Show newer

বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, 'যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।' ওই সময় বংশোদ্ভূত মুহম্মদ খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।

দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, ' সম্রাটরা বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।' অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এ দেশে আরও কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকত, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।'

মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।

বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮শ’ সনে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।

সুত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫, পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

ঢাকার রসায়নের শিক্ষক সঞ্জিত কুমার গুহ। ১৬ এর আগের দিন ক্লাসে সবাই খুশি কারণ এর পর দিন বন্ধ….তো গুহ স্যার বললেন,"তোমরা সবাই খুশি কালকে কলেজ বন্ধ তাই না?তোমাদের একটা ঘটনা বলি। তো অনেক মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিলো তাই না?আমার খুব কাছের একজনকে সেনারা করে ও মেয়েটি এর পরেরদিন আত্মহত্যা করে মারা যায়।জানো মেয়েটি কে?মেয়েটি আমার বোন আমার নিজের ।আমি আমার বোনের চেয়ে অপূর্ব মেয়ে জীবনে কোনোদিন দেখিনি।সেই থেকে আমার পরিবার কোনোদিন ১৬ ই ডিসেম্বর পালন করিনি।বাদ দেও এসব কথা এই যে লাস্ট বেঞ্চ মিডেল ম্যান বলো সোডিয়াম ক্লোরাইড এর কেপি কেসির মান কতো,কুইক।"

একটি প্রশিক্ষিত কিভাবে সবার সামনে ধর্ষণ করে, তাও আবার দল বেধে?

তোর হাতে একটা থাকলে তুইও করতি।

পাকিস্তানিগো ধর্ষণে বাধা দিতে গেলেই গুলি কইরা খুন।

আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতম কর্মকাণ্ডের কথা শুনি👇

১। স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণ-ধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিলো। অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব ছিল,“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিল যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের করে যেতে হবে।”“We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”

২। ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে লিখেছে;“আমাদের এসব উ-শৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো এবং ভালো ”“We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”(Tikka khan, one of the leading general of Pakistan on 1971.)

৩। একাত্তরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব পাকিস্তানের সকল ডিভিশান কমান্ডারের কনফারেন্সে এক অফিসার তুলছিল পাকিস্তানী কর্তৃক বাঙ্গালী নারীদের ধর্ষণের প্রসঙ্গ । তখন সেই অফিসারকে বলেন, “আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিও।” তারপর তিনি হেসে বলেন, “ভালই তো এসব বাঙ্গালী রক্তে রক্ত মিশিয়ে তাদের জাত করে দাও।”September 1971, in a conference of Pakistan army, an officer told to general Niazi about the mass rape done by the Pakistan army. General Niazi told to that officer-
“We are in war now, and in war it is normal”
Then he smiled and said-
“Isn’t it good?”এই ধর্ষণের পক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলতেন,-“আপনারা কি ভাবে আশা করেন একজন সৈন্য থাকবে, যুদ্ধ করবে, মারা যাবে পূর্ব পাকিস্তানে এবং যৌন ক্ষুধা মেঠাতে যাবে ঝিলমে(পতিতালয়ে)?”

৪।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার আবদুল রহমান সিদ্দিকী তার East Pakistan The Endgame বইতে আরও লেখেন- “নিয়াজী জওয়ানদের অ-সৈনিকসুলভ, অনৈতিক এবং কামাসক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতেন। ‘গত রাতে তোমার অর্জন কি শেরা (বাঘ)?’ চোখে শয়তানের দীপ্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন তিনি। অর্জন বলতে তিনি ধর্ষণকে বোঝাতেন।

৫।পাকিস্তানী খাদিম হুসাইন রাজা “অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি” বইতে লিখেছেন, নিয়াজী ধর্ষণে তার সেনাদের এতই চাপ দিতেন যে তা সামলে উঠতে না পেরে এক বাঙালি সেনা অফিসার নিজে করেন। এখানেই শেষ নয়👇“বেগ সাহেবের জন্য ভালো মাল পাঠাবেন। রোজ অন্তত একটা।” মাল বলতে এখানে বাঙালী মেয়েদের কথা বলা হয়েছে।

৬।সিলেটের শালুটিকরে পাকিস্তানী ক্যাম্পের দেয়ালে পাকি সৈন্যদের আঁকা ছবিটি দেখুন (Mastodon not allow more picture.)

৭।ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”-তে উঠে আসে অনেক তথ্য যা পাঠকদের নিঃসন্দেহে আগ্রহ জোগাবে।
এক. “যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।”- ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা।

দুই. এরপর তারা আমাদের সব মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে লাইন করে দাঁড় করাল। আমাদের বাচ্চারা , কান্নাকাটি করছিল। এই পরিস্থিতিতে আর্মিরা বলল, তাদের রাজি না হলে বাচ্চাদের পা ধরে ছিঁড়ে ফেলবে…।-জোহরা, ছাতনী (দত্তের বাগান), নাটোর।

তিন. মেয়েরা চিৎকার করে আমাদের বলতেন ‘আমরা তো মরে যাব, আপনারা যদি কেউ বেঁচে যান তাহলে আমাদের কথা আমাদের বাড়িতে গিয়ে বলবেন।’…

চার.পাকিদের নির্যাতনের ধরন ছিল বীভৎস। তারা মেয়েদের স্তন কেটে ফেলত, যৌনাঙ্গে রাইফেল ঢুকিয়ে করত; এমনভাবে নির্যাতন করত যে সে প্রক্রিয়া আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না, এসব আমি নিজের চোখে দেখেছি।-মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ,

পাঁচ. পাকি বর্বরেরা প্রত্যেক মহিলাকে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের হত্যা করে। ধোপা যেভাবে কাপড় কাচে সেভাবে রেললাইনের ওপর মাথা আছড়ে, কখনও দু’পা ধরে টান দিয়ে ছিঁড়ে দু’টুকরা করে হত্যা করেছে শিশুদের। স্বাধীনতার অনেকদিন পরেও সেখানে মহিলাদের , ক্লিপ, চুল, চুলের খোঁপা ইত্যাদি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে আমি আমার ছোট বোনের ফ্রকের এক টুকরো কাপড় খুঁজে পাই।-বিনোদ কুমার, নীলফামারী।

ছয়. আমাদের পাশের বাড়ির একটি মেয়ে। সদ্য হয়েছে, আট দিনের বাচ্চা কোলে। ঐ সময় সে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। এমন সময় বাড়িতে আক্রমণ। ঘরে তখন কেউ ছিল না। এরপর যা হবার তাই হল, মেয়েটির উপর চলল অমানুষিক নির্যাতন। এরমধ্যেই দুপুর গড়িয়ে এল, পাকিরা খাবার খেতে চাইল। ঘরে কিছু না থাকায় ক্ষেত থেকে বেগুণ এনে দিতে বলল। ভীত মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছিলো দেখে পাকিরা তার বাচ্চাকে গরম ভাতের হাঁড়িতে ছুঁড়ে দিয়ে ঘর থেকে নেমে গেল। -ভানু বেগম, ছাব্বিশা, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল।

সাত. “মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।” -মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।

আট. “আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিঁড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা , বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।”-মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।

নয়. “১৮ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা।”-বিচারপতি এম এ সোবহান।

দশ. “ পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই।”-ড. রতন লাল চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ ঢাকা

এগারো. “কোন কোন মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।”-সুসান ব্রাউনি মিলার, গবেষক।

৮। খুলনার একটি থেকে যখন কাচের জারে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় খুব নিখুঁতভাবে কাঁটা। যখন সিলেটের দেয়ালে ধর্ষকেরা সদম্ভে এঁকে রেখে যায় নিজেদের কৃতকর্ম, তখন বুঝে নিতে হয় এই দু’একজন সামরিক কর্মকর্তার বিচ্ছিন্ন মনোরঞ্জন নয়। তখন বুঝতে হয় তারা এসব করেছিলো একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে, আর সেই এজেন্ডার কথা সৈয়দ সামসুল হক তার কালজয়ী নিষিদ্ধ উপন্যাসে লিখেছেন সবচেয়ে সুন্দর করে।

৯।"আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ইমান রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে।”- নিষিদ্ধ লোবান, সৈয়দ শামসুল হক,সূত্র:জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা: অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি

এই সব খণ্ড খণ্ড জবানবন্দী এই কথাই প্রমাণ করে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ সাধারণ কোন যুদ্ধের ধর্ষণ নয়। শুধু ধর্ষণের জন্য বেয়নেট দিয়ে যোনি পথ খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতে হয় না, দাঁত দিয়ে স্তন ছিঁড়ে ফেলতে হয় না, দু দিক থেকে পা টেনে চিঁরে ফেলতে হয় না।
আজ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের কর্মকান্ডের জন্য চেয়েছে?

হিটলারের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছে,জার্মানিতে হিটলারের স্যালুট দেবার পদ্ধতি এখন আইনত দন্ডনীয়।

কিন্তু পাকিস্তান গত ৫০ বছরে একবারও কেন ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের কাছে?

কেন পাকিস্তান এখনো ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি?

কেন পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে ১৯৭১ সালে বাঙালিদের উপর চালানো ও ধর্ষণের কথা অন্তর্ভুক্ত করেনি?

আর আপনার মায়ের যোনিতে কেউ ছুরি ঢুকিয়ে খুন করলে কি আপনি তাদের ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করতেন?

আপনার মায়ের স্তন কেউ টেনে ছিড়ে ফেললে তাকে ক্ষমা করতেন?

আপনার মায়ের পাছার মাংস কেউ ছুরি দিয়ে কাটলে তাকে ক্ষমা করতেন?

আমরা কখনো এই পাকি জাতি কে ক্ষমা করবো না।


@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

@Bangladesh @arinbasu @arinbasu1 @BengaliBabuspeaketh @iambengaleebabu @bengali_convo @masindia আমি প্রথমে ক্লিমন্ট এটলির প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করি। 'লেবার পার্টি'র নেতা এটলি ১৯৪৫ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ভারতের স্বাধীনতার পরে তিনি যখন ভারতে আসেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল (নামটা আমি ভুলে গিয়েছি) তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, "গান্ধীজির আগস্ট আন্দোলন তো ১৯৪৪-এর আগেই মিইয়ে গিয়েছিল, তবে তড়িঘড়ি করে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার প্রয়োজন পড়লো কেন?" তার উত্তরে এটলি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম করেন। এরপর রাজ্যপাল মশায় যখন ভারতের স্বাধীনতায় গান্ধীর ভূমিকা জানতে চান, তখন এটলি বলেন, "মিনিম্যাল"।

এই হল ঘটনা। এখানে লক্ষণীয়, মাননীয় রাজ্যপাল কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা কেন তড়িঘড়ি করে দিতে হয়েছিল, সেই প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন করেননি। এটলিও কেবল ১৯৪৭-এ দ্রুত স্বাধীনতা দেওয়ার প্রেক্ষিতেই সুভাষচন্দ্রের নাম করেছেন এবং গান্ধীর ভূমিকাকে ন্যূনতম বলেছেন। তিনি ঠিকই বলেছেন; সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ-ভারত সেনাবাহিনীর ভারতীয় সেনাদের বিদ্রোহী করে তুলেছিল যার ফলে সাম্রাজ্য বজায় রাখার প্রধান অস্ত্র সেনাবাহিনীই তখন অসন্তুষ্ট, অপরদিকে বৃদ্ধ ও হৃতসমর্থক গান্ধী সেই পিরিয়ডে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেননি।

এটলির মন্তব্যকে এই প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হবে। কিন্তু আজকাল অনেক ডানপন্থী ভাষ্যকার প্রেক্ষিতটা উহ্য রেখে এই মন্তব্যকে উপস্থাপন করেন, যাতে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকাকে ছোটো করে দেখানো যায়। এটা সর্বৈব ভুল। ভারতের জাতীয় আন্দোলনে গান্ধীজি ছিলেন প্রথম সর্বভারতীয় নেতা। তিনিই "তিন দিনের তামাশা" বলে পরিচিত কংগ্রেসকে প্রকৃত অর্থে ভারতের জাতীয় সংগঠনে পরিণত করেছিলেন। তিনিই দেশকে জনআন্দোলন কাকে বলে তা শিখিয়েছিলেন। অসহযোগ ও আইন অমান্যের মতো অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন, যা আজও সমস্ত দল ব্যবহার করে থাকে।

এবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও গান্ধী-সুভাষ সংঘাত বিষয়ে আসি। তৎকালীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস আজকের মতো কেবল একটি রাজনৈতিক দল ছিল না। স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে কংগ্রেস ছিল নানা মত ও আদর্শের জাতীয়তাবাদী নেতাদের একটি প্ল্যাটফর্ম। ওই প্ল্যাটফর্মে তৎকালীন নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা ছিলেন; এমএন রায়ের মতো প্রাক্তন কমিউনিস্টরা ছিলেন; সুভাষচন্দ্র, নেহেরুজি, জয়প্রকাশ নারায়ণদের মতো অকমিউনিস্ট অথচ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রের সমর্থকরা ছিলেন আবার বল্লবভাই প্যাটেলের মতো পুঁজিবাদের সমর্থক ডানপন্থী এমনকি মদনমোহন মালব্যের মতো অতি-ডানপন্থীরাও ছিলেন। অনেকটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগেকার আওয়ামী লীগ বা ১৯৭২-৭৬ কালপর্বের জাসদের মতো।

এখন, গান্ধী ও সুভাষের মধ্যে সংঘাত ছিল, তিনি সুভাষকে সর্বতোভাবে অসহযোগিতাও করেছিলেন। কিন্তু এর কারণ কি ব্যক্তিগত আক্রোশ, যেমনটা আমাদের শেখানো হয়? স্বয়ং সুভাষচন্দ্র কিন্তু এর অন্যরকম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, “বাস্তবে পার্টির অভ্যন্তরের এই সংগ্রামের পিছনে রয়েছে শ্রেণিসংগ্রাম (ক্রসরোডস)।” প্রকৃতপক্ষে, নিজের জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে গান্ধী ভারতের নব্যোত্থিত বুর্জোয়া পুঁজিপতি শ্রেণিরই স্বার্থরক্ষা করতেন। তাঁর সোশালিজম অফ মাই কনসেপশন বইটি পড়লে একথা পরিষ্কার হয়‌। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গ’ প্রবন্ধে গান্ধী সম্পর্কে লিখেছিলেন “তাঁর আসল ভয় সোশিয়েলিজমকে। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন ধনিকরা, ব্যবসায়ীরা। সমাজতান্ত্রিকদের তিনি গ্রহণ করবেন কি করে? এইখানে মহাত্মার দুর্বলতা অস্বীকার করা চলে না।” (বানান অপরিবর্তিত)

অন্যদিকে, পাঞ্জাব ও বাংলার বিপ্লবী নেতারা ছিলেন পেটি-বুর্জোয়া অ্যানার্কিজমের প্রতিনিধি, যারা পুঁজিবাদের বিরোধী। সুভাষচন্দ্র বা ভগৎ সিংয়ের মতো কয়েকজন নেতা আবার তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে সমাজতন্ত্রকে সমর্থন করেন। এই আদর্শগত পার্থক্য ও শ্রেণিস্বার্থের সংঘাতই গান্ধীকে সুভাষের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেছে। ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির আলোচনা এখানে না আনাই উচিত, আদর্শগত ব্যবধানই প্রধান।

গান্ধীজির আদর্শকে আমরা যদি পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখবো একদিকে দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, অপরদিকে দেশীয় বুর্জোয়াদের প্রতি নরম মনোভাব। তাঁর সকল সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের উৎস দেশের মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, আর তাঁর সকল আপোষ, ভুল ও পশ্চাৎপদতার কারণ বুর্জোয়াপন্থী চিন্তাধারা। তাঁর সকল সিদ্ধান্তকে এই আলোতেই বুঝতে হবে।

১৯৩৮ সালে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে সুভাষচন্দ্র, গান্ধীজির প্রার্থী পট্টভিকে পরাজিত করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর ভোটের সিংহভাগই ছিল বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের ভোট। এছাড়া তিনি সভাপতি নির্বাচিত হতে পারতেন না। আর, তিনি পট্টভিকে কিন্তু বিরাট কোনো মার্জিনে হারাতে পারেননি। তাই, পট্টভি হেরে গেল বলেই গান্ধীজি জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেললেন, এমন নয়।

স্বাধীনতার পর সুভাষচন্দ্র বসু সর্বভারতীয় স্তরে যথোপযুক্ত সম্মান পাননি একথা ঠিক। বহু ক্ষেত্রে তাঁর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টাও হয়েছে। তবে এর কারণ স্বাধীনতা পরবর্তী কংগ্রেস নেতৃত্ব, যেখানে বামপন্থী বলতে এক নেহেরু ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। নেহেরুও সুভাষকে তেমন পছন্দ করতেন না। কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকার যে সুভাষকে সম্মান জানাচ্ছে, তা পরিস্কার ভণ্ডামি। স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে সুভাষচন্দ্র বারবার আরএসএসের সাহায্য চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এমনকি ১৯৪৬ সালে সুভাষের আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের মুক্তির দাবিতে সারা ভারতে যে বিরাট গণআন্দোলন হয়েছিল এবং যাতে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে কংগ্রেস, মুসলিম লিগ, কমিউনিস্ট পার্টি যোগ দিয়েছিল, সেই আন্দোলনেও আরএসএস বা হিন্দু মহাসভা যোগ দেয়নি। আজ বিজেপি যেটা করছে তা হল নেতাজিকে নিয়ে ভোট কেনা। সুভাষচন্দ্র ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষপাতী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে লিখেছেন, "দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই একমাত্র হিন্দু নেতা যারা মুসলমান সমাজের মন বুঝতেন ও তাদের কাছে টানতে চেষ্টা করেছিলেন"। আর বিজেপি চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক।

@BengaleeBabu @arinbasu @arinbasu1 @BengaliBabuspeaketh @iambengaleebabu @bengali_convo
@masindia

অসংখ্য ধন্যবাদ। তথ্যগুলো অজানা ছিল। সৃষ্টিকর্তা আপনার মঙ্গল করুন।

এই থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিল, নোংরা রাস্তা দেখে নিজেই করতে শুরু করেছে! আর আমাদের দেশের লোকেরা তাদের ফোনে সেই রেকর্ডিং করছেন। নির্লজ্জ এক সংকর জাতি আমরা। 😞

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

ভালো যদি বাসতেই হয় এমনিভাবে বাসো!

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

যেহেতু, সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীকে পছন্দ করেন নি, তাই ভারতীয় স্বাধীনতায় তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে। এটা কত টুকু সত্য?

যদি এত জনপ্রিয় ছিলেন এবং সকলেই তাঁর পক্ষে ছিলেন, তবে সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে গান্ধীর প্রার্থী পট্টভী সীতারামাইয়া কেন ১৯৩৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে বোসের কাছে হেরেছিলেন?

দ্বিতীয় শুরু হওয়ার পরে, অনেক নেতা মহাত্মা গান্ধীকে সেই সময় বিদ্রোহ শুরু করতে বলেছিলেন কারণ ব্রিটিশরা তখনকার সময়ে খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ছিল এবং তাদের কাছ থেকে সহজেই স্বাধীনতা অর্জন করা সহজ হবে তবে he refused stating this।

“We will not revolt against the Britishers as they are vulnerable as we should not raise our voices against a power who is weak right now!”

তার উদ্দেশ্য আসলে কী তা আমি এখনও বুঝতে পারি নি। তবে শক্তিশালী নিজের মত করে লিখেছিল যা এখন অনেক ভারতীয়ের কাছে খুব কলঙ্কিতভাবে পরিচিত।

তদ্ব্যতীত, যখন ক্লিমেন্ট অ্যাটলিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যিনি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন।

"সুভাষচন্দ্র বসু এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। গান্ধীর ভূমিকা ছিল ন্যূনতম!"

যেহেতু, গান্ধীকে পছন্দ করেন নি, তাই ভারতীয় স্বাধীনতায় তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে।

যদি এত জনপ্রিয় ছিলেন এবং সকলেই তাঁর পক্ষে ছিলেন, তবে সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে গান্ধীর প্রার্থী পট্টভী সীতারামাইয়া কেন ১৯৩৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে বোসের কাছে হেরেছিলেন?

@arinbasu
@arinbasu1
@BengaleeBabu @BengaliBabuspeaketh
@iambengaleebabu

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

যশোরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাংক।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিলম্বিত না হওয়ার পেছনে ট্যাংকের blitzkrieg এর অবদান এক কথায় অনস্বীকার্য।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানিদের হাত থেকে জব্দ করা অস্ত্রের সাথে বাঙালি সরকারি কর্মকর্তা ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

পুরনো ব্রহ্মপুত্র পেরিয়ে একটা রেললাইন উড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাহাদুরবাদ ঘাটের শক্তিশালী পাকিস্তানি শিবিরে সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। পাড়ি দেবার আগে নদীর পাড়ে দল বেঁধে জটলা করছিলো সবাই। হঠাৎ মনে হল, একটা ছবি তুলে রাখি। ছবিতে আখতার, আবু সাঈদ, বাছেদ, ফারুকসহ অনেকেই। বাকিদের মনে করতে পারছি না।

-মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। ছবিটাও তিনিই তুলেছেন।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

বাস্তবতা আজ প্রতিকূলতার কাছে হার মেনে নিয়েছে।😢😢😢

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

কাতারের প্রকল্পে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে আটক ৮ প্রাক্তন সদস্যের হবার সম্ভাবনা।

৮ জন ভারতীয়ের একটি চক্র ধরা পরার পরে কাতার ৭৫ জন ভারতীয় প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করেছে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। এদের বেশিরভাগই ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন যারা কাতারে একটি সাবমেরিন প্রকল্পে কাজ করছিল।

কাতারী সাবমেরিন প্রকল্পে গুপ্তচরবৃত্তির সাথে জড়িত ভারতীয় কোম্পানি "দাহরা গ্লোবাল"-কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই কোম্পানি ৮ প্রাক্তন নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছিল যারা পরে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতার দ্বারা গ্রেপ্তার হয়।

ভারতীয় সংস্থা দাবি করেছে যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা কাতারকে সরবরাহ করা তথ্য গ্রেপ্তারের কারণ হতে পারে।

যারা অভিযুক্ত:-

ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল
ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা
ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ
কমোডোর অমিত নাগপাল
কমোডোর পূর্ণেন্দু তিওয়ারি
কমোডোর সুগুনাকর পাকালা
কমোডোর সঞ্জীব গুপ্ত
নাবিক রাগেশ

তথ্যসূত্রঃ
theprint.in/defence/families-o

aljazeera.com/news/2023/5/2/in

dohanews.co/qatar-shuts-down-s

tribuneindia.com/news/nation/8

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

দেশে পেট্রোল মজুদ আছে ১৩ দিনের, অকটেন ১১ দিনের— এই শিরোনামে দ্য ডেইলি স্টার বাংলা এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার কিছুক্ষণ পর সরিয়ে ফেলছে।

এক প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। জাপানের কাছে ঋণ চেয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার।

কার্ব মার্কেটে আজকে প্রতি ডলারের জন্য গুণতে হয়েছে ১১৪ টাকা। দেশের ব্যাংকগুলোকে খাতে ২৫ শতাংশ ও জ্বালানি খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এইতো মাত্র এক সপ্তাহে আগে চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের সবচেয়ে বড়ে ইউরিয়া সারকারখনা জামালপুরের যমুনায়ও বন্ধ হওয়ার পথে।

গত দুই মাসে আড়ং এর দুধের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ১৫ টাকা। প্রতি ২ লিটার পানির বোতলে বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়া তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কোন কোন পণ্যের দাম পূর্বের মূল্যের দিগুণ হয়েছে। ইলেকট্রনিক দাম বেড়েছে দিগুণ। লোডশেডিং-এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যানের দাম দিগুণ হয়ে গেছে।

বাংলা রেস্তোরাঁগুলোতে আগে যে পরোটা, রুটির দাম ছিলো ৫ টাকা তা এখন ১০ টাকায় খেতে হচ্ছে। টাকা এখন কাগজ হওয়ার পথে। তাই নয় কী!

একাধিক মেগা প্রকল্পের খরচ বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। গত কয়েক বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে আকাশচুম্বী। দুর্নীতি আর বিদেশে অর্থ পাচার হয়েছে কয়েক হাজার কোটি । ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক নিট বিদেশি ঋণ গ্রহণের (গৃহীত ঋণ থেকে পরিশোধ বাদ দিয়ে) পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ২০ গুণ বাড়লেও পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র দ্বিগুণ। অর্থাৎ প্রতিবছর বছর বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতির ওপর চাপছে। মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য ১৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে।

এই মেগা প্রকল্পের জন্য নেয়া বৈদেশিক ঋণের বেশির ভাগের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হবে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে। তারপর থেকে কিস্তিতে বিশাল অংকের টাকা সুদসহ প্রতি বছর পরিশোধ করতে হবে। শুধু রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের জন্যই কেবল ২০২৩ সাল থেকে বছরে ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার সুদ (মূল ঋণ বাদে) দিতে হবে।

এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ আছে ৩৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) বিনিয়োগ করা সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে থাকে ৩২ বিলিয়ন ডলার সামথিং। এই রিজার্ভ মুদ্রা দিয়ে আমদানি ব্যয় মিটানো যাবে ৪-৫ মাসের।

স্টার করে আবার সরিয়ে ফেলে, প্রথম আলো এসব বুঝেও এড়িয়ে যায়, অন্যেরা সাহস পায় না প্রতিবেদন ছাপাতে। এভাবে আর কতদিন লুকোচুরি চলবে?

এড়িয়ে গেলে যাক, যাঁরা এসব বুঝেন, জানেন। তারা লেখালেখি করেন। অন্যেকে জানান দেশের বর্তমান অবস্থা। এ আমাদের প্রত্যকের। শ্রীলঙ্কা হলে আমাদের ভোগতে হবে, আবার সিঙ্গাপুর হলেও আমরাই আরামে থাকবো!

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

কিছু মানুষের বক্তব্য ভারত পাশে না থাকলেও, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করতে পারতো। এর কতটুকু যুক্তি আছে?
ধৈর্য ধরে পুরোটা লেখা পড়ার জন্যে অগ্রিম ধন্যবাদ। এই বিতর্কিত বিষয়টা নিয়ে আমার সীমিত জ্ঞানের পুরোটা দিয়েই একটা উত্তর লেখার ইচ্ছা ছিল অনেকদিন থেকেই। কথা না বাড়িয়ে আসল উত্তরে আসি।

প্রথমেই একটা ব্যাপার বোঝা বেশ জরুরি। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য দুই ধরনের হতে পারত-

১)মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ এবং শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদান, বিশ্ব মিডিয়াতে যুদ্ধের প্রচারণা।

২)সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রেরণের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা।

এ দু ধরনের সাহায্যের মধ্যে ১ নং সাহায্যটি ছাড়া বাংলাদেশ কখনোই স্বাধীন হতে পারত না। কখনোই না!

এবং ২ নং সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশ অবশ্যই স্বাধীন হতে পারত।

এ ব্যাপারটা বোঝার জন্যে প্রথম থেকে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করা জরুরি।

২৬শে মার্চ ১৯৭১

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি চিরতরে নিভিয়ে দিতে ১০ হাজার সৈন্য নিয়ে শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট।

Operation Searchlight - Wikipedia: en.wikipedia.org/wiki/Operatio

ঢাকায় শুরু হয় এক অভূতপূর্ব গণহত্যা, যার বেশিরভাগ শিকার হয় ছাত্র, হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগ সমর্থকগোষ্ঠী। এ গণহত্যার কারণ হিসেবে অজুহাত দেখানো হয় মার্চের শুরুর দিকে বাঙালিদের দ্বারা ৩০০ জন বিহারির হত্যাকাণ্ডকে। (জ্বি ভাই, বিহারি হত্যাকাণ্ড একটা ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ইতিহাসকে বিচার করেন।)

অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় নিরস্ত্র, গ্রেফতার এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্বিচারে হত্যা করা হয় বাঙালি পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের। পুরো অপারেশনটা ছিল একটা চমকের মত। গুটিকয়েক বাঙালি অফিসার ছাড়া কেউ এমন আক্রমণ প্রত্যাশা করেনি। তাই, পুরোপুরি অপ্রস্তুত অবস্থায় বিব্রত হয়ে পড়ে পুরো জাতি।

পাকিস্তানিদের হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব পাকিস্তান "ঠাণ্ডা " হয়ে যাবে। আর ১০ এপ্রিলের মধ্যে পুরো পূর্ব পাকিস্তানে একজন বিদ্রোহীও থাকবে না।

কিন্তু তাদের ভুল প্রমাণ করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ। প্রতিরোধ যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে উত্তর। খালি একটা উদাহরণ দেই প্রতিরোধ যুদ্ধের।

টাইমস সাময়িকী, এপ্রিল ১৯, ১৯৭১

৩১ শের মার্চ ভোর সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়াকে মুক্ত করার অভিযান শুরু করে বিদ্রোহীরা। প্রায় ৫ হাজার কৃষক ও পুলিশ সদস্যদের এক বাহিনী এই অভিযানে অংশ নেয়। হাজার কণ্ঠের 'জয় বাংলা' স্লোগানে কেঁপে ওঠে পথঘাট। বিক্ষুদ্ধ বাঙ্গালিদের হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কায় পাক সেনাদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র আতংক। ধরা পড়ার পর এক সাক্ষাৎকারে নায়েক সুবেদার মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, "আমরা খুবই অবাক হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাঙালি সৈন্যদের সংখ্যা হবে আমাদের একটি কোম্পানির মতোই। কিন্তু এখানের প্রত্যেকটা মানুষই যে আমাদের বিরুদ্ধে তা জানতাম না।"

কুষ্টিয়ার পাকিস্তানি ডেল্টা কোম্পানির ১৪৭ জনের মধ্যে কেবল ১৩ জন বেঁচে যায়। কুষ্টিয়ার পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে যশোর থেকে আসা আরেকটি পদাতিক বাহিনী বিশাকালি গ্রামে মুক্তিবাহিনীর ফাঁদে পড়ে ঘটনাস্থলে ৭৩ জন সৈন্য মারা যায়। বাকিদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়।

মুক্ত কুষ্টিয়ার মাটিতেই ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে।

এই প্রতিরোধ যুদ্ধের হাতিয়ার কী ছিল শুনবেন? কৃষকের কুড়াল, বাঁশের লাঠি ,কিছু এনফিল্ড রাইফেল আর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি তীব্র ঘৃণা। যেই ঘৃণা ছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষের সবার মনে।

এরকম সরাসরি যুদ্ধের কথা ভাবতেও পারেনি পাকিস্তান সরকার। তাই, পিআইএর ফ্লাইটে নিয়ে আসা হতে থাকে হাজার হাজার সৈন্য। পুরোদমে বল প্রয়োগ করে বড় শহরগুলো দখল করে ফেলে পাকবাহিনী।

লাখ লাখ বাঙালি পালাতে থাকে নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। ভারত নিপীড়িত এক জনগোষ্ঠীর ভার তুলে নেয় নিজ কাঁধে। বাড়তে বাড়তে এক সময় শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ কোটিতে। ভারতের অর্থনীতিতে প্রচুর চাপ পড়ে গেলেও সাধ্যমতো ব্যবস্থা করে খাদ্য, চিকিৎসা ও মাথা গোঁজার খানিকটা জায়গার।

অন্যদিকে, মুক্তিবাহিনীর বেশিরভাগ ঘাঁটি সরিয়ে নেয়া হয় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। ভারতীয় সরকার খুব দ্রুত বাড়িয়ে দেয় সহযোগিতার হাত।

ভারতের অভ্যন্তরে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে ভারত থেকে পাওয়া হালকা অস্ত্র হাতে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ঢুকে পড়ত বাংলাদেশের ভেতর।

প্রথমদিকে গেরিলা আক্রমণের মাধ্যমে কালভার্ট, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, রেললাইন ধ্বংস করে পাকিস্তানি সেনাদের রসদ সরবরাহ বাধাগ্রস্থ করাই ছিল অপারেশনগুলোর মূল উদ্দেশ্য।

জুন-জুলাইয়ের দিকে মুক্তিবাহিনী শত্রুসেনাদের কনভয় নিয়মিত আক্রমণ করা শুরু করে। বর্ডার পোস্টগুলোতে একের পর এক হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। কভারিং আর্টিলারি ফায়ার দিয়ে সাহায্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

খোদ ঢাকাতেই খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে গঠিত ক্র্যাক প্লাটুনের মাধ্যমে গেরিলা অপারেশন শুরু হয়।

অক্টোবর-নভেম্বরে মুক্তিবাহিনীর সদস্যসংখ্যা দাঁড়ায় ১৫০০০০ জনে। এসময়টাতে পাকিস্তানি বাহিনী রীতিমতো ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের ভয়ে। (সূত্রঃ উইটনেস টু সারেন্ডার, পাকিস্তানি অফিসার সিদ্দিক সালিক)

নভেম্বরের শেষের দিকের বেশ কিছু যুদ্ধে (যেমনঃ বয়রার যুদ্ধ, হিলির যুদ্ধ, কামালপুরের যুদ্ধ) ভারত সরাসরি অংশগ্রহণ করে। ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতে বিমান হামলা চালালে শুরু হয়ে যায় আনুষ্ঠানিক ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। মাত্র ১৩ দিনের মাথায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে ঢাকার রেসকোর্সে।

এবার আসি প্রশ্নের উত্তরে।

বাংলাদেশ নামের এই ছোট্ট ভূ-খণ্ডটার চারদিকে ভারত নামক এক বিশাল দেশের সীমান্ত। কেবল দক্ষিণ-পূর্বের খানিকটা জায়গায় সামান্য জায়গায় মিয়ানমারের সাথে আমাদের সীমান্ত। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি।

এবার খালি ভাবেন যে, ভারত যদি ভিনদেশিদের দ্বারা আক্রান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করত, তাহলে মুক্তিবাহিনী অস্ত্র পেত কোথায়? পাকিস্তানিদের পাল্টা আক্রমণের শিকার হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পালিয়ে আশ্রয় নিত কোথায়? মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পগুলো কোথায় থাকত? সেগুলোতে ট্রেনিং দিত কারা? (বাঙালি অফিসাররা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্য ছাড়া এত বড় একটা বাহিনী কে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব ছিল না)

অতএব, ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ এবং শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদান, বিশ্ব মিডিয়াতে যুদ্ধের প্রচারণা না চালালে বাংলাদেশ যুদ্ধ জিততে পারত না। ভিয়েতনাম যেমন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের অস্ত্র ও রাজনৈতিক সাহায্যে জয়ী হয়েছিল, বাংলাদেশও তেমন ভারতের সরবরাহ করা গোলাবারুদ আর প্রত্যক্ষ সমর্থনে জয়ী হয়েছিল।

তবে এটাও সত্য যে, বাংলাদেশে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যারা ভারত থেকে অস্ত্র না নিয়ে মাসের পর মাস প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন। সর্বহারা পার্টির সিরাজ শিকদার বরিশালের পেয়ারাবাগানে ভারতীয়দের অস্ত্র কিংবা সাহায্য ছাড়াই যুদ্ধ করে মুক্ত রেখেছিলেন পুরোটা সময়ই। সিরাজের বাহিনী পাকিস্তানিদের মেরে অস্ত্র নিয়ে তা দিয়ে যুদ্ধ করত।

রৌমারির সুবেদার আফতাব ভারতের অস্ত্র নিতে অস্বীকার করেন পুরো নয় মাস। পাকিস্তানিদের রসদের উপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে আফতাব বাহিনী যুদ্ধ করে বীরত্বের সাথে।

টাঙ্গাইলের বিখ্যাত বাঘা সিদ্দিকী দেশের মাটির ঘাঁটি থেকেই ৫০০০০ সৈন্যের বাহিনী নিয়ে করেছেন একের পর এক বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ। ১৬ই ডিসেম্বর কাদেরিয়া বাহিনী বিজয়ীর বেশে ঢাকায় প্রবেশ করে।

কিন্তু……

ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি অংশ না নিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত কি?

জ্বি, বাংলাদেশ স্বাধীন হত।

বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের হত্যাকাণ্ড জ্বালিয়ে দিয়েছিল তীব্র ঘৃণা আর প্রতিশোধ স্পৃহা। প্রতিটা মানুষের মধ্যে একটা করে মুক্তিযোদ্ধা লুকিয়েছিল।

অনেকে বলবেন, এসব চেতনার কথা বাদ দেন। বাস্তবে আসেন।

জ্বি, মহাশয়। বাস্তবজ্ঞানেই বলছি। প্রতিকূল পরিবেশে হাজার মাইল দূর থেকে কোনো দেশ দখল করতে গেলে কী হয় জানেন তো? ভিয়েতনাম যুদ্ধে ৫৮০০০ আমেরিকান সৈন্য নিহত হয়েছিল। ভিয়েতনামিদের যত বেশি মারা হত, প্রতিশোধস্পৃহা থেকে আরো বেশি লোক ভিয়েতকংয়ে যোগ দিত।

বাংলাদেশের যুদ্ধে কেবল পাকিস্তানি সৈন্যই নিহত হয় ৬০০০ জন (ভারতীয় হস্তক্ষেপের আগে)।

পাকিস্তানি জেনারেলদের মুখে যুদ্ধের কিছু বয়ান থেকেই বুঝতে পারবেন, নভেম্বরে পাকবাহিনীর কী দশা ছিল! সৈন্যদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছিল, পাকিস্তানের অর্থনীতি যুদ্ধে খরচ না বইতে পেরে ভিক্ষের দারস্থ হয়।

এই মানুষগুলোর চোখে ক্লান্তি ছিল না, বুকে ডরভয় ছিল না। দিন দিন মুক্তিবাহিনী আরো প্রফেশনাল হচ্ছিল।

অপারেশন কিলোফ্লাইটের আওতায় মুক্তিবাহিনী শুরু করে এক সংগঠিত বিমানবাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া। ভারত থেকে পাওয়া যুদ্ধজাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

গেরিলা যুদ্ধ এক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ভিয়েতনাম যুদ্ধে জয়লাভ করতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২০ বছরেরও বেশি সময়। বাংলাদেশে অত বেশি সময় না লাগলেও স্বাধীন হতে কম সময় লাগত না। রক্তও ঝরত আরো প্রচুর পরিমাণে।

বিঃদ্রঃ এ প্রশ্নের উত্তরে কিছু মানুষ শ্রীলংকার ৮০০০ সৈন্যের এক বিদ্রোহী বাহিনী, যার কোনো নিজস্ব সরকার নেই, জনগণের সমর্থন নেই, তার সাথে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর তুলনা করছেন। আজ্ঞে, শ্রীলংকার তামিল টাইগারসদের সাথে কারো তুলনা করতে হলে ভারতের উলফা, রাশিয়ার চেচনিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে করুন।

বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর তুলনা যদি করতেই হয়, তাহলে ভিয়েতকং, আফগান মুজাহিদ বা মার্শাল টিটোর বাহিনীর সাথে করুন।

বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সামর্থ্য নিয়ে একটু পড়াশোনা করবেন। নেট ঘাঁটলেই পাওয়া যায়।

আর শ্রীলংকার বিচ্ছিনতাবাদী আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশের "স্বাধীনতা যুদ্ধের" তুলনা করাটা প্রচণ্ড বোকামি। কেননা বাংলাদেশের পাকবাহিনী সত্যিকার অর্থেই ছিল হাজার মাইল দূরের এক দখলদার বাহিনী।

ধন্যবাদ।

সম্পাদনাঃ কিছু পড়াশোনা করতে পারেন নিচের লিংকগুলোতে-

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক প্রতিরোধ সম্পর্কে পড়ুন- Operation Searchlight - Wikipedia

মুক্তিবাহিনীর আকাশপথের যুদ্ধ নিয়ে পড়ুন- Operation Kilo Flight - Wikipedia

বিখ্যাত অপারেশন জ্যাকপট- Operation Jackpot - Wikipedia

কাদেরিয়া বাহিনীর যুদ্ধ- Kader Bahini - Wikipedia

ঢাকার গেরিলাদের নিয়ে পড়ুন- Crack Platoon - Wikipedia

পড়ার চেয়ে দেখার কাজ অনেক সহজ। একটা ডকুমেন্টারির ভিডিও দিচ্ছি। মানুষগুলোর চোখের ভাষা পড়ে নিজেই বুঝে নিবেন যে মুক্তিযোদ্ধারা কয় বছর যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিল-
বাংলাদেশী যোদ্ধারা ভারতীয়দের অস্ত্র আর সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া কীভাবে যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিল, ভিডিওটাতে দেখবেন। সবার হাতে যেসব অস্ত্র, বেশিরভাগই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী থেকে ছিনিয়ে নেয়া কিংবা লুট করে পাওয়া।

বীর সেনা খালেদ মোশাররফ বলেছিলেন- "কয়েকদিন পর গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে আমরা লাঠি দিয়ে যুদ্ধ করব। তবু দেশকে ছিনিয়ে আনবই।"

পাকবাহিনীর প্রতি কতটা ঘৃণা ছিল এদেশের মানুষের মনে তা চিন্তা করেন। এটা খালি যুদ্ধ ছিল না, একটা বিপ্লব ছিল সাধারণ মানুষের। রাশিয়ান বিপ্লব, চীনা বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব কিংবা আমেরিকার বিপ্লবী স্বাধীনতা যুদ্ধের মতই একটা বিপ্লব, যেখানে বিদেশি শক্তি কিংবা স্বৈরতন্ত্রের নির্মম পতন ঘটেছিল জনগণের ঢেউয়ের সামনে।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

Show older
Qoto Mastodon

QOTO: Question Others to Teach Ourselves
An inclusive, Academic Freedom, instance
All cultures welcome.
Hate speech and harassment strictly forbidden.