lamb must give away. এই সম্মেলনেই তিনি উত্থাপন করেছিলেন ঐতিহাসিক

১৯৪০ সালের ২২-২৪ শে মার্চ লাহোরের ইকবাল পার্কে মুসলিম লীগের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে আবুল কাশেম ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবতায় একসাথে বসবাস অসম্ভব। সমাধান হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্বাধীন মুসলিম এবং পূর্বাঞ্চলে বাংলা ও আসাম নিয়ে আরেকটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

পাঞ্জাবের মওলানা জাফর আলী খান, সীমান্ত প্রদেশের সর্দার আওরঙ্গজেব, সিন্ধের স্যার আব্দুল্লাহ হারুন, বেলুচিস্তানের কাজী ঈসা ফজলুল হকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। কনফারেন্সে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।

লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে প্রদেশগুলোতে মুসলিম মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে ফজলুল হক খুবই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে একবার বলেন, ‘ আমি আগে মুসলিম, পরে বাঙালী (muslim first, bengali afterwards)’। বক্তৃতার এক পর্যায়ে এসে বলেন, ‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে যদি আর কোনো মুসলিম নির্যাতিত হয় তাহলে আমি বাংলার হিন্দুদের উপর তার নেব।’

যে ফজলুল হক তিন বছর আগে সোহরাওয়ার্দী, নাজিমউদ্দিনকে রেখে শ্যামাপ্রসাদের সাথে কোয়ালিশন গঠন করেছেন সেই ফজলুল হকের মুখে এমন বক্তব্য তখনকার ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃাষ্ট করেছিল।

বর্তমানে যে রাষ্ট্র তার ভিত্তি হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। তাই ২৩ শে মার্চ কে পাকিস্তানে দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চালাকির আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি টাইপ করার সময়ে ভুল করে muslim majority states লেখা হয়েছে; আসলে হবে state । জিন্নাহর ধারণা ছিল, দেন-দরবার করে দুই পাশে দুইটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই স্টেটস এর জায়গায় স্টেট লিখে একটা মুসলিম মেজরিটি রাষ্ট্র করতে হবে।

জিন্নাহর এই ধূর্ততার কারণে ফজলুল হক তার সাথে পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হননি। তরুণ শেখ মুজিব যখন জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তখন অভিজ্ঞ ফজলুল হক পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। 'তিঁনি অনুমান করতে পেরেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে কী কী দুর্দশা হবে বাংলার মানুষের। তাই তিঁনি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। তে লিখেছেন.......

"বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চাননা এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়েই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন, ”যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।” এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।"

বঙ্গবন্ধু ' র বাবা বলেছেন , " বাবা তুমি যাই করো শেরে বাংলার বিরুদ্ধে কিছু বলো না। শেরে বাংলা এমনি এমনি শেরে বাংলা হয়নি। "

ফজলুল হক জানতেন মাঝখানে ভারতকে রেখে পশ্চিম আর পূর্বে জোড়া দিয়ে এক পাকিস্তান করলে তা কখনো টিকবে না। ‘ জিন্নাহ আমার লাহোর প্রস্তাবের খৎনা করে ফেলেছে -বলে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকেননি।

১৯৪৬ এ এসে জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দীর দুই বাংলা একত্র করে স্বাধীন যুক্তবাংলার দাবী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাও ভাগ করতে হল।

ফজলুল হক বলেছিলেন, একটি পাকিস্তান কখনও টিকবে না। বাংলা এবং আসামকে নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে হবে।

১৯৭১ সালে এসে দেখা গেল, ফজলুল হকের আশঙ্কা এবং ভবিষ্যতবাণী সঠিক। ১৯৭১ এর মত এমন কিছু যে ঘটবে শেরে বাংলা ফজলুল হক তা আঁচ করতে পেরেছিলেন ১৯৪০ সালেই। তাই তিনি ১৯৪০ সালেই বাংলা আর আসাম নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।

১৯৭১ এর হল ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। লাহোর প্রস্তাব ফজলুল হক যেভাবে উত্থাপন করে ছিলেন সেভাবে মানলে একাত্তরে এই দেশে রক্তগঙ্গা বইত না।

পেশাজীবনে 'কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা ছিলেন। একদিন তাঁর জুনিয়র হাতে একগাদা নিয়ে এসে বললেন, " স্যার , দেখুন , কলকাতার পত্রিকাগুলো পাতার পর পাতা লিখে আপনার দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে --- আপনি কিছু বলছেন না । " তিঁনি বললেন, " ওরা আমার বিরুদ্ধে লিখছে তার মানে হল আমি আসলেই পুর্ব বাংলার কৃষকদের জন্য কিছু করছি। যেদিন ওরা আমার প্রশংসা করবে সেদিন মনে করবে বাংলার কৃষক বিপদে আছে। "

মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বরিশাল বারের নামকরা উকিল । একবার আলী র প্রতিপক্ষ মামলার ইস্যু জটিল হওয়ার কারণে কলকাতা থেকে উকিল ফজলুল হককে নিয়ে আসে ওয়াজেদ আলীকে মোকাবেলা করার জন্য । ফজলুল হক ওই সময়ে কেবলমাত্র ফজলুল হক , শেরে বাংলা তখনও হননি । তিনি মামলা লড়তে এসেছেন , কিন্তু বিপক্ষের উকিল কে সেই খবর জানতেন না ।

কোর্টে এসে দেখলেন বিপক্ষে তার ওয়াজেদ আলী দাঁড়িয়েছেন । ফজলুল হক স্বাভাবিকভাবে শুরু করলেন ।

এক পর্যায়ে ওয়াজেদ আলী আদালতকে উদ্দেশ করে বললেন , “ ইনি যা বলছেন তা আইনসংগত না । আইনটা হল আসলে এরকম এরকম ....... ইনি নতুন উকিল তো আইন কানুন ভালো বোঝেন না । “

উত্তরে ফজলুল হক বললেন , “ তিনি হলে কী হবে ? তিনি হচ্ছেন কৃষকের ছেলে উকিল ( প্রকৃতপক্ষে তার দাদা আকরাম আলী ছিলেন ভাষার পন্ডিত ) , তিনি আইনের কী আর বোঝেন ? আমি হচ্ছি উকিলের ছেলে উকিল , আমারটাই ঠিক । “

খ্যাতির সাথে ৪০ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন । আইন পাশ করার আগে কলকাতা থেকে আর ম্যাথমেটিক্সে ট্রিপল অনার্স করেছেন । করেছেন এ । ছোটবেলায় একবার পড়ে বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার গল্প রূপকথার মত এদেশের সবার মুখে মুখে ।

বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে একজন এম পি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে লাগলেন । ঐ এম পি শেরে বাংলার বিরুদ্ধে গানও লিখে এনেছেন এবং সংসদের বক্তুতা করতে গিয়ে সেই গানটি হেলেদুলে কর্কশ কণ্ঠে গাইতে শুরু করলেন । এরকম পরিস্থিতিতে যে কারও পক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল ।

শেরে বাংলা ঐ এমপি র বক্তব্যের মধ্যেই বলে উঠলেন -- "Mr Speaker, I can jolly well face the music, but I cannot face a monkey."

এবার ঘটলো মারাত্মক বিপত্তি । তার মত নেতার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য কেউ আশা করেনি । এদিকে , ঐ এম পি স্পিকারের কাছে দাবী জানালেন -- এই মুহূর্তে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই অসংসদীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে । স্পিকার পড়লেন আরেক বিপদে -- তিনি কীভাবে এত বড় একজন নেতাকে এই আদেশ দেবেন।

শেরে বাংলা ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার মানুষ । তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন --- " Mr. Speaker, I never mentioned any honourable member of this House. But if any honourable member thinks that the cap fits him, I withdraw my remark."

'জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক তাঁর জীবনী লিখতে চান জেনে বলেছিলেন, " রাজ্জাক, সত্যি বলো, তোমার মতলবটা আসলে কী ? " প্রফেসর রাজ্জাক বললেন, " আমার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে ---- আপনি যখন ইংরেজদের সাথে চলেন তখন মনে হয় আপনি জাত ইংরেজ। যখন বরিশালে আসেন মনে হয় আপনি বহুবছর ধরে নিজেই করেন। আবার যখন কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে ভাই বলে ডাক দেন তখন আপনাকে আসলেই মনে হয়। আবার যখন ঢাকার নবাব বাড়িতে ঘুড়ি উড়ান তখন মনে হয় আপনিও পরিবারের একজন । নিজেকে কেউ আপনার মত এত পাল্টাতে পারে না। আপনি যাই বলেন, সত্য হোক -- মিথ্যা হোক, মানুষ বিনা দ্বিধায় তা করে। "

মহাত্মা গান্ধী র নাতি রাজমোহন গান্ধী তার বইতে লিখেছেন -- তিন নেতার মাজারে তিনজন নেতা শায়িত আছেন যার মধ্যে দুজন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । একজনকে পাকিস্তানের হতে দেওয়া হয়নি, অথচ তিনিই ছিলেন সত্যিকারের বাঘ ।

কিন্তু এটা তার জীবনের কোনো অপূর্ণতা নয়, একমাত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া ছাড়া সম্ভাব্য সব ধরনের পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে । তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব বাংলার তৃতীয় মুখ্য মন্ত্রী; পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব - পাকিস্তানের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ।

ছেড়ে শুধু পূর্ববাংলার রাজনীতি কেন করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেছিলেন -- এরোপ্লেন এ উঠলে নিচের জিনিস ছোট আর ঝাপসা দেখাতে পারে, তাই আমি মাটিতেই থাকছি । রাজনীতির এরাপ্লেন এ না চড়লেও সৌদি বাদশাহ সউদ ফজলুল হকের সাথে একটা মিটিং করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠিয়েছিলেন ফজলুল হককে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।

অসীম সাহসী এই মানুষটি আমাদেরকে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালী জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই । তিনি বলেছেন, যে জাতি তার বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে ?

প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন ফজলুল হকের । আবুল মনসুর আহমদের সাথে আলাপচারিতায় ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মন্তব্য :

"ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ।সেই সঙ্গে ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি । খাঁটি বাঙ্গালীত্বের সাথে খাটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফযলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছিনা, সত্য বলেই বলছি।খাঁটি বাঙ্গালীত্ব ও খাটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙ্গালীর ।"

রেফারেন্স: আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।(পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬)

বৈশাখের , বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এই ফজলুল হকের অবদান । কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফজলুল হক মানুষের পেয়েছেন কারণ -- সংখ্যাগরিষ্ঠ এই উপমহাদেশে মাত্র একজন ব্যক্তি কৃষকদের জন্য রাজনীতি করেছেন । তিঁনি হলেন -- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ।

১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বললে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে। জিন্নাহ ছাত্রদের সাথে বৈঠকও করেন। কিন্তু ছাত্ররা ছিল নাছোড়বান্দা। জিন্নাহর ধারণা হলো, ফজলুল হক ছাত্রদেরকে উসকানি দিচ্ছেন। ফজলুল হকের বুদ্ধিতে ছাত্ররা উর্দুর বিরোধিতা করছে। জিন্নাহ এবার ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে চাইলেন। কিন্তু ফজলুল হক দেখা করতে রাজি হলেন না। ফজলুল হক জিন্নাহকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করতেন।

জিন্নাহর পীড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন ফজলুল হক। বন্ধ দরজার আড়ালে কথা হয়েছিল দুই মহান নেতার। কিন্তু ইংরেজিতে কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাদের মধ্যে পরবর্তীতে তা লিখেছেন ফজলুল হকের একান্ত সহকারী আজিজুল হক শাহজাহান --

জিন্নাহ : পাকিস্তান তো তুমি কোনোদিন চাওনি। সব সময়ে বিরোধিতা করে এসেছো।

হক : প্রস্তাবটি তো আমিই করেছিলাম। পরে ওটার খতনা করা হয়েছে। আমি এটা চাইনি।

জিন্নাহ: পাকিস্তানের এই অংশ বেঁচে থাক তা তুমি চাও না। তাই ভারতের কংগ্রেসের টাকা এনে ছাত্রদের মাথা খারাপ করে দিয়েছ। তারা আমাকে হেস্তনেস্ত করছে।

হক: আমি এখানে কোনো রাজনীতি করি না। হাইকোর্টে শুধু মামলা নিয়ে চিন্তা করি। নিয়ে থাকি ।

জিন্নাহ : জানো, তুমি কার সাথে কথা বলছো ?

হক: আমি আমার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে কথা বলছি।

জিন্নাহ: নো নো, ইউ আর টকিং উইথ দ্য গভর্নর জেনারেল অব পাকিস্তান ।

হক: একজন কনস্টিটিউশনাল গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা আমি জানি।

জিন্নাহ: জানো, তোমাকে আমি কী করতে পারি ?

হক: (ডান হাতের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে) তুমি আমার এ্যাই করতে পারো। মিস্টার জিন্নাহ, ভুলে যাওয়া উচিত নয় এটা বাংলাদেশ এবং তুমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে কথা বলছ।

(আজিজুল হক শাহজাহানের কলাম,অমরাবতী প্রকাশনী,ঢাকা;পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭)

@bengali_convo
@masindia
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

পুরানো কলকাতার পতিতাপল্লী

বস্তুতঃ সেই যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে যে যুগের মানুষেরা পতিতাদের করতেন। এমনকি নারীদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও তাঁরা বিরূপ দৃষ্টিতে দেখতেন। থেকে জানা যায় যে, বঙ্গদেশের রঙ্গালয়ের প্রথম অবস্থায় ভদ্রপরিবারের মহিলারা থিয়েটার দেখতে যেতেন না, যেহেতু তাতে বারাঙ্গনারা অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। ‘গিরিশচন্দ্র ঘোষ’ই ভদ্রপরিবারের মহিলাদের মন থেকে সেই সঙ্কোচটা দূর করেছিলেন। তিনি থিয়েটারের দ্বিতলে

‘চিক’-এর আড়ালে মহিলাদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের সমাজ ও সমাজপতিদের কাছে পতিতারা ঘৃণিত জীব নয়। বর্তমান সমাজে তাঁরাও মর্যাদাসম্পন্ন এক শ্রেণী। তাঁরাও ‘মায়ের জাত’, তবে ‘পদস্খলিতা’ মাত্র। তাঁরাও তো সমাজের একটা অভাব পূরণ করেন। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারা যাবে যে এক শ্রেণীর নারীরা যদি সেই পথে না যেতেন, তাহলে সমাজে কি বিশৃঙ্খলাই না প্রকাশ পেত, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, যেখানে আজও পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা বেশ কম। এমনকি বর্তমান সময়ের জনগণনার হিসেবেও সারা ভারতে ও নারীর অনুপাত সমান নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাচীন ভারতে কিন্তু বারাঙ্গনাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখা হত। রাজসভায় ও উৎসব-অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্য মর্যাদামণ্ডিত আসন সংরক্ষণ করা হত।

কলকাতায় পতিতাদের ঠিক কবে ঘটেছিল, ঐতিহাসিকদের কাছে সেটা আজও অজানা। তবে এই বিষয়ে সবচেয়ে যে নজির পাওয়া যায়, তা হল খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যাহ্নের। সম্ভবতঃ সেই সময় থেকেই কলকাতা শহরে, বেশ জাঁকালো ভাবে গড়ে উঠেছিল। কেননা, ১৭৫৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি’র ‘কনসালটেশনস্’ বই থেকে জানা যায় যে, - ‘ঈশ্বরী’ ও ‘ভবী’ - নামে দু’জন বারবনিতার মাল নিলামে করেছিল। তবে ওই তারিখের আগেই যে কলকাতা শহরে ছিল, সেটা জানা যায়, ‘সিরাজ’ কর্তৃক আক্রমণের সময় (১৭৫৬) যে সব বিষয় সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল এবং যে সব সম্পত্তির জন্য ‘ ’ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন, সেগুলোর নামের তালিকা থেকে। ঐতিহাসিকেরা ক্ষতিপূরণের সেই বণ্টন তালিকায় - ‘রতন’, ‘ললিতা’ ও ‘মতিবেওয়া’ নামে ‘গোবিন্দরাম মিত্রের’ আশ্রিতা গণিকার নাম পেয়েছিলেন। ‘জেমস লঙ’ সাহেব লিখে গিয়েছিলেন যে, ১৭৮০ সাল নাগাদ, জাহাজসমূহের নাবিকেরা, ‘চিৎপুর’ অঞ্চলের বেশ্যাপল্লীতে আনাগোনা করতেন। পরবর্তীকালে ‘চিৎপুর’ ‘গরাণহাটা’র বেশ্যাপল্লীহ ‘ ’ (পরে ‘সোনাগাছি’) নামে হয়েছিল। ‘সোনাগাজী’র উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায়, ‘প্যারীচাঁদ মিত্র’ লিখিত ‘আলালের ঘরের দুলাল’ গ্রন্থে। কিন্তু তার অনেক আগের সাহিত্যেও কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘ভবানীচরণ ’ লিখিত গ্রন্থসমূহে পুরানো কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ‘বেশ্যাপ্রধানা’ ছিলেন - ‘বকনাপিয়ারী’। ‘ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ রচনার অব্যবহিত পরেই ‘কৃষ্ণরাম বসু স্ট্রীটে’ (শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর পেছনে) ‘নবীনচন্দ্র বসু’র বাড়িতে ‘বিদ্যাসুন্দর’ নাটকের অভিনয় হয়েছিল। সেই নাটকে - ‘বিদ্যা’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, ষোড়শবর্ষীয়া ‘রাধামণি’ বা ‘মণি’, ‘রানী’ ও ‘মালিনী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - প্রৌঢ়া ‘জয়দুর্গা’ ও বিদ্যার সহচরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - ‘রাজকুমারী’ বা ‘রাজু’। তাঁদের সকলেকেই ‘বরানগরের পতিতাপল্লী’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। বরানগরের প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের কলকাতায়, এক বণিক বা ‘ইন্টারলোপার’ এসেছিলেন। তাঁর নাম ছিল - ‘আলেকজাণ্ডার ’। হ্যামিল্টনের -বৃত্তান্ত থেকে জানতে পারা যায় যে, তাঁর সময়ে, বেশ্যাদের প্রশিক্ষণ দেবার জন্য, বরানগরে একটি বিদ্যায়তন বা ‘সেমিনারি’ ছিল।

তবে কলকাতা শহরের মধ্যে ‘সোনাগাজী’ই ছিল সবচেয়ে বেশ্যাপল্লী। অষ্টাদশ শতাব্দীর কলকাতায়, ‘সোনাগাজী’ বলতে - ‘গরাণহাটা’, ‘দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রীট’, ‘মসজিদ বাড়ি স্ট্রীট’, ‘চিৎপুর রোডের ইমামবকস্ খালাতশ লেন’ ইত্যাদি অঞ্চলকেই বোঝাত। এছাড়া, ছিল ‘রামবাগানের’ ‘মিনার্ভা থিয়েটারের’ আশেপাশেও। আরও বেশ্যাপল্লী ছিল - ‘শোভাবাজারের রাজবাড়ি’র পিছনে ‘ফুলবাগানে’, ‘শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো’র সামনে ও ‘কালাচাঁদ সান্যাল লেনে’, ‘হরলাল মিত্র স্ট্রীটের’ শেষপ্রান্তে ‘বাগবাজারের খালের মুখে’, ‘উল্টোডাঙ্গা’য়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘হাড়কাটা গলি’তে বা ‘প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীটে’, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দক্ষিণে ‘ছানাপট্টি’র পিছনের সরু গলিটার ভিতরে, ‘শ্যামবাজারের’ ‘কম্-বলিটোলা’য়, ‘গ্রে স্ট্রীট’ প্রভৃতি জায়গায়৷ তবে তৎকালীন কলকাতায় এমন একটি ছিল, যেখানে ভারতের সব প্রদেশেরই, বিশেষ করে উড়িষ্যার বেশ্যারাই বাস করতেন। সেটা ছিল - ‘ধুকুরিয়া ’, ‘জানবাজারের’ রানী রাসমণির বাড়ির কাছে ‘রামহরি মিস্ত্রি লেন’ ও ‘উমা দাস লেনে’। এছাড়া তখনকার কলকাতা শহরের আরও নানা জায়গায় বেশ্যারা ছড়িয়ে ছিলেন, যেমন - ‘বালাখানা’, ‘গৌরীবেড়’, ‘জানবাজার’ ইত্যাদি জায়গায়৷ ‘কালীঘাট’ ও ‘চেতলা’ও বেশ্যাদের পীঠস্থান ছিল। কালীঘাটের বেশ্যাদের কথা প্রথম জানতে পারা যায়, জনৈকা মহিলা মিসেস ‘এলিজা ফে’-র বিলাতে এক বান্ধবীর কাছে লিখিত পত্র থেকে।

এখানে অবশ্য উল্লেখ্য যে, সেকালের ‘বটতলা’র সাহিত্য সংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল, সোনাগাছির বেশ্যাপল্লীরই আশেপাশে। এখানে আরও বলা দরকার যে, তৎকালীন কলকাতার রঙ্গালয় ও কলার প্রথম অধ্যায় রচিত হয়েছিল কলকাতা শহরের বারবণিতাদের নিয়ে। বস্তুতঃ সে যুগের নামজাদা অভিনেত্রীদের মধ্যে যাঁরা যশস্বিনী হয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই পতিতাপল্লীর অধিবাসিনী ছিলেন। যথা - ‘ক্ষেত্রমণি’, ‘কাদম্বিনী’, ‘যাদুমণি’, ‘হরিদাসী’, ‘রাজকুমারী’, ‘বিনোদিনী’, ‘নারায়ণী’, ‘তারাসুন্দরী’, ‘আঙুরবালা’, ‘আশ্চর্যময়ী’ প্রমুখ। তাঁদের সকলকেই রূপজীবিকা মহল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তাঁদের অভিনয় দেখে চমকিত হয়েছিলেন ‘রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব’ ও ১৯২২ সালে স্বয়ং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’। এরপরে বঙ্গীয় রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস থেকে সেই সব রূপজীবিরা অন্তর্হিত হয়েছিলেন শতাব্দীর বিশের দশকে, যখন ‘শিশিরকুমার ভাদুড়ি’র সঙ্গে নাটকে করতে শুরু করেছিলেন শিক্ষিতা মহিলারা।

বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের গোড়ায় ‘লীগ অফ নেশনস্’-এর একটি সমীক্ষা যখন সম্বন্ধে সরজমিনে করবার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন, তখন তাঁরা দেখেছিলেন যে, ‘পার্ক সার্কাস’ অঞ্চলে ‘সোভিয়েতদেশীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়ে খুব জাঁকালো রকমের বেশ্যাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন। তখন ‘অ্যাংলো-’ বারাঙ্গনারা ‘ফ্রী স্কুল ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন, আর ‘ইউরোপীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন ‘পার্ক ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর দুই মহাপুরুষ - ‘শিবনাথ শাস্ত্রী’ ও ‘ ’- পতিতাদের দুর্দশায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছিলেন। কথিত আছে যে, একদিন শীতের রাত্রে পথের ধারে কনকনে শীতের মধ্যে বারবনিতাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, চাদরের খুঁট থেকে অনেকগুলো বের করে তাঁদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন - “ লক্ষ্মীরা, তোমরা ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে থেকো না, অসুখ করবে, যাও, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়।”

(তথ্যসূত্র:

১- History of Prostitution in India, S. N. Sinha & Nripendra Kumer Basu.

২- Prostitution In India, Santosh Kumar Mukerji.

৩- ৩০০ বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা, ডঃ অতুল সুর।)

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

আমি সবসময়ই বলি লীগ- মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।

এই যতদিন না দলকানা হওয়া থেকে বের হতে পারছে ততদিন পর্যন্ত অমানিশার অন্ধকার থেকে বের হওয়ার কোনো আশা নেই।

চিনা ড্রাগনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হংকং, তাইওয়ান সারা বিশ্বের সাথে ব্যবসা করে। চীন কি ওদের মেরে ফেলছে? আমরা কেনো ভারত নির্ভরশীল? এটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা। বিগত কোনো সরকার ভারতের বাইরে বাজার সৃষ্টির চেষ্টা করেনি। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম সহ সকল দেশ থেকে কৃষিপণ্য খুব সহজে আমদানি করা যায়। কিন্তু এই সরকার সব পথ বন্ধ রেখে ভারতের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছে।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশী হিন্দু হয়েও, ভারত বিরোধী কেন?

আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগের কথাই যদি বলেন তবে দেখবেন শুধু নয় মুসলমানরাও ভারতের সমর্থক ছিল। খেলার সময় এটা বেশি বোঝা যেত। আমি নিজেও টেনডুলকার, জহির খান ও যুবরাজের ডাইহার্ট ফ্যান ছিলাম।

কিন্তু এখন কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে ন্যুনতম বাংলাদেশী মনে করে সে বাই ডিফল্ট হতে বাধ্য।

একটা একটা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার জন্য একটা কারণ থাকাই যথেষ্ট সেখানে ভারতকে বিরোধিতা করার জন্য অনেক শতাধিক কারণ আছে।

এখানে ভারত বিদ্বেষের জন্য বা অন্য কাউকে সিঙ্গেল আউট করতে চাই না। ভারতীয়দের কার্যক্রমই বাংলাদেশীদের ভারত বিদ্বেষী হতে বাধ্য করে। আর যাই হোক, কোনো দেশের জনগণ তাদের রাজনীতিতে বিদেশি মেনে নেয় না। ভারত শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপই করেনি বরং একটি পাপেট সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে সহায়তাও করেছে।

বাংলাদেশের যাদের বয়স মোটামুটি ১৮-২৬ বছর পর্যন্ত তাদের এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেনি। কারণ প্রতিবেশী দেশের প্রত্যক্ষ সংযোগে বাংলাদেশে ঝেঁকে বসা সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

গভীর নিয়ে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এক

এই তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নাম । বাড়ি , ছবির লোকেশন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রথমে করেন, পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে। এখন তিনি থাকেন ভারতের আসামের করিমগঞ্জে। তিনি একাই ১৭ জন ও দুই মেরেছিলেন। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার বোন হয়েছে, তাঁর বাবা মাকে করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার নিতে যাননি। পরে দেশে নিরাপদ বোধ না করায় ১৯৯০ সালে এ ভারত চলে যান। শুধু নিরাপত্তার অভাবে একজন বীর নিজের হাতে করা দেশে থাকতে পারেননি, এ বেদনার, লজ্জার।

পরিচয়ের জন্য শঙ্কিত হয়ে— দেশ গড়ার জন্য অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে লড়াই করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নব্বইয়ে ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে— এরচেয়ে বড় বেদনার ও লজ্জার কিছু নেই। পরিচিত লোকেরা বলে তিনি বর্ডারের কাছেই নদীর পাড়ে বাড়ি করেছেন। আর ঘরের জানালায় বসে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

(তথ্যসূত্র: মুহাম্মদ ওসমানীর পিএস সালেকউদ্দিনের লেখা বই ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ’। এছাড়া দেবদুলাল মুন্না নিজেও ওনার সাথে ৮৮ সালে দেখা করেন। 'প্রিয় প্রজন্ম' ম্যাগাজিনে সেটার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল।) একাত্তরের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় তোলা ছবি এটি।

ছবি: অ্যান ডি হেনিং

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

আসলে একটা সময় দমদমকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্লেন ওঠা নামার জন্য ব্যবহার করা হত, তাই জন্য স্ট্রীপটাকে এয়ারড্রোম বলা হত, তখনকার দিনে আজকালকার দিনের মতন প্লেন আসা যাবার জায়গায় রাত্রিবাস (সে অবশ্য এখনো হয়না), হোটেলের মত ব্যবস্থা, রেস্তোরাঁ, খাবার দাবার, জিনিসপত্র কেনাকাটার ব্যাপার ছিল না, তাই ঠিক এয়ার “পোর্ট বা বিমান বন্দর বলতে যা বোঝানো যেতে পারে, দমদমে বহুকাল সেই ব্যাপারটি ছিল না। পরে হয়েছে। অবশ্য এখনো বহু এয়ারপোর্টেই ভিউপোর্ট থাকে, বহু মানুষ এখনো প্লেন ওঠা নামা দেখতে যান। যাদের এরোপ্লেনের মডেল জমানোর শখ বা হবি, এই রকম বহু মানুষ এয়ারপোর্টের ভিউপয়েন্ট বা রানওয়ের কাছাকাছি অপেক্ষা করেন নতুন ধরণের এরোপ্লেন এলে তারা কিভাবে টেক অফ বা ল্যাণ্ড করে দেখার জন্য, বা শুধু সেইসব প্লেন চাক্ষুষ করার জন্য। ব্যাপারটা কিন্তু হাস্যকর হওয়া উচিৎ নয় :-)

@arinbasu1 @bengali_convo @masindia আরো অনেক তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

১৯৫২ সালের দমদম এয়ারপোর্ট, কলিকাতা ।

যদিও সেই সময় বলা হত না । বলা হতো । এখন যেমন এত কড়াকড়ি, তখন তেমন টা ছিল না। প্লেনে চড়ার মত রাজকীয় অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে ছিল, ফলে এখনকার মত সেই সময় এয়ারপোর্টে তেমন ভিড় হতনা। হাতে গোনা কিছু মানুষ এই কল্প যাত্রার অধিকারী ছিলেন। সেই সময় কেটে দ্বোতলায় উঠে অনেকেই তখন ওড়া দেখতে যেতেন। অনেক সময় কাউকে ছাড়তে এলেও তাই করতেন। এমনকি কাউকে প্লেনে ছাড়তে এলে বা ফ্লিম স্টার থেকে বড় বা মন্ত্রীরা গাড়ী করে সরাসরি প্লেনের সিঁড়ি অবধি যাবার অনুমতি পেতেন। এটা ৮০ দশকের সময় পর্যন্ত নিয়মিত ছিল পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক সময় হয়ে যায় । জানি এমন ও অনেকের আছে যারা শুধু প্লেন ওড়া দেখতে টিকিট কেটে প্রতি সপ্তাহে দমদমে যেতেন এমন কি আমিও অনেকবার গেছি । এখন যা অনেকের কাছে হাস্যকর বলে মনে হবে।

ছবির উৎসঃ সাটারস স্টক

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

Show older
Qoto Mastodon

QOTO: Question Others to Teach Ourselves
An inclusive, Academic Freedom, instance
All cultures welcome.
Hate speech and harassment strictly forbidden.